মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘Myanmar Army Behind Facebook Pages That Fueled Anti-Rohingya Violence: UN’.
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি আপাত:দৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। জাতিসংঘের এক তদন্তে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বড় আকারে দমন-পীড়ন অভিযান চালায় মিয়ানমার। যার ফলে তাদের অনেকেই বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এই উদ্যোগের আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি আপাত:দৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। জাতিসংঘের এক তদন্তে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের এক তদন্তে জানা গেছে, হাজারো রোহিঙ্গাকে নির্যাতন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার আগে বড় আকারে ফেসবুকে এই জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলারের মামলা দায়ের করে। রোহিঙ্গারা দাবি করে, ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ সূত্রে গতকাল জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থা মিয়ানমারের জন্য নিবেদিত স্বাধীন তদন্ত সংস্থা (আইএমএম) বলেছে, তাদের হাতে নিরেট প্রমাণ রয়েছে যে ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দায়ী।তদন্তকারীরা এক সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান, সামরিক বাহিনী ‘পদ্ধতিগত ও সমন্বিত’ উপায়ে ‘রোহিঙ্গা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদেরকে নিয়ে ভীতি ও বিদ্বেষ সৃষ্টি’ করেছে। নতুন বিশ্লেষণে ২০১৭ সালের জুলাই ও ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৩টি ফেসবুক পেজের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে এসব পেজের ১০ হাজার ৪৮৫টি কনটেন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোকে বিদ্বেষমূলক হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০১৮ সালের আগস্টে ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব কনটেন্ট মুছে দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পেজে রোহিঙ্গাদের নিয়ে অবমাননাকর ও বৈষম্যমূলক বক্তব্য পোস্ট করা হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের পত্রিকার একটি শিরোনাম, ‘Calls for probe into letter by 6 IHC judges on ‘brazen meddling’ in judicial affairs ’.
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির আদালতের বিচারিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে এবং বিচারকদের ভয়ভীতি দেখায় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আজম নাজীর তারার। বৃহস্পতিবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার মধ্যে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইনমন্ত্রী আজম বলেন, “আমরা চাই এই অভিযোগ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কারণ, আমরাও এর শিকার হয়েছিলাম।” আগামী শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ কমিটি গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ছয় বিচারপতি সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির কার্যালয় বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তারা অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) রাজনৈতিক মামলাগুলোতে তাদের পছন্দমত সিদ্ধান্ত দিতে বিচারপতিদের ভয়ভীতি দেখায়।
তাদের এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামরিক বাহিনীর মিডিয়া কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি। তবে বিচারকরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এর ঠিকানায় যে চিঠি পাঠিয়েছেন সেটা দেখেছে । প্রধান বিচারপতি ঈসা ওই কাউন্সিলের প্রধান। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কমিটি গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম , ‘Merchant vessel hijack: Ossification test debunks 8 Somalians’ claims of being minor, says police’.
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। সম্প্রতি তাদের আনা হয় ভারতে। এবার এদের মধ্যে আটজনের ফরেনসিক টেস্ট করেছে ভারত। জানা গেছে বিস্তারিত তথ্য। ভারতে আনার পর সোমালি জলদস্যুদের শাস্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এদের অনেকেই বলছিলেন, বয়স ১৮ বছরের কম। এ কারণে মুম্বাইয়ে তাঁদের ফরেনসিক টেস্ট করা হয়। ৮ জনের ফরেনসিক টেস্ট থেকে জানা গেছে, এরা সোমালিয়ার নাগরিক। কারও বয়স ১৮ বছরের কম নয়। দুজনের বয়স প্রায় ২১। গত বুধবার এসব তথ্য প্রকাশ করেছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জয় লাটকার বলেন, ‘তাদের দাবির মুখে ফরেনসিক টেস্ট করা হয়েছে। এরপর আমরা জানতে পারি, সবার বয়স ১৮ বছরের বেশি। টেস্টের পর আবারও তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তোলা হবে আদালতেও।’
ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতির বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়। উদ্ধার হওয়া সেই জাহাজে ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল, যার বাজারমূল্য ১০ লাখ ডলার। এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জাহাজ, ড্রোন, আকাশযান ও ম্যারিন কমান্ডো অংশ নেয়। নজরদারি করার সময় এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজ শনাক্ত করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই জাহাজটি উদ্ধার করতে এরপর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে পাঠায়। ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটি শুক্রবার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। জাহাজটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এমভি রুয়েনের কাছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা যাওয়ার পর বিশেষ ড্রোন সেখানে পাঠানো হয়, নাম হাই অ্যালটিটিউড লং এনডুরেন্স। তাতে তারা নিশ্চিত হয়, এমভি রুয়েনে জলদস্যু রয়েছে। একটি ড্রোন দেখার পর গুলি চালানো শুরু করে তারা। এতে ভূপাতিত হয় ড্রোনটি। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি রুয়েনের ডেকে হাঁটছেন এক জলদস্যু। এরপর জাহাজ দেখে সেইদিকে বন্দুক তাক করছেন। সঙ্গে সঙ্গে গুলিও চালান তিনি। এরপর এমভি রুয়েনের স্টিয়ারিং সিস্টেম অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হয় আইএনএস কলকাতা। এ ছাড়া ওই জাহাজের দিকনির্দেশনা ব্যবস্থাও অকার্যকর করে দেওয়া হয়।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিয়ে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম – ‘নানা উদ্যোগের পরও রিজার্ভ কমছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ডলারের সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মজুত বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কাজ হচ্ছে না। উল্টো কমছে রিজার্ভ। রমজান ও আসন্ন ঈদ ঘিরে গত কয়েক মাসে রেমিট্যান্সে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের মজুত বাড়ানো যাচ্ছে না। বাড়লেও এর প্রভাব খুবই সামান্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারো রমজানের শুরু থেকেই প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে। মাস শেষে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অথচ সবশেষ বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ডিসেম্বর শেষে তা ছিল ২১.৮৭ বিলিয়ন ডলার। তথ্য অনুযায়ী, বিপিএম-৬ অনুযায়ী গত ৬ই মার্চ রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে।
অপরদিকে গত ৬ই মার্চ গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার। ২৭শে মার্চ এ রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ১৫২ কোটি ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য বাংলাদেশের জন্য।
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘পরিবেশদূষণে দেশে মৃত্যু পৌনে ৩ লাখ’,।
‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) ২০২৩’ নামে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে খবরে।
যা থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ২০১৯ সালে তিন ধরনের পরিবেশদূষণে প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে। দূষণের কারণে ওই বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ওপরের দিকে থাকছে ঢাকা। ঢাকার চারপাশসহ বিভিন্ন নদ-নদীর দূষণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে পরিবেশদূষণের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে। ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) ২০২৩’ নামের প্রতিবেদনটি গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি গতকাল তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ পরিবেশবিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহপ্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বায়ু ও পানিদূষণের উপাত্তগুলো মূলত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সিসার দূষণের উপাত্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য-উপাত্ত বৈজ্ঞানিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।
চলতি মাসেই সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৩’ প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশ হিসেবে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশে। আর নগর হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ নগর ছিল ঢাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি, আর্সেনিক এবং সিসাদূষণে অন্তত ২ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের কারণে বছরে দেশে যে সময় মানুষের অসুস্থতায় কাটে, তা ৫২০ কোটি দিনের সমান। দূষণের যে ধরনগুলোর কথা বিশ্বব্যাংক বলেছে, এর মধ্যে ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে মৃত্যু হয় সবচেয়ে বেশি, প্রায় দেড় লাখ। এই ক্ষতির পরিমাণ ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান। এরপরই আছে সুপেয় পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ঘাটতি এবং আর্সেনিক দূষণজনিত মৃত্যু। এতে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ মারা যান। আর সিসার দূষণে মৃত্যু হয় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের। বায়ুদূষণের উপাদানের মধ্যে বাতাসের অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) বড় ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এটা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক ও নারীদের। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বায়ুতে পিএম ২.৫–এর উপস্থিতি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ কমানো সম্ভব। ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে আছে রান্নায় এখন যেসব পরিবেশদূষণকারী উপাদান ব্যবহৃত হয়, এর বিপরীতে এলপিজি বা বিদ্যুতের ব্যবহার ত্বরান্বিত করা। শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা। সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীতি ও সময়ানুগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলে এর মধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘ICB Islamic Bank in dire straits’ .
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শীঘ্রই কোনো শক্তিশালী ব্যাংকের সাথে এই ব্যাংকটির একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বলা হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতের সংকট দূর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে রোডম্যাপ তাতে পদ্মা ব্যাংকের পর, এবার আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের একীভূত হবার পালা আসছে। ২০০৮ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক বিলুপ্ত করে গঠন করা শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকটির তারল্য সংকট এতটাই প্রবল যে পুর্ণ মাত্রায় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে এক হাজার ৮২৩ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়ে ব্যাংকটি। এর মোট বিতরণকৃত ৭৯০ কোটি টাকা ঋণের ৮৭ শতাংশই মন্দঋণ।
আওয়ামী লীগে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে কোন্দলের বিষয়টিকে সামনে এনে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘আধিপত্য হারানোর ভয় এমপিদের’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বড় ধরনের কোন্দল দেখা দিয়েছে। মূলত স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরোধ চলছে। এই বিরোধের পেছনে প্রধান কারণ উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাছে সংসদ সদস্যদের আধিপত্য হারানোর ভয়। কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো কালের কণ্ঠকে এমনটা জানিয়েছে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, সংসদ সদস্যরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের আগামী দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন। পাঁচ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সংসদীয় নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ভয় সংক্রমিত হয়েছে। তাঁরা নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সতর্ক হচ্ছেন। তাঁরা চাইছেন নিজের অনুগত নেতাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করতে, যেন তাঁদের আধিপত্য হুমকিতে না পড়ে। ফলে অন্য যাঁরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাইছেন তাঁদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধ বাড়ছে সংসদ সদস্যদের। তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়াদি দেখাশোনা করেন এমন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় সাংগঠনিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়টিকে অনেক সংসদ সদস্যই ভালোভাবে নিতে পারছেন না।
Leave a Reply