সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

‘লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভনে রকেট হামলা’, ‘ফুটপাতে টাকার খেলা দোকানের মেলা’

  • Update Time : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪, ৩.৪৪ পিএম

আরব নিউজের শিরোনাম, ‘Residence of Libyan PM targeted with RPGs, no casualties reported, minister says’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল দিবেইবাহর বাসভবনে রকেট হামলা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তার বাসভবন লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়। রকেট হামলায় প্রধানমন্ত্রী বাসভনের কোনো ক্ষতি হয়নি। লিবিয়ার মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানিয়েছে, হামলায় যেসব রকেট ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর বিধ্বংসী ক্ষমতা গ্রেনেডের সমপর্যায়ের। হামলার পর পরই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।  লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির অভিজাত এলাকায় আবদুলহামিদ আল দিবেইবাহর বাসভবন অবস্থিত। এই এলাকাটি ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী। উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ২০১১ সালে ন্যাটো অভিযান শুরু করার পর ২০১৪ সালে পূর্ব লিবিয়া ও পশ্চিম লিবিয়া— দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশটি। দুই অংশের প্রশাসন পরস্পরের প্রতি ব্যাপক বৈরী মনোভাব পোষণ করেন।দিবেইবার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের সরকার দুই অংশের মধ্যে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছে। ঐক্যবদ্ধ লিবিয়া গঠনের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল দেশটিতে, কিন্তু সেই নির্বাচন এখনও হয়নি। ফলে দেশটির রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তেমন কোনো আশা দেখা যাচ্ছে।

 

চাঁদাবাজি নিয়ে দৈনিক সমকালের শিরোনাম ‘ফুটপাতে টাকার খেলা দোকানের মেলা’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের পাশের ফুটপাতে নিত্যদিন বাহারি পোশাকের পসরা সাজান হকার রইস উদ্দিন। এ জন্য প্রতিদিন গুনতে হয় ১৫০ টাকা। তবে রমজান আসতেই সেই চাঁদা লাফিয়ে ২৫০ টাকায় ঠেকেছে। চাঁদার লাইনম্যান চড়া গলায় বলে গেছেন, ‘ঈদ ঘিরে ব্যবসা হবে বাড়তি, তাই চাঁদাও দিতে হবে বেশি।’আরেক দোকানি সামসুল হক। ফুটপাতে দোকান বসাতে তাঁকে এককালীন খরচা করতে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিদিন দিতে হয় ৩০০ টাকা। ঈদ, পূজা-পার্বণ এলে সেই চাঁদা হয়ে যায় দ্বিগুণ। টাকা না দিলে পুলিশ এসে দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েই চলছে দোকান। তবে পুলিশ টাকা নিতে সর্বসমক্ষে আসে না, লাইনম্যানকে দিয়ে তোলে টাকা। এমন চাঁদার খড়্গ শুধু রইস উদ্দিন বা সামসুল হকের বেলায় ঘটছে না; রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক-ফুটপাত দখল করে যারা দোকান পাতেন, তাদের সবার চাঁদা দিয়েই ব্যবসা সচল রাখতে হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও বিভিন্ন হকার্স সংগঠনের নেতা নামধারীরা ফুটপাত ও রাস্তায় হকারদের বসার সুযোগ দিয়ে চাঁদার খেলায় মেতেছেন। এ টাকার বড় অংশ ক্ষমতাসীন দলের দু-চারজন নেতা-মন্ত্রীর পকেটেও ঢুকছে। এ কারণে রাজধানীকে হকারমুক্ত করা যাচ্ছে না। রাস্তা দখল করে দোকান বসতে দেওয়ায় অনেক এলাকায় বেড়েছে যানজট। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চাঁদাবাজির বিষয়টি বরাবরের মতো অস্বীকার করছেন। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই সিটি করপোরেশনের ৪৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তিন লাখেরও বেশি হকার ব্যবসা করেন। বছরে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। এসব হকার প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেন। আট বছরের ফারাকে হকার ও চাঁদার টাকা দুটোই বেড়েছে। ঢাকায় এখন হকার প্রায় চার লাখ। প্রতিবছর চাঁদাবাজি হচ্ছে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার।

