শিবলী আহম্মেদ সুজন
বছর ঘুরে আবার আসছে ঈদ। ঈদ উপলক্ষে সবার মনে থাকে উৎসবের নানা দিককে রাঙানো। নতুন পোষাক থেকে শুরু করে পছন্দের অন্য তালিকা বাড়তে থাকে। ঈদকে সামনে রেখে প্যান্ট-শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, থ্রি-পিস, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি-কাপড় এবং ছোটদের বাহারি ডিজাইনের পোশাকসহ নানা কালেকশন নিয়ে বসেছেন শপিংমলের বিক্রেতারা।
দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে, গুলশান-১ এর জব্বার টাওয়ারে গিয়ে দেখা গেল এ যেন এক ভিন্ন শপিং মল। ঈদ আসলেই মেয়েরা পোশাক কেনার পাশাপাশি সাজগোজের লম্বা একটা তালিকা তৈরি করে ফেলে । আর সেসব কিছু একসাথে পাওয়া যাবে ‘কসমেটিকস ফেয়ার’-এ।
ব্রান্ডের সেরা সব ক্রিম, পাউডার, কাজল, লিপস্টক, ময়েশ্চারাইজার, কমপ্যাক্ট পাউডা, ফেস সিরাম, বিউটি ব্ল্যান্ডার, প্রাইমার, আইশ্যাডো প্যালেট, কন্সিলার , আইলাইনার , ফাউন্ডেশন ,মেকআপ ব্রাশ ,কাজল,হাইলাইটার, কনটোর , ব্লাশ , লেন্স, ব্রোঞ্জার , মাসকারা ,ফেক ল্যাশ , সেটিং স্প্রে -কি নেই কসমেটিকস ফেয়ারে!
কসমেটিকস ফেয়ারের কর্ণধার মোঃরাসেল মুখে হাসি রেখে বেশ আন্তরিকতার সাথে বললেন, এ সময় সাধারনত ক্রেতাদের অনেক ভীড় থাকে। কিন্তু এবার তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
ক্রেতা কম কেন ?
এ প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন,পন্য-দ্রব্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রেতা কম থাকাটা অস্বাভাবিকের কিছু না । বিদেশী কসমেটিকস দেশে আনলে যা দাম থাকে তার সাথে ডিউটি ফ্রী খরচ যোগ করলে পন্যের দাম আরো বেড়ে যায়। যেখানে জীবিকা নির্বাহ করতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে এতো দাম দিয়ে প্রসাধনী কিনতে যাবে কেন । যেখানে আগে ঈদ আসলেই শপিং মলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকতো সেখানে এখন শপিং মল ফাঁকা। আপনি দেখবেন, প্রতিটা দোকানে স্টাফরা বসে অলস সময় কাটাচ্ছে । বিক্রি ভালো হচ্ছে না ।
এরপর চশমার দোকান ‘ ভিশন এক্সক্লুসিভ’, মডেল ডিজাইন এ্যান্ড কালেকশন, ম্যাচিং ফ্যাশন, এমবি ফ্যাশনেও কথা বলে জানা গেল যে, তাদেরও তেমন বিক্রি নেই । তাদের সবার একই কথা- ক্রেতারা পণ্য কিনবে সেই আশায় আছি।
তবে শপিংমলে আসা কয়েকজন ক্রেতাদের সাথে বলে জানা যায়- তারা ঈদের আগে শেষ ৭ দিনে কেনাকাটা করবে। তারা বলেন, ‘এখন শুধু দেখতে আসছি। ঈদের আগে আগে কেনাকাটা জমবে, তখন কিনব।’
Leave a Reply