শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

জেল থেকে বের হওয়ার ২০ দিনের মাথায় হলেন প্রেসিডেন্ট, উঠে এলো গাজার ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

  • Update Time : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ৬.১৫ পিএম

সমকালের প্রথম পাতার একটি খবর – ‘তেলের লরি উল্টে আগুন তিনজন নিহত, দগ্ধ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাকভর্তি তরমুজ নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকায় আসবেন কৃষক আল আমিন। তখন তাঁর ১০ বছরের মেয়ে মীম বায়না ধরে, সেও আসবে বাবার সঙ্গে। সাভারে মামার বাড়িতে বেড়াতে যাবে সে। মেয়ের আবদার ফেলতে পারেননি বাবা। তাই মেয়েকেও ট্রাকে তুলে নেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তাদের ট্রাকটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের হেমায়েতপুরের জোড়পুল এলাকা পার হচ্ছিল। এ সময় সেখানে একটি তেলের লরি উল্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে শিশু মীম, তার বাবাসহ আশপাশের কয়েকটি যানবাহনের অন্তত ১০ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে সিমেন্টবাহী ট্রাকের হেলপার ইকবাল হোসেন (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আড়তদার নজরুল ইসলাম (৪৫)। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরমুজবাহী ট্রাকের চালক হেলাল হাওলাদারের (১৮) মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দগ্ধ সাতজন এখন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তরমুজবাহী ট্রাকটির হেলপার সাকিব হোসেনের (১৫) শরীর শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এ ছাড়া সিমেন্টবাহী ট্রাকের শ্রমিক মিলন মোল্লার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনিও ঝুঁকিমুক্ত নন। দগ্ধদের স্বজনরা বলছেন, জীবিকার তাগিদে তাদের প্রিয়জন বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছিলেন। তেলের লরি উল্টে যাওয়া ছিল পৃথক দুর্ঘটনা। কিন্তু সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া তেল তাদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে এনেছে।

দগ্ধ অপর তিনজন হলেন একেএইচ গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম, প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির গাড়িচালক মো. আলামিন ও তরমুজের ট্রাকে থাকা কৃষক নিরঞ্জন রায়। গতকাল বার্ন ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) সামনে গিয়ে দেখা যায় গুরুতর দগ্ধদের স্বজনের ভিড়। কেউ কেউ উচ্চ স্বরে কাঁদছেন। তাদের মধ্যে হেলালের মামাতো বোন সুইটি বেগম সমকালকে জানান, বরগুনা সদরের ছোট গৌরীচন্না এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন হেলাল। তাঁর বাবা জয়নুদ্দিন হাওলাদার অনেক আগেই মারা গেছেন। মা আলেয়া বেগম ভিক্ষা করে একমাত্র সন্তানকে বড় করে তুলেছেন। অভাবের সংসারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই পরিবহন খাতে যুক্ত হন হেলাল। এরই মধ্যে তিনি ট্রাকচালক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় মালপত্র বহন শুরু করেন।

 

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের শিরোনাম, Bassirou Diomaye Faye sworn in as Senegal’s youngest president’.

প্রতিবেদনে জানা যায়, কারাগার থেকে বের হওয়ার ২০ দিনের মাথায় সেনেগালের প্রেসিডেন্ট হলেন বাসিরু দিওমায়ে ফায়ে। ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সাবেক এই কর কর্মকর্তা। একটি বড় সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা পেরিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সেনেগালের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৪৪ বছর বয়সী ফায়ে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল ১২ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতা ধরে রাখবে এমন শঙ্কার অবসান ঘটে ফায়ের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিরোধী দলীয় নেতা ওউসমানে সোনকোকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন ফায়ে।

এর আগে ২০২১ সালে ওউসমানে সোনকোকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার জেরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নেয়। সশস্ত্র ও মুখোশধারী হামলাকারীদের হাতে নিহত হন বহু মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে বছর মার্চ থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনেগালে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফায়েও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। দিওমায়ে ফায়ে ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা ওউসমানে সোনকোর সমর্থক। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১১ মাস কারাগারে থাকার পর গত মাসে নির্বাচনের ঠিক আগে আরও অনেকের সঙ্গে ফায়ে ও সোনকোকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেনেগালে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। তবে নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট সল দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন স্থগিত করেন। দুর্নীতিবাজদেরও প্রার্থীর তালিকায় রাখার অভিযোগ তুলে ওই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সেনেগালের সাংবিধানিক পরিষদ প্রেসিডেন্টের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়। গেল ২৪ মার্চ সেনেগালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশটির ৭০ লাখ বাসিন্দার ৬৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

 

সার আমদানি নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সারের আমদানি ব্যয় কমেছে ৫১ শতাংশ, কৃষক সুফল পাবেন কি

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে সব ধরনের সারের দাম। ফলে আগের চেয়ে কম মূল্যে পণ্যটি আমদানি করতে পারছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সারের আমদানি ব্যয় কমেছে ৫১ শতাংশের বেশি। যদিও গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণটি আগের দামেই কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার আগের চেয়ে অর্ধেক দামে সার আমদানি করলেও এতে কৃষক লাভভান হচ্ছেন না। কেননা দেশের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। এতে করে কৃষি খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। কমে যাচ্ছে কৃষকের মুনাফার মার্জিন। একই সঙ্গে তা খাদ্যের উৎপাদন এবং বাজার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। প্রভাব ফেলছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতেও। দেশে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি)—এ চার ধরনের সারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রাসায়নিক এসব সারের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম ওঠে রেকর্ড সর্বোচ্চে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের আগস্টে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ায় সরকার। গত বছরের এপ্রিলে আরেক দফায় কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়ানো হয় সব ধরনের সারের দাম। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ২৭ টাকা, ডিএপি ২১, টিএসপি ২৭ ও এমওপির দাম ২০ টাকা। কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কৃষির প্রায় সব উপকরণের দামই গত দুই বছরে বেড়েছে। এর মধ্যে সারের উচ্চমূল্যের কারণে বিপাকে রয়েছেন কৃষক। সেই সঙ্গে কয়েক বছর ধরে বীজ, সেচ ও সার্বিক উৎপাদন খরচ বাড়তি। এতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্যহ্রাসের সঙ্গে দেশের বাজারেও কমালে কৃষকরা এর সুফল পাবেন। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপকরণের দামও কমে আসবে বলে তাদের মত।

 

সংবাদমাধ্যম গলফ টাইমসের শিরোনাম, UN-World Bank report estimates Gaza infrastructure damages at $18.5bn’.