 

দ্য ডেইলি বিস্টের শিরোনাম ‘Media Warned to Stop Stealing Stuff From Air Force One’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারি উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে কোনো সফরের সময় তার সঙ্গে যাওয়া সংবাদিকদেরকে বিমানটি থেকে স্যুভেনির চুরি বন্ধ করতে বলেছে হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতাদের সমিতি।

দ্য ডেইলি বিস্ট জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে বাইডেনের সফরের পর এয়ার ফোর্স ওয়ানের সব জিনিসপত্র পরীক্ষা করে দেখার সময় কয়েকটি জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ছিল- ব্র্যান্ড পিলোকভার, গ্লাস এবং সোনালি বেড় দেওয়া বাসন। হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতাদের সমিতি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বিমান থেকে এমন সব জিনিস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। সংবাদদাতাদের সমিতি গত মাসেই সাংবাদিকদেরকে ইমেইলে একটি কড়া নোটিস পাঠিয়ে বলেছে, বিমান থেকে যেসব জিনিস খোয়া যাচ্ছে- সাংবাদিকরা যেগুলো স্মৃতিস্মারক হিসাবে রেখে দিচ্ছেন- বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এই চুরি বন্ধ হতে হবে। এয়ার ফোর্স ওয়ানে ভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের কখনও কখনও এমএন্ডএম চকলেটের প্যাকেট দেওয়া হয়। সেসব প্যাকেটে স্যুভেনির হিসাবে প্রেসিডেন্সিয়াল সিল থাকে। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই এয়ার ফোর্স ওয়ানের লোগো অঙ্কিত জিনিস নেওয়া (যেমন: কাটলারি বা তোয়ালে) সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি খবরে। বিমান থেকে নামার সময় সেগুলো ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

দ্য ডেইলি স্টারের এই প্রধান শিরোনাম, Matarbari Power Plant: Tk 93 lakh for two pipe cutters! 

এই প্রতিবেদনের থেকে জানা যাচ্ছে, নয়ই জানুয়ারি, গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩৪৪ দশমিক ৫ কেজি ওজনের একটি ছোট চালান আমদানি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা এ চালানটির আমদানি মূল্য দেখানো হয় ২ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ মার্কিন ডলার। আমদানির দুই দিন পর ১১ জানুয়ারি কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায় জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাটারের দাম ৯২ দশমিক ৯৯ লাখ টাকা। একইভাবে একই জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এই ধরনের অস্বাভাবিক দাম দেখে বিভ্রান্ত হয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটকে দিয়ে সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা চায়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত এরকম দুটি চিঠি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। গত ২৭ মার্চ, এই সংবাদপত্রটি দাম পরীক্ষা করার জন্য জার্মান কোম্পানি, কেএস টুলস-এর ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে। ওয়েবসাইটটি দেখায় একই মানের একটি পাইপ কাটারের দাম ৬০ দশমিক ২৭ ইউরো বা ৭ হাজার ২৩২ টাকা, যা আমদানি করা মূল্যের চেয়ে ৬৪২ গুণ (৬৪২০০%) কম। কোম্পানির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করা একটি হাতুড়ির দাম ১৩ দশমিক ৯ ইউরো বা ১ হাজার ৬৬৮ টাকা, যা আমদানি করা মূল্যের থেকে ৫৫ গুণ বা ৫৫০০ শতাংশ কম। কাস্টমস সূত্র জানায়, শুধু এই দুটি আইটেম নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে।  এনবিআরের নথিতে এসব পণ্যের আমদানি ব্যয় এনবিআরের সার্ভারের (আমদানি-রপ্তানি ডেটাবেস) রেকর্ড মূল্যের চেয়ে ৫ থেকে ১৮ হাজার ৫৪৫ গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এই ডেটাবেসটি মূলত আমদানি রপ্তানি মূল্যসহ বৈদেশিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত তথ্যের একটি সংরক্ষণাগার।চালানটিতে থাকা অন্যান্য টুলসের মধ্যে রয়েছে সেট মেকানিক্যাল প্লায়ার, মাঙ্কি প্লায়ার, টুলবক্স, চিসেল অ্যান্ড স্পান্সার, স্প্যানার এবং কার ফিটার সেট প্রকৃতি। এসব পণ্য সরবরাহ করে জাপানের সুমিটোমো করপোরেশনের পক্ষ থেকে কেএস টুলস ওয়ার্কজেউজ।

