শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

কিভাবে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ দেখবেন

  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ৭.২৬ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

উত্তর আমেরিকা জুড়ে স্কাইওয়াচাররা ৮  এপ্রিল একটি সূর্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি হবে এক বিরল স্বর্গীয় দৃশ্য। যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে দিয়ে যায়। প্রায় ১১৫ মাইল চওড়া পথ জুড়ে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

 

এদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। যা আমেরিকার ১৩ টি অঙ্গরাজ্যে মধ্য দিয়ে যাবে। মহাদেশের বাকি অংশের বেশিরভাগ অংশে অন্তত একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ওই সময় উপরের দিকে তাকানো আকর্ষণীয় কিন্তু সূর্যের যে কোনও অংশে সরাসরি তাকানো নিরাপদ নয়।

 

 

আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সময় এর কোনও পরিবর্তন হয় না। এমনকি সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ১% দেখা গেলেও এটি পূর্ণিমার চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি উজ্জ্বল। তাই খালি চোখে দেখা বিপজ্জনক। আলোকমাপবিদ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন যে গ্রহণ পর্যবেক্ষকেরা গ্রহণ চশমার মতো বিশেষ সৌর দর্শক কিনে নিরাপদে ঘটনাটি দেখতে  পারবেন। এখানে যা জানতে হবে তা হলো-

 

 

কেন খালি চোখে বা সরাসরি দেখা বিপজ্জনক

 

 

 

কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্টোমেট্রি এবং দৃষ্টি বিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডাঃ রালফ চৌ বলেন,  “প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের বেশি সরাসরি সূর্যের দিকে না তাকানো ভালো। সূর্যের দিকে তাকালে বা  দূরে তাকালে মাঝে মাঝে মনে হয় যেন চোখ বা মাথা ব্যথা করছে।

 

আর চোখে বা মাথায় ব্যথা, মস্তিষ্ককে দূরে তাকানোর এবং রেটিনার যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য সতর্ক করে। কিন্তু একটি গ্রহণ চলার সময় অনেকের মনে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তখন স্বাভাবিকভাবেই দেখতে ইচ্ছা করে। সঠিক সরঞ্জাম ছাড়াই সূর্যগ্রহণ দেখার কারণে মানুষ  অন্ধ পর্যন্ত  হয়ে যেতে পারে। আর যদি অন্ধ না হয় তাহলেও রেটিনার কোষগুলোর ক্ষতি হয়। রেটিনার কোনও ব্যথার রিসেপ্টর না থাকায় কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা অনুমান করা যায় না। আপনি যা দেখেন তা আর সঠিকভাবে মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে পারে না।”

 

 

 

কীভাবে কাজ করে চন্দ্রগ্রহণের চশমা

 

 

 

চন্দ্রগ্রহণের চশমাগুলোতে সৌর ফিল্টার থাকে। যা সূর্যকে থেকে ক্ষতিকর আলো আসতে বাধা দেয়। আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সোলার ইক্লিপ্স টাস্ক ফোর্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিক ফিয়েনবার্গের মতে, ফিল্টারগুলো  খুব বেশি অন্ধকার। সাধারণ সানগ্লাসের চেয়ে কমপক্ষে ১ হাজার গুণ গাঢ়। গ্রহণ চশমা ক্ষতিকর আলোকে 0.00১% এর বেশি আসতে দেয় না ।

 

 

সঠিক পদ্ধতি ও নিরাপদে গ্রহণ দেখার যন্ত্রপাতি ছাড়া গ্রহণ দেখতে গেলে অতি বেগুনি রশ্মি ও ইনফ্রারেড রশ্মির আঘাতে রেটিনায় বড়সড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। সোলার ফিল্টার যার তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সঠিক অপটিক্যাল ঘনত্ব রয়েছে তা দিয়ে গ্রহণ দেখা যেতে পারে।

 

 

নাসার মতে, কাগুজে চশমা বা ভিউয়ার ব্যবহার করার সময় কোনো অপটিক্যাল ডিভাইসের মাধ্যমে সূর্যের দিকে তাকানো উচিৎ নয়। ক্যামেরা, বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখতে বিশেষ সৌর ফিল্টার কেনা জরুরি।

 

 

 

 

গ্রহণ চশমার ফিল্টারগুলো কাচ দিয়ে তৈরি হয় না বরং কালো পলিমারের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। এই ফিল্টারগুলো সূর্য থেকে আলোকে ফিল্টার করতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি ক্ষতিকর আলোকে হলুদ রঙে নমনীয়ভাবে দেখতে সাহায্য করে। সোলার পেপার ভিউয়ার চশমাগুলো ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের যে মান নির্ধারণ করা আছে তার সাথে মিল থাকতে হবে । চশমাগুলো যেন আইএসও মান পূরণ করে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024