বর্তমান পৃথিবীটাই প্রযুক্তি নির্ভর। আর এখন তো সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতেই যোগাযোগ রাখছে। অনেক শঙ্কা থাকার পরও কম বয়সী শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখা সম্ভব হয় না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলপড়ুয়া কিশোর–কিশোরীরা কতটা নিরাপদ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ ও গবেষণার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গবেষণা বলছে, অনলাইনে প্রতি ছয়জন কিশোর–কিশোরীর একজন হেনস্তার শিকার হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্প্রতি এক জরিপ ও গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বেই কিশোর–কিশোরীদের জন্য ইন্টারনেট বেশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে। তার কারণ হিসেবে বলছে, বিশেষত করোনা মহামারির আগে ও পরে এর হার বিবেচনায় নিলে চমকে যাওয়ার মতই। করোনার পর এ ধরনের হেনস্তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ।
৪৪টি দেশ ও অঞ্চলের ২ লাখ ৭৯ হাজার তরুণের মধ্যে জরিপ চালিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । আর এতে চমকে ওঠার মতোই তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু ওয়েলসের ৩৭ হাজার তরুণ জরিপে অংশ নেয়। এদের মধ্যে ১৭ শতাংশ জানিয়েছে, তারা অনলাইনে হেনস্তার শিকার হয়েছে।
দ্য হেলথ বিহ্যাভিয়র ইন স্কুল–এজড চিলড্রেন (এইচবিএসসি) জানায়, স্কুলপড়ুয়ারা এ ধরনের হেনস্তার শিকার এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে। যা ২০১৮ সালে ছিলো ১২ শতাংশ । কিশোরীদের ১৬ শতাংশই এমন হেনস্তার শিকার। তবে এরমধ্যে কিশোররাও রয়েছে। এইচবিএসসি জানায়. ১৩ শতাংশ কিশোর হেনস্তার শিকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আরো জানায়, এই জরিপে অংশ নেয় ইংল্যান্ডের ৪ হাজার ২০০ কিশোর–কিশোরী। জরিপের তথ্য বলছে, কিশোর–কিশোরীদের ১৯ শতাংশই অন্তত একবার সাইবারবুলিংয়ের শিকার হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের বিষয়টাও ভাববার। এ হার ১৮ শতাংশ। তবে তারা এই হেনস্তা কিন্তু তারা তাদের বয়সীদের কাছ থেকেও হচ্ছে। এদের ১১ শতাংশই অন্য তরুণ বা সমবয়সীদের কাছ থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই প্রবণতা আসলেই ভয়াবহ।
ইউরোপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যান্স হেনরি বিবিসিকে বলেন, করোনা মহামারির সময় থেকেই শিশু–কিশোররা অনেকটা বাধ্য হয়েই অনলাইনের সাথে বেশি করে যুক্ত হয়। আর লকডাউনের সময় এ ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না তাদের। এর ফলে আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে সাইবার হেনস্তা।
বিবিসি অবলম্বনে
Leave a Reply