 

দৈনিক দেশ রূপান্তর ত্রিকাটির প্রথম পাতার অন্যান্য খবরের মধ্যে অন্যতম, ‘ঈদের ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ’

প্রতিবেদনের তথ্য, আসছে ঈদুল ফিতরের ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। দুর্ভোগ এড়িয়ে ঈদে সবাই যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক থেকে এই সুপারিশ আসে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।কমিটির সুপারিশ আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।ঈদের ছুটি এক দিন বাড়ানোর বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ওই ছুটি না হলে ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার চাপ সব এক দিনে পড়বে। রাস্তায় চাপ কমাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা সুপারিশ আকারে আগামীকাল (আজ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন যাতে সময়মতো পরিশোধ করা হয়, সে জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক বেশিক্ষণ খোলা রাখা হবে, বন্ধের দিনও সেবা দিতে পারে যাতে শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ না হয়। শ্রমিকদের যে প্রাপ্য, সেগুলো যাতে সময়মতো পরিশোধ হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল (আজ) মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।’

এর আগে ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। তবে সরকার এবার রমজান মাস ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল হচ্ছে ধরে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করেছে। এর আগে ৭ এপ্রিল শবেকদরের ছুটি রয়েছে। শবেকদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা। অভিযোগ আমলে না নিলে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ : আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে ওদের (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) হেড অফিস এখানে না থাকার কারণে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ-কথা তারা শোনেও না। তারা যে শুনছে না, সেটা আমরা পাবলিকলি প্রচার করব। প্রয়োজন হলে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আগে প্রোপার নোটিফাই (যথাযথভাবে নোটিস) করব। আমাদের অভিযোগ যথাযথভাবে আমলে না নিয়ে তারা (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এসব ক্রাইম, গুজব অব্যাহত রাখছে এবং তাদের পক্ষ থেকে (প্রতিরোধে) কোনো উদ্যোগ নেই।’

 

দৈনিক প্রথম আলো’র শিরোনাম, ‘চালের দামও বেঁধে দেবে সরকার’

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কার্যকর করা যায়নি। এবার সারা দেশে চালের দাম বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গতকাল রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে চালের দাম বেঁধে দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরু চাল, চিকন চাল ও মোটা চাল—এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের নাম ও দাম ঠিক করা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে উৎপাদক, মিলমালিক, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে চাল বিক্রির একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য—এ তিন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজটি করেছে। আগামী পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে চালের নতুন দাম কার্যকর হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে ৬টি ধরনের আওতায় ১৫ জাতের চালের দাম ঠিক করা হয়। নির্ধারিত দর প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৪৮ টাকা, সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৫৭ পয়সা। অবশ্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন নির্ধারিত সর্বনিম্ন দামের চেয়ে তিনটি বিভাগীয় শহরে কম দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে—রাজশাহীতে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা এবং রংপুর ও সিলেটে ৪৬ টাকা। সারা দেশের জন্য একই দর নির্ধারণ নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, উৎপাদন এলাকা এবং গ্রামে ব্যয় কম, দামও কিছুটা কমে পাওয়া যায়। বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সব জায়গায় একই দর নির্ধারণ করা হলে যেখানে কম দামে পাওয়া যায়, সেখানেও বাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেশে চার বছর ধরেই চালের দাম চড়া। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, রাজধানীর বাজারে এখন প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। মাঝারি চাল ৫৫-৫৮ ও সরু চাল ৬৫-৭৬ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা। টিসিবির হিসাবে, ২০২০ সালের শুরুতে মোটা চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ৩০ টাকা। সরু চাল পাওয়া যেত সর্বনিম্ন ৪৫ টাকায়। গত এক মাসে চালের দাম ৩ থেকে ৮ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানায় টিসিবি। বাজারে চালের দাম বাড়লে তা মূল্যস্ফীতি বাড়াতে বেশি ভূমিকা রাখে। কারণ, মূল্যস্ফীতির হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে চালের দাম। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। নতুন সরকারের মন্ত্রীরাও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংকঋণের সুদের হারের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে। ফলে সুদের হার বেড়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চই রয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতেও মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি।এমন পরিস্থিতি গতকাল দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের বৈঠক হয়। এতে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