প্রতিবেদনে জানা যায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ছয় মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তাদের হামলার প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে ছোট এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে শুরু থেকেই গাজার বিভিন্ন জরুরি স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে থাকে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলি এই ধ্বংসযজ্ঞ এতই ভয়াবহ ছিল, যুদ্ধের মাত্র চার মাসে প্রায় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ৮৫০ কোটি ডলারের অবকাঠামো হারিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় চার মাসে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার সম্মিলিত জিডিপির ৯৭ শতাংশের সমান।

জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা নজিরবিহীন। অব্যাহত যুদ্ধে গাজার সব বাড়ির প্রায় ৬২ শতাংশ বা ২ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধে গাজায় মোট ক্ষয়ক্ষতির ৭২ শতাংশ আবাসন খাতে হয়েছে। অর্থের মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ ১৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।পানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৯ শতাংশ। বাণিজ্য ও শিল্প সম্পর্কিত ভবনে ৯ শতাংশ। জ্বালানি, পানি ও পৌর খাত ৮০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে গাজার জনসাধারণ ন্যূনতম সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না বলে প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার মতো গাজার শিক্ষাব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গাজায় ৬ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এখন তাদের কেউ আর স্কুলে যেতে পারছে না। ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫৬টি স্কুল ধ্বংস হয়েছে এবং ২১৯টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৪১ মিলিয়ন ডলার।

 

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘চালের পোকা মারার ট্যাবলেটে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি’।

খবরে বলা হচ্ছে, চালের পোকা দমনে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইডের (গ্যাস ট্যাবলেট নামে পরিচিত) যথেচ্ছ ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। একই উদ্দেশ্যে ডাল, সুজি, গম ও শাক-সবজিতেও অতি বিষাক্ত এই কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা বলছেন, সুরক্ষার নিয়ম না মেনে ব্যবহার করা হলে এটি ব্যবহারকারী ও ভোক্তার জন্যই ‘বিষ’ হয়ে উঠতে পারে। মাত্রা বেশি হলে ঘটাতে পারে মৃত্যুও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড অতিমাত্রায় বিষাক্ত অজৈব যৌগ। খাদ্যশস্য গুদামজাতকরণে এর ব্যবহার বিশ্বব্যাপী। তবে তা করা হয় শুধু গুদামে এবং সুরক্ষার নিয়ম মেনে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি গুদাম, আড়ত, পাইকারি এমনকি খুচরা দোকানেও চালের বস্তায় পোকা দমনে নিয়ম না মেনে যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে রাজধানীর মুদিদোকানেও ব্যবহৃত হচ্ছে। নজরদারি না থাকায় বিক্রি হচ্ছে অলিগলিতেও; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। কারণ, অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বাতাসের সংস্পর্শে এসে জীবননাশী টক্সিক গ্যাস ফসফাইন উৎপাদন করে। অথচ ব্যবহার ও বিক্রেতা—কেউই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ড. বে-নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফসফাইন গ্যাস মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারে। ১৫-২০ বছর আগে কুমিল্লায় একটি খাদ্যগুদামে ফসফাইন গ্যাস ব্যবহারের পরদিন ওই গুদামে ঢুকে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। এটি খাদ্যে ব্যবহার করা যাবে না। এতে মানুষের নানা রোগ হতে পারে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, পুরান ঢাকার বাবুবাজার, বাদামতলী, কারওয়ান বাজারের চালের আড়ত ও পাইকারি দোকান থেকে শুরু করে বনশ্রী, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকার মুদিদোকানেও চালের বস্তার পোকা মারতে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ব্যবহারের কথা ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাই জানিয়েছেন। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের একটি চালের আড়তের এক শ্রমিক বলেন, চালের বস্তায় পোকা হলে ভেতরে একটি গ্যাস ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে বস্তাটি আলাদা করে ঢেকে রাখা হয়। এক দিন পরই সব পোকা মরে যায়। তবে একই মার্কেটের আরেকটি আড়তের দুই শ্রমিক পোকা ধরা একটি চালের বস্তায় অর্ধেক ট্যাবলেট দেওয়ার কথা বললেন।

 

 

বান্দরবানে ব্যাংক লুটের ঘটন নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সোনালী ব্যাংকে লুট, ম্যানেজার অপহরণ ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সশস্ত্র বাহিনীরা।  অস্ত্রধারীদের হামলায় ইউএনও অফিস ও ব্যাংকের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার ভূমি) দিদারুল আলম জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে রুমায়। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। পুলিশ, আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। সবার মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে। মারধরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে ব্যাংক থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। অন্তত একশ জনের মতো সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রুমা উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের এলাকাগুলো ঘেরাও করে লুটপাট চালিয়েছে। রুমা উপজেলাজুড়ে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তাণ্ডব লুটপাটের সঙ্গে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ জড়িত। রুমার ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, ডাকাত দল সোনালী ব্যাংক লুট করেছে বলে শুনেছি। পুলিশ আনসারের অস্ত্রও লুট করেছে। রুমায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024