শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ- আমেরিকা সম্পর্ক বাস্তবে একটি স্মার্ট গেইম

  • Update Time : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৩.২৮ পিএম

স্বদেশ রায়

বাংলাদেশ -আমেরিকা সম্পর্কের মধ্যে নতুন বেশ কিছু আঙ্গিক ও বিষয় যোগ হবার  কাজটি শুরু হতে চলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে কিছু কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিক বাংলাদেশকে আমেরিকার একটি টেস্ট কেস হিসেবে উল্লেখ করলেও- বাস্তবে বিষয়টি তেমনটি ছিলো বলে আমেরিকার কোন পদক্ষেপ ওই সময়ে প্রমান করেনি। বরং যা ঘটার ছিলো তার আশি ভাগ না হোক সত্তর ভাগ ঘটেছে। শতভাগ না ঘটার ক্ষেত্রে আমেরিকার কোন ভুল বা পদক্ষেপ দেখা যায় না। কিছু ভুল বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের ওপরই পড়ে।

যাহোক, নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে যে বিষয়টি সামনে এসেছিলো, তা এমনটিই স্পষ্ট করে, আমেরিকা বাংলাদেশকে যে টেস্ট কেস হিসেবে ব্যবহার করলো না তা কেবল মাত্র প্রতিবেশ দেশ ভারতের কারণে। যেহেতু ভূরাজনৈতিক কারণে, ভারতের এখানে কিছু স্বার্থ রয়েছে, অন্যদিকে এশিয়াতে ভারত এখন আমেরিকার বড় বন্ধু।

বিষয়টির এতটা সরলীকরণ কি ঠিক? কোন কিছু এত সরলীকরণ কখনই সঠিক নয়। বরং বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যে বিষয়গুলো দেখা যায়, বাংলাদেশের দুই বড় প্রতিবেশী এবং আপাত বৈরি সম্পর্কের দেশ চায়না ও ভারত বাংলাদেশ ঘিরে তাদের নিজ নিজ সমর্থ ও স্বার্থকে হিসেব করে একটি টেকনিক্যাল সমঝোতায় এসেছিলো। দুটি দেশের হয়তো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলটিকে নিয়ে হিসাবটির একই ফোকাল পয়েন্টে ছিলো। সেই বিন্দুতে তাদের মিল হয়ে যায়। আর তা ছিলো, তাদের উভয়ের মতে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মূল নেতা যতটা ডেলিভার করতে পারেন, এ মুহূর্তে তাঁর বিকল্প কারো সে সক্ষমতা নেই। এ ছাড়া চায়না হয়তো ধরে নিয়েছিলো, আগামী দিনগুলোতে যে অর্থনৈতিক ধাক্কা আসবেতা বাংলাদেশের মত ছোট দেশকে সামাল দিতে গেলে চায়নার সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই তাদের নতুন বিনিয়োগ, বানিজ্য এবং পুরোনো বিনিয়োগের নিশ্চয়তা দুটোই নিশ্চিত হবে।

এর বিপরীতে ভারতের চিন্তা হয়তো এমন ছিলো, কোন দেশেই অন্যকোন দেশ তাদের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। তাই  হয়তো তাদের চানক্য কূটনীতি হিসেবে করেছিলো, যতটুকু বেশি পাওয়া যায় সেটাকেই যথেষ্ট মনে করা ভালো। তাছাড়া ভারতের আরো একটি হিসাব এখানে আসতে পারে,  বাংলাদেশে চায়নার অর্থ প্রবাহ ও অবাধ বানিজ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্যের ভবিষ্যত ও উত্‌পাদন প্রতি মুহূর্তে নষ্ট করছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ২০ কোটির এই বাজারে চায়নিজ পণ্যের মূল্য স্বল্পতার কারণে যেমন একটি সহজ বাজার রয়েছে- তেমনি ভারতীয় কিছু পণ্যেরও রয়েছে ন্যাচারাল বাজার। তাছাড়া তারাও টেকনোলজিতে এগুচ্ছে। তাই নিকট ভবিষ্যতে চায়নার থেকে কিছু বেশি খরচেও যদি তারা প্রযুক্তিগত পণ্য উৎপাদন করে তাহলেও পরিবহন খরচ কম হবার কারণে তারা চাইনিজ পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় গিয়ে বাজার দখল করতে পারবে। এ ধরনের হয়তো আরো অনেক হিসেব চায়না ও ভারতকে সমান্তরালে নিয়ে এসেছিলো বাংলাদেশ প্রশ্নে। অন্যদিকে হয়তো সেটা মোটেই বিব্রত বা কোনরূপ প্রশ্ন ওঠার মতো জায়াগাতে আসেনি বাংলাদেশের কোন পক্ষ থেকে। তাই স্বাভাবিকই এখানে আমেরিকার তার নিজস্ব স্বার্থের বাইরে গিয়ে আর ভারতের পক্ষ নেবার বা চায়নার বিপক্ষ হবার কোন দরকার পড়েনি। আমেরিকার এই দরকার না পড়াকে অনেকে আমেরিকার পিছিয়ে যাওয়া মনে করতে পারে। অনেকে আবার আগ বাড়িয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের বিজয় মনে করতে পারে। কিন্তু কখনই কি মনে করা সঠিক হবে, ভারত আমেরিকাকে দিয়ে এটা করিয়েছে বা আমেরিকা ভারতের জন্যে এটা করেছে! রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি কি কখনও এমনটি করে?

বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার যে বিষয়গুলো সেটা আমেরিকার নিজস্ব। আর বাস্তবে তা নিয়ে আমেরিকা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগুবে। যেমন নির্বাচনের অনেক আগেই পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশকে আবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আই এম এফ- এর  দিকে ঝুঁকতে হয়েছে। আমেরিকা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চায় তাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক , আই এম এফ এর একটি নজরদারী থাকুক। অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের এ পৃথিবীতে এটা আমেরিকার জন্যে অনেক বেশি সুবিধার। এছাড়া নির্বাচনের আগে আমেরিকার নিরাপত্তা বিভাগ সরাসরিই কথা বলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। আর নির্বাচনের পরে সব থেকে বড়  ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছরের প্রান্তে এসে ইউক্রেনের জনগনের অস্তিত্বের জন্যে তাদের যে প্রেসিডেন্ট লড়ছেন,  সদা অলিভ গেঞ্জি পরিহিত সেই জেলেনেস্কি’র সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক। যা ছিলো মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সব থেকে বড় ঘটনা। নিঃসন্দেহে এই ঘটনার প্রবাহমান ধারা বাংলাদেশ ও আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। কারণ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই বৈঠক পরবর্তী ডেভেলপমেন্ট নিঃসন্দেহে একটু হলেও একটা নতুন রেখা তৈরি করবে।

এরপরেই আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের আরো বেশ কিছু বিষয় এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মিউনিখ থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাগরের তেল গ্যাস অনুসন্ধানের শুরু’র বিষয়টি ঈংগিত দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এ কাজটি করতে হবে। এর থেকে অনেকটা স্পষ্ট হয়, কাজটি দূরের কোন দেশ করলেও করতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রতিবেশীগন যেন রুষ্ট না হয়। বাস্তবে সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে আমেরিকা ও ইউরোপেরর কয়েকটি দেশের কোম্পানি অনেক বেশি দক্ষ। তবে এই ধরনের কয়েকটি কোম্পানি’র নানার ইতিহাস রয়েছে- যা প্রতিরক্ষা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পঞ্চাশের দশকের ইরানেরটি অনেক বড় ঘটনা। এ সব মিলে একটু দূর ও একেবারে নিকট প্রতিবেশী চায়না ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই এসব কোম্পানি নিবার্চিত করার বিষয় বিবেচনায় আসে। তাই তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুধুমাত্র এনার্জি’র বিষয় নয়, এটা ভূ -রাজনৈতিক ও জটিল কূটনীতির সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া যে সাগরে এই তেল ও গ্যাস তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ভারত যুক্ত এবং পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের পথ বেয়ে চায়নাও অনেকখানি যুক্ত হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের সরকার ও সরকারের কাঠামো পরিবর্তনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এই পরির্বতনের সঙ্গে সমুদ্র সীমায় ও সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় শুধু আধিপত্য নয়, নিরাপত্তার গতি প্রকৃতি পরিবর্তনেরও একটা প্রশ্ন আছে। এখানে ভারত ও চায়নার হিসাব নিকাশের বাইরে আমেরিকার যেমন একটা নিজস্ব হিসাব নিকাশ আছে -তেমনি বাংলাদেশেরও।

বর্তমানে যেভাবে মিয়ানমারের গতি প্রকৃতি এগিয়ে চলেছে তাতে এভাবে শেষ হলে ভারত এক ধরনের ক্ষতির শিকার হবে, আমেরিকা অন্য ধরনের ক্ষতির শিকার হবে। তাছাড়া বর্তমানে যেভাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্র কাঠামোর ভবিষ্যত  ও রাজনীতির ভবিষ্যত এগুচ্ছে তাতেও যেমন বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর কোন ভবিষ্যত আশা দেখা যায় না। এমনকি এর বিপরীতের আমেরিকার যে গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের চাহিদা, সেখানেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের আশা খুব বেশি নেই। অন্যদিকে, মিয়ানমার ঘিরে যতগুলো পক্ষ রয়েছে কেউই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। বিষয়টি এখন একেবারেই বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে গেছে। শুরুতেও এটাই ছিলো। তবুও ক্ষীণ আশা ছিলো, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে রাখাইনে কোন একটি এলাকা তৈরি করে সেখানে তাদের ফেরত পাঠানো যায় কিনা? অবশ্য জাতিসংঘ ও পশ্চিমারা আরেকটি গাজা তৈরি করবে কিনা, তাও প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একদিকেবাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে আরাকান আর্মির অস্ত্র সরবরাহের চক্র, অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের উগ্র গ্রুপ আরসা চক্র।

মিয়ানমার, মিয়ানমারসীমান্ত , মিয়ানমারের সমুদ্র বন্দর ও সমুদ্রকে ঘিরে যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশকেই সরাসরি এগুতে হবে। কারণ, এখানে বাংলাদেশের স্বার্থ সম্পূর্ন তার নিজস্ব, বাকিদের স্বার্থের চরিত্র ভিন্ন।

এর বাইরে যেমন ইন্দো-প্যাসিফিক, তেমনি ইউরোপীয় সীমান্ত নিরাপত্তা ও ইউক্রেনের যুদ্ধে আমেরিকার বিশাল বিনিয়োগ। ইউরোপীয় সীমান্ত নিরাপত্তা ও ইউেক্রেনে বিশাল বিনিয়োগ করে, ইউক্রেন যুদ্ধকে চলমান রেখে রাশিয়ার দুর্বল করার প্রক্রি‍য়ার সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার আরেক পদক্ষেপ। তাহলো রাশিয়ার সঙ্গে অন্য ছোট বড় সব ধরনের  দেশগুলোর অস্ত্র সহ অনান্য বানিজ্য বন্ধ বা কমিয়ে আনার চেষ্টা- যা আমেরিকা প্রতি মুহূর্তে করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বানিজ্য ডলারের বাইরে অন্য কোন মুদ্রায় করার সক্ষমতা রাখার একটা বিষয় রয়েছে। তেমনি রয়েছে শুধু আমেরিকান অস্ত্র নয়, আগামী ২০২৬ এর মধ্য জার্মানীও তার অস্ত্র উত্‌পাদন দ্বিগুন করবে। সে অস্ত্রও ছোট ছোট অনেক দেশের কাছে বিক্রি হবে। এই সব ক্রেতাদের