মেডিকেল কলেজের শিক্ষার হাল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। শিরোনাম, ‘সংকটে কাহিল স্বাস্থ্য শিক্ষা খাত’

বলা হচ্ছে, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা সরঞ্জাম ও জনবলের নিশ্চয়তা ছাড়াই ঘোষণা দিয়ে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ খোলার অনুমোদন দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ সরঞ্জাম ঘাটতিসহ নানা সংকট চলছে। যথাযথ তদারকি নেই স্বাস্থ্যশিক্ষার গুণগত মানের। এসবের সমাধান না করে নতুন নতুন মেডিক্যাল খোলায় এ সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন চিকিৎসক যাঁরা আসছেন, তাঁদের গুণগত মানে ঘাটতি থাকছে। এতে একদিকে যেমন বহির্বিশ্বে দেশের এমবিবিএস ডিগ্রিধারীর গ্রহণযোগ্যতা কমছে, অন্যদিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছেও এ দেশে পড়ার আকর্ষণ কমে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশনের (ডাব্লিউএফএমই) স্বীকৃতি না থাকায় ও আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। তাঁরা বলছেন, ডাব্লিউএফএমইর স্বীকৃতি না মিললে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। দেশে কাজ করতে পারলেও চিকিৎসকরা বিদেশে যেতে পারবেন না, বিদেশে কোনো চাকরি পাবেন না, পড়তে যেতে পারবেন না, কোনো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না। বাংলাদেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়তে আসা এক পর্যায়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ এখানে পড়াশোনা শেষে তাঁরা বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে পারবেন না বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন সম্ভব হবে না।

 

দৈনিক নয়াদিগন্তের শিরোনাম, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আজ থেকে বন্ধ হলো’

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেল। গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা থেকে কলিং ভিসার ভিডিআর আবেদন অটোমেটিক্যালি (সার্ভার) বন্ধ হয়ে যায়। মালয়েশিয়া সরকারের আকস্মিক শ্রমবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এর প্রভাব ঢাকার জনশক্তি ব্যবসায়ীদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ৩১ মার্চের মধ্যে যেসব কর্মীর নামে কলিং ভিসার ভিডিআর আবেদন সম্পন্ন করা হয়েছে সেগুলোর জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন থেকে ভিডিআর প্রিন্ট করার সুযোগ থাকছে। শুধু তাই নয়, কলিং ভিসা সম্পন্ন হওয়া কর্মীদের মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেয়া সর্বশেষ সময় আগামী ৩১ মের মধ্যে ফ্লাইটে পাঠাতে হবে। যেসব এজেন্সি কমী পাঠাতে ব্যর্থ হবেন, তাদের কপাল পুড়তে পারে বলে মনে করছেন জনশক্তি প্রেরণের ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। গত ২৯ মার্চ মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া ইমিগ্রেশনের পরিচালক (ফরেন ওয়ার্কার ডিভিশন) আইউব বিন আবদ রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদেশী শ্রমিকদের কলিং ভিসার ভিডিআর আবেদনগুলো ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত রিসিভ করবে। এরপর থেকে আর কোনো আবেদন তারা রিসিভ করতে পারবে না। একই সাথে চিঠিতে এ-ও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ৩১ মার্চের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব আবেদন জমা হবে সেগুলোর প্রিন্ট ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেয়া হবে। এসব কর্মীকে নিয়ে আসা ফ্লাইটগুলো ৩১ মে পর্যন্ত তারা রিসিভ করতে পারবে। এরপর আর কোনোভাবে বিদেশী শ্রমিকদের প্রবেশে অনুমতি দেয়া হবে না বলে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পরিচালকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যার পর মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নয়া দিগন্তকে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেল। কবে নাগাদ আবার এই শ্রমবাজার খুলতে পারে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের যে পরিমাণ লোক দরকার ছিল সেটি পরিপূর্ণ হওয়ায় তারা বিদেশী শ্রমিক আনার ওপরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে তাদের ধারণা, এবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বিদেশী শ্রমিকদের নামে একটি অংশ অবৈধভাবে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড হয়ে প্রবেশ করায় শ্রমিকের কোটা পূরণ হয়ে যায়। যার কারণে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশী শ্রমিক আনার ওপরে আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল মালয়েশিয়া থেকে একজন ব্যবসায়ী নয়া দিগন্তকে বলেন, কলিং ভিসা বন্ধ হলেও মালয়েশিয়া সরকার প্ল্যানটেশনের জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। এর ফলে এই সেক্টরে লোক নেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের। সেক্ষেত্রে তারা এফডব্লিউসিএমএস নয়, ম্যানুয়্যালি পদ্ধতিতে বিদেশী শ্রমিক নিতে পারে। আর প্ল্যানটেশনে ফিলিপিন্সসহ অন্যান্য রাষ্ট্র্র থেকে শ্রমিক চেয়েও না পাওয়ায় তারা শেষমেশ বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়। গতকাল রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত কলিং ভিসার আবেদন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের জন্য সোয়া ৪ লাখেরও বেশি কর্মীর কোটা দিয়েছিল। শুরুতে শ্রমিক যাওয়ার গতি স্লো হওয়ায় এই সুযোগে নেপাল থেকে প্রচুর শ্রমিক দেশটিতে চলে যায়। পরে অবশ্য শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম জোরেশোরে শুরু হলেও দেখা দেয় নানা সমস্যা। এর মধ্যে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক এখন মালয়েশিয়া গিয়ে কাজ ও বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এর জন্য মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর বিভাগ অনেকটা দায়ী বলে আগে থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। কারণ তারা এসব কর্মীর কাজ এবং বেতন ঠিক রয়েছে নিশ্চিত জেনেই কর্মীর নামে সত্যায়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর হয় এর উল্টো। অবশ্য মালয়েশিয়া হাইকমিশন থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা সমস্যায় থাকা শ্রমিকদের সমস্যাগুলো সমাধান করছেন।

 

দৈনিক বণিক বার্তার শিরোনাম ‘নর্থ সাউথসহ আট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ’  

খবরে উল্লেখ করা হয়, আয়কর না দেয়ার অভিযোগ তুলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ (এনএসইউ) দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই সঙ্গে বকেয়া কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে দুই ডজনের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে। এদিকে ঈদের আগে ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দ্রুতই তা খুলে না দিলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।  এনবিআরের একটি সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কর পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে এনবিআর। এর মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো হলো নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এছাড়া কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে।

জানা গেছে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বরাবর ৪ মার্চ চিঠি পাঠান ঢাকা কর অঞ্চল-১১-এর উপ-কর কমিশনার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। চিঠিতে আয়কর আইন ২০২৩-এর ২১৪ ধারা মোতাবেক বকেয়া কর পরিশোধের জন্য বলা হয়। ২০০২-০৩ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ১৬ অর্থবছরে মোট ১৮০ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৪ টাকা কর পরিশোধ করতে বলা হয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে। সেই সঙ্গে তা ১৫ মার্চের মধ্যে পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়। কর প্রদানে ব্যত্যয় হলে আয়কর আইন ২০২৩-এর ২৭৫ ধারা অনুযায়ী জরিমানা আরোপসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয় এনবিআরের ওই চিঠিতে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024