শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিদ্যুৎ বিলে ভোগান্তি, অবৈধ হাসপাতাল, এক্সপ্রেসওয়ের গতি ও ভারতে ফিরেছে কালাজ্বর

  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৫.৩৫ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক 

‘ ডিপিডিসি-ডেসকো, বিদ্যুৎ বিলে ভুলভ্রান্তি ভোগান্তিতে গ্রাহক’ বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিলিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো)। বিতরণ কোম্পানি দুটির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নতুন করে অভিযোগ তুলেছেন রাজধানীর বেশকিছু এলাকার গ্রাহক। ভুলভ্রান্তি ও ত্রুটিপূর্ণ বিলেরঅভিযোগ তুলে তারা বলছেন, ব্যবহারের তুলনায় অতিরিক্ত বিল আসছে তাদের। বিশেষ করে শীতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমলেও বিল এসেছে গ্রীষ্মের মতোই। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও বিল অনেক কমআসার নজিরও পাওয়া যাচ্ছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করছে বলছে অভিযোগ গ্রাহকদের। এছাড়া রাজধানীর অনেক প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের মিটার নষ্ট হলেও তা মেরামত করা হচ্ছে না বলেওজানিয়েছেন তারা। আর বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সিস্টেম লস কমাতে গ্রাহকের বিলে বাড়তি বোঝা যোগ করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে বিতরণকারী দুই কোম্পানির কর্মকর্তাদের বক্তব্য হলো এ ধরনের ‘‌দুর্ঘটনার’ সুযোগ এখন কম। তবে কারিগরি ত্রুটি বা মিটার কারচুপির কারণে কিছু ঘটলে সেটি সমাধানের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গ্রাহককে সংশ্লিষ্টএলাকার বিতরণ কোম্পানির অফিসে অভিযোগ দিতে হবে।

খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার ডিপিডিসির গ্রাহক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। জানুয়ারিতে ৩৩৪ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তার বিল এসেছে ৯ হাজার ৩১২ টাকা। আবার গত বছরের (২০২৩) অক্টোবরে ৫৮৮ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল এসেছে ৫ হাজার ২০৯ টাকা। বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করেও গত কয়েক মাস ধরে অব্যাহতভাবে বিল বেশি আসার কারণ তিনি জানেন না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ কোম্পানি দুটির এমনঅনেক গ্রাহক এখন বিদ্যুৎ বিল বেশি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে সুনির্দিষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। আবার সমস্যা সুরাহার বিষয়টিও আটকে থাকছে দীর্ঘদিন। এতে গ্রাহকের ভোগান্তিবাড়ছে।

 

কাওলা-কুতুবখালী ঢাকা এলিভেটেড প্রকল্প , এক্সপ্রেসওয়ের নামে ফ্লাইওভার – যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। বিস্তারিত হল অতিরিক্ত র‌্যাম্পের কারণে রাজধানীর কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেডএক্সপ্রেসওয়ে কার্যত ফ্লাইওভারে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এক্সপ্রেসওয়ে ওপর বা নিচ যে কোনোভাবেই হতে পারে। তবে এর মূল দর্শন হলো-বাধাহীন দ্রুতবেগে লম্বা দূরত্বে চলাচল। নগর সড়কেরসঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ কোনো বিবেচনায় যৌক্তিক নয়। তারা জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার। অন্যদিকে ঢাকার নগর সড়কের গতিবেগ ৫ কিলোমিটার, যা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতিরসড়ক। দ্রুতগতির গাড়িগুলো র‌্যাম্পে এসে আটকে যাবে। যার প্রভাব পড়বে ওপরের সড়কে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গতিবেগ কমে যাবে। ২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ ১০টি র‌্যাম্প হতে পারত। কিন্তু তারাএক্সপ্রেসওয়ে দর্শন থেকে সরে গিয়ে টোল আদায়কে প্রাধান্য দেওয়ায় ৩১টি র‌্যাম্প করেছে। সবগুলো র‌্যাম্প চালু হলে নগরে নতুন নতুন আরও যানজট স্পট তৈরি হবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা হয়ে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর দিয়ে যাত্রাবাড়ীর অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে হাইওয়েতে মিলবে এই সড়ক। আগামী জুনেরমধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার কথা; যদিও এ সময়ের মধ্যে তা সম্ভব নয়। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল আরও বাড়াতে হবে।

 

মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম ‘ অঘটন ঘটলেই জানা যায় হাসপাতাল অবৈধ! ‘। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলেই জানা যায় হাসপাতাল বা ক্লিনিক অবৈধ। বলা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরঅনুমতি  বা লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল হাসপাতালটি। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটার আগেই কেন এমন হাসপাতাল বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না বা তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্ন দীর্ঘ দিনের। সুন্নতেখতনার মতো সাধারণ সার্জারিতে সম্প্রতি দুইু শিশুর করুণ মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য খাতের অরাজকতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দুটি ঘটনা প্রকাশের পরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় দুটি হাসপাতালই অনুমোদনহীনভাবে চলছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দায়িত্ব নেয়ার পর অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন। মন্ত্রীর এমন নির্দেশ দেয়ার পরও একের পর এক ঘটনা সামনেআসছে।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কিছুদিনের চলা অভিযানে সারা দেশে এক হাজার ২৮৫টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই প্রশাসনকেতালিকা পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স থাকলেও তারা শর্ত মানছে না। অনেকের লাইসেন্সও নবায়ন করা নেই। লাইসেন্স দেয়া হয় এক বছরের জন্য, এক বছরের পর আবার নবায়ন করতেহয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের একজন সাবেক পরিচালক জানান, ঢাকা ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্লিনিকের লাইসেন্স যখন দেয়া হয় তখন ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি ভাড়া করে আনে মালিককর্তৃপক্ষ। সেটা দেখিয়ে তারা লাইসেন্স নেয়। ফলে অনেক ক্লিনিকই বাস্তবে শর্ত পূরণ করে না।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৪১৫টি অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে। এরপর ময়মনসিংহে ২৫২টি। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৪০টি, খুলনায় ১৫৬টি, রংপুরে ১১১টি, রাজশাহীতে ৫৫টি, বরিশালে ৪৮টি ও সিলেট বিভাগে ৮টি অবৈধহাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কোনোটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নিয়ে এর সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোনোটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরঅনুমোদন নিয়ে এর সঙ্গে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে। আবার কোনোটি শুধু লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ওই আবেদনের কপি ডেস্কের সামনে ঝুলিয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে জানাযায়, দেশে প্রাথমিক নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো। যাদের অনেকেই এক প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা মোবাইল নম্বর দিয়ে ১০ থেকে ১২টি নিবন্ধন করেছে।অনেকের নিবন্ধন নম্বর থাকলেও প্রতিষ্ঠান আলোর মুখ দেখেনি। তবে সারা দেশে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল আছে ৫ হাজার। এ ছাড়া ১০ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে অনুমোদন নিয়ে। ২০১০ সালের ২৮শেঅক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসার অবহেলায় ২৮০টির মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪০টির মতো নিষ্পত্তি করতে পেরেছে বিএমডিসি।

 

ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড শিরোনাম করেছে স্বাস্থ্য নিয়ে, – DG Health bans using anaesthesia at diagnostic centres, অর্থাৎ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেশিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।একই সাথে খাতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয় যেকোন ধরণের অপারেশনে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোন বিশেষজ্ঞ অ্যানসথেটিস্টের উপস্থিতি ছাড়া অ্যানেসথেশিয়া দেয়া যাবে না। বলা হচ্ছে কোনো অবস্থাতেই নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকছাড়া চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া দেয়া যাবে না।

 

সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র – প্রথম আলোর শিরোনাম। বিস্তারিত বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য থাকলেও দুই দেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য থাকলেও দুই দেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী রোববার ঢাকায় আসছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গতঅক্টোবরে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছিল নির্বাচনের পর বিভিন্ন স্তরে দুই দেশের মধ্যে সফর বিনিময় শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরটি হচ্ছে।

 

তারা আমাকে জেলে পাঠাতে পারে – ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার থেকে আরও একটি শিরোনাম করেছে মানবজমিন পত্রিকা। পত্রিকাটি লিখেছে জার্মানির একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের কারাবাসের আশঙ্কা প্রকাশকরেছেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জার্মানির সাপ্তাহিক ডি সাইট পত্রিকাকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার।

গণমাধ্যমটি লিখেছে, নিজ দেশে ৮৩ বছরের ইউনূসের কারাগারে যাওয়ার উদ্বেগ বাড়ছে। এমতাবস্থায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শত শত নোবেলজয়ী ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের মার্চ থেকেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একাধিক খোলা চিঠি লিখেছেন, যাতে তারা ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান ‘নিরবিচ্ছিন্ন হয়রানির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। কিন্তু শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে জানুয়ারিতে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এখন যদিও তিনি জামিনে আছেন।

 

Skill gap eaves NU students struggling in job market – অর্থাৎ দক্ষতায় কমতি থাকায় চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম। বলা হচ্ছেদেশের চাকরির বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, বিশেষ করে জাতির উন্নয়নে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে। শিক্ষাবিদরা বলছেন সরকারের২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা এবং যোগ্য শিক্ষকের অভাব।

