পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
নেতার জন্যে অনেক বড় হলো- স্থান, কাল ও বিষয়
নেতাকে সব সময়ই গুরুত্ব দিতে হবে তিনি কোন কাজটির জন্য কোন সময়টি বেছে নেবেন। সময় নির্বাচনটি সঠিকভাবে করতে না পারলে মূলত ওই কাজে কখনও সফল হওয়া যাবে না।
বাস্তবে কাজ করার জন্যেও যেমন তাকে সঠিক সময় নির্বাচন করতে হবে তেমনি তেমনি ওই কাজে তাকে কখন থামতে হবে, বা কোন গতিতে কোন সময়ে করতে হবে সেটাও তাকে জানতে হবে।
নেতাকে মনে রাখতে হবে, কখনও তিনি একা সব কাজ করতে পারবেন না। আবার যারা তার সঙ্গে কাজ করবেন তারা সকলেই সমান যোগ্য নয়। কেউ কম যোগ্য, কেউ বেশি যোগ্য আবার কেউ বা মধ্যমমানের।
নেতাকে অবশ্যই কর্মী বা তার দলের অথবা টিমের লোকদেরকে যথামূল্যায়ন করতে হবে। তাদের সম্পর্কে তার সঠিক মূল্যায়নই তাকে সহজ করে দেবে, যোগ্যতা অনুযায়ী কাকে কোন কাজে কোন সময়ে লাগাবেন।
এইভাবে টিমের সকল সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে লাগানোই নেতার অন্যতম গুন।
আর নেতা যদি এভাবে তার টিম বা দলের সকলের মধ্যে এমন একটি স্পিরিট বা কর্মউদ্দীপনা জাগাতে পারেন যে, যিনি যে কাজ করছেন, তিনি যেন মনে করেন, তিনি যোগ্য বলেই এ কাজ করছেন। এই উদ্দীপনা জাগলে তখন সকলেই নিজ নিজ অবস্থানের কাজটি ভালোভাবে করবেন।
যাকে তুলনা করা যায়, একটি যুদ্ধের ভালো সৈনিক ও কম ভালো সৈনিক মিলে সমানতালে যুদ্ধের জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
বা ধরা যেতে পারে কোন দলে একজন রোনাল্ডো ও একজন প্লে আছেন। বাদবাকিরা স্টার নন। কিন্তু কোচ এমনভাবে সকলকে কাজে লাগাবেন যেন, দলের জয়লাভে শুধু রোনাল্ডো আর প্লেকে কাজে লাগানো না হয়। মনে রাখা দরকার একজন রোনাল্ডো বা একজন প্লে দল জেতাতে পারেন না। বাদবাকিরা নিজ অবস্থানে থেকেই দলকে এগিয়ে নেন।
Leave a Reply