বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

শরীর-মনের ওপর ‘সংগীতের প্রভাব’ সম্পর্কে গবেষণা কি বলছে

  • Update Time : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪, ৫.২০ পিএম

গান শোনে নি এমন মানুষ পাওয়াই ভার।

মুক্তিযুদ্ধ, আন্দোলন সংগ্রাম, জীবনে চলার পথে সঙ্গীতের প্রভাব যে কতটা দৃঢ় তা মুক্তিযোদ্ধা বা সাংস্কৃতিবান মানুষরা ভালোই জানে।

শিরিষ কাগজ ঘষা, কাগজের খসখস শব্দ, হাতে হাত ঘষার শব্দ, তীক্ষ্ন শব্দ, যেমন, ব্ল্যাকবোর্ডে চক ঘষার আওয়াজে দাঁতে দাঁত চেপে আসে। প্রচন্ড রাগও লাগে।

আবার  যখন , আবার সাগরের ঢেউয়ের শব্দ শুনি, প্রাণ জুড়িয়ে যায় ।

আমাদের কান কখনোই বন্ধ হয়ে থাকে না। যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি তখনও ২০ থেকে ২০ হার্জ পর্যন্ত কম্পাঙ্ক শুনতে পায়। যার জন্য  আমরা শব্দ শুনলে বিপদের মুহূর্তে সতর্ক হয়ে উঠতে পারি।

ডয়চে ভেলের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, গবেষণায় বলছে অনেক শপিংমল, মার্কেট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গান বাজানো হয়। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রেতার অবচেতন মনকে প্রলুব্ধ করা যাতে তারা আরও বেশি কেনাকাটা করতে উৎসাহিত হন।  এমনভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শব্দ আমাদের মনোজগৎ বা সিদ্ধান্ত নেয়াকে প্রভাবিত করে। এভাবে আবহ নির্ধারক শব্দও আমাদের প্রভাবিত করে থাকে।

ব্যবসায়ীরাও শব্দের এ ক্ষমতাকে কাজে লাগান। গান আমাদের অবচেতন মনকে প্রভাবিত করে, জাগিয়ে তোলে ভিন্ন রকমের আবেগের মধ্যে।

কিন্তু গান ভালো হলেই কি ব্যবসার উন্নতি হবে?

ধীরলয়ের প্রশান্তির গান শুনলে সাধারণত আমরা দোকানে কিছুটা বেশি সময় পার করি এবং আমাদের কেনাকাটার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

তবে সব গানেই যে এমনটি হবে, তা কিন্তু ঠিক নয়।

ওই গানটি আমাদের ব্যক্তিগত ভালোলাগায় নাড়া দিতে হবে। পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হতে হবে, তাই না?

গবেষকরা বলছেন, গরুর দুধ উৎপাদন ৭.৫ শতাংশ বেড়ে যায় যখন বিথোভেনের গান বাজানো হয়। অন্যদিকে, পপ সঙ্গীত বাজানো হলে তা বরং ২.৫ শতাংশ কমে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, শব্দ প্রভাবিত করতে পারে সুইস এমেন্টাল পনিরের পরিপক্ব হওয়ার প্রক্রিয়াকেও।

এমনটিই দেখা গেছে, স্বাদের দিক থেকে, হিপহপ গানের সংস্পর্শে আসা পনিরই সেরা।

ডয়চে ভেলে অবলম্বনে

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024