 

চিনির দাম বিকেলে ২০ টাকা বাড়িয়ে রাতে প্রত্যাহার – কালের কন্ঠের শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয় রমজানের আগে দেশে উৎপাদিত চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্পকরপোরেশন (বিএসএফআইসি)। তবে দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপিতে তা প্রত্যাহার করা হয়। রোজার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দামনিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার মরিয়া। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি প্রতিষ্ঠান চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গতকাল বিকালে চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিএসএফআইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি মিলে চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গেসামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান  শিরোনাম ‘In 2023, India hit target towards eliminating Kala Azar (কালা জ্বর), first time’. খবরে বলা হচ্ছে,  ন্যাশনাল ভেক্টর বার্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেটা দেখায় যে2022 সালে 891 টি মামলা এবং তিনটি মৃত্যুর তুলনায় গত বছর দেশব্যাপী কালা আজরের ৫৯৫ টি কেস এবং চারটি মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়েছে। (কালা জ্বর বা ভিসেরাল লিশম্যানিয়াসিস (ইংরেজি: Visceral leishmaniasis, Sahib’s disease, Dumdum fever, Black fever) একটি রোগ যা লিশম্যানিয়াসিস রোগের কয়েকটি প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর। লিশম্যানিয়া গণভুক্ত এক প্রকার প্রোটোজোয়া পরজীবী এই রোগটি ঘটায় এবং বেলেমাছিরকামড় দ্বারা এটি বিস্তার লাভ করে।) ২০২৩  সালে, ভারত প্রথমবার কালা আজরকে নির্মূল করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করেছিল।

কালা জ্বর নির্মূলের জন্য ভারতের প্রাথমিক লক্ষ্য বছর ছিল ২০১০, যা পরে ২০১,২০১৭  এবং তারপর ২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কালা জ্বর নির্মূল করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে – দেশে ম্যালেরিয়ার পরে দ্বিতীয়মারাত্মক পরজীবী রোগ – ভারত ২০২৩  সালে সমস্ত ব্লকে প্রতি ১০,০০০ জনসংখ্যার একটির কম রিপোর্ট করার লক্ষ্য অর্জন করেছে৷  ন্যাশনাল ভেক্টর বার্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেটা দেখায় যে ২০২২ সালে ৮৯১ টি মামলাএবং তিনটি মৃত্যুর তুলনায় গত বছর দেশব্যাপী কালা জ্বরের ৫৯৫  টি কেস এবং চারটি মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে কেন্দ্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) এই তথ্য জানিয়েছে। যদিও এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত – ভারতকে আগামী তিন বছরে এই গতি বজায় রাখতে হবে WHO শংসাপত্রপাওয়ার জন্য – এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, এই বিবেচনায় যে ভারত কালা আজার নির্মূলের জন্য কমপক্ষে চারটি সময়সীমা মিস করেছে।

 

গতকালের বৃষ্টি নিয়েও শিরোনাম করেছে বেশ কিছু পত্রিকা। দেশ রুপান্তরের শিরোনাম ছিল  রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি।  খবরে বলা হচ্ছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়েছে। দিনের বেলা রোদ ও গরম আর মাঝরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা শীত। বসন্তের শুরু থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমনই। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস। বিকেল ৩টার পর একটু একটু করে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। ৪টার পর শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। কর্মব্যস্ত রাজধানীর পথচারীরা তখন মাথার ওপর একটুখানি ছাউনি খুঁজতে ছোটাছুটি করছেন। কেউ হয়েছেন কাকভেজা। তবে ফাল্গুনের এমন বৃষ্টি কৃষিতে প্রকৃতির আশীর্বাদ বলে মনে করেন কৃষকরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ায়। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৩ মিলিমিটার। আবহাওয়াবিদদের মতে, ঝুম বৃষ্টি হয়েছে সিলেট বিভাগে। সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২২ মিলিমিটার আর শ্রীমঙ্গলে ২০ মিলিমিটার।

একই প্রসঙ্গে শিরোনাম করেছে বণিক বার্তা। লিখেছে ফসল উৎপাদনে কারো আশীবার্দ কারো শঙ্কা। বলা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে মাঠে রয়েছে রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসল। এর মধ্যে আগাম আলু, পেঁয়াজ, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল তুলেছেন কৃষক। তবে মূল মৌসুমের অধিকাংশ ফসল এখনো মাঠে। আম, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে এ বৃষ্টি অনেকটা আশীর্বাদ বলে মনে করছেন কৃষক। আবার বিভিন্ন স্থানে গম ও সবজির ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, বাগেরহাটসহ আরো কয়েকটি জেলায় গতকাল বৃষ্টিপাত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024