সারাক্ষণ ডেস্ক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, বয়কট ইন্ডিয়া, ভারতীয় পণ্য বর্জনের রাজনীতি নতুন কিছু না।
১৯৪৭ সাল থেকে রাজনৈতিক মোল্লাতন্ত্র ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সামরিক শাসকরা ‘ইসলাম বিপদে আছে’ এবং ‘ভারত দ্বারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপদগ্রস্থও বিপন্ন হচ্ছে’ বলে ভারতীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে, ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার যে রাজনীতি চালু করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলের সেই বস্তাপঁচা রাজনীতিই আবার নতুন করে আমদানি করা হচ্ছেমাত্র। বর্তমানে ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ ও ‘ভারতীয় পণ্য বর্জণের রাজনীতি ধর্মীয়সুড়সুড়ি দিয়ে জলঘোলা করে, উত্তেজনা তৈরি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরিকরে বিএনপি—জামাত ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনার মোল্লাতন্ত্রের ক্ষমতাপুনর্দখলের রাজনীতিরই একটি ছদ্মবেশ।
জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক মোল্লাতন্ত্রের সাথে সুর মিলিয়ে ভারত বিরোধীতা, হিন্দু বিরোধিতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী, উদার—গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারকবাহকদের বিরোধীতা করাকে দেশপ্রেমের একমাত্র মাপকাঠি বানিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইনু শিরীন আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশভারতের সাথে ভূ সীমান্ত চিন্থিত করণের মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিটি ইঞ্চির উপরদেশের সার্বভৌমত্বই নিশ্চিত করেছে।
একই সাথে ২০১৫ সালে ছিটমহলবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা ও আয়তন ৩৬.১৮বর্গকিলোমিটার(১০,০৫০একর) বড় হয়েছে। জাসদ সভাপতি – ইনু বয়কট ভারত ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি—জামাত এবং তাদের রাজনৈতিক পার্টনার ও রাজনৈতিক মোল্লাতন্ত্রের ক্ষমতা পুনর্দখলের জন্য পাকিস্তান আমলের বস্তাপঁচা নোংরা রাজনীতি প্রতিহত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ।
Leave a Reply