সারাক্ষণ ডেস্ক: ঈদের আগে গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের জোর দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। আজ বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ ও গণ-সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার।
সমাবেশে তিনি বলেন; বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীত দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টসসহ রপ্তানীমূখী সেক্টরে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক আর প্রবাসী জনশক্তির মেধা ও শ্রমের উপর। অথচ এই দুই খাতের মুল জায়গা শ্রমিক ভাই বোনেরা সব সময়ই অবহেলিত।
প্রতিটি ঈদ আসলেই গার্মেন্টস কর্মীদের পাওনা বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়। ইতোমধ্যেই গাজীপুর, আশুলিয়া সহ বিভিন্ন যায়গায় বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে। সকল হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে ঈদের আগে সকল গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান তিনি।
এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে আজকের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, পবিত্র রমজান মাস শেষ হতে চলেছে। রোজার শেষে সাধারণ মানুষের খুশি নিয়ে আসে ঈদ। কিন্তু দুঃখের বিষয় মানুষের এখন আর ঈদের খুশি উদযাপনের সুযোগ নাই।
গরীব, দুঃখী, শ্রমজীবী মানুষের হক আজ লুট করে নিচ্ছে দেশের সুবিধাভোগী সামান্য কিছু মানুষ। জিনিস পত্রের দামের কারণে প্রয়োজনই মানুষ মেটাতে পারছেনা উৎসবতো অনেক কঠিন বিষয়। গার্মেন্টসে চাকরিরত অনেক ভাই বোনেরা বকেয়া বেতন ভাতা এখনো পায়নি। গাজীপুর, আশুলিয়া সহ বিভিন্ন যায়গায় শ্রমিকরা পাওনা বেতন ভাতা চাইতে গেলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করা হয়।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি বেচে আছে গার্মেন্টস আর প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য। অথচ তারা সব সময়ই অবহেলিত।
তিনি অবিলম্বে ঈদের আগে সকল গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ সরকারের’ সমালোচনা করে বলেন, ‘মুক্তবাজারের নামে চলমান লুটপাট ও সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা বহাল রেখে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের টাকা দিতে হবে। নানা অজুহাত দেখিয়ে বেতন-বোনাস থেকে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বঞ্চিত করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, দ্রব্য মূল্য নিয়ে সরকারের লালিত পালিত সিন্ডিকেট জনগণকে যখন পিষে মারছে ঠিক সেই সময়ে মরার উপর খারার ঘা হয়েছে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন। প্রতি বছর ঈদ আসলেই শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়। মাসকে মাস বেতন বকেয়া রেখে ঈদের আগে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় আর ঈদ আসলে তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এই অমানবিক আচরণ আমরা মেনে নিতে পারিনা। তিনি অবিলম্বে সকল শ্রমিক ভাই বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান ব্যাপারী, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব রনি মোল্লা, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক সিএমএইচ আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ পার্টির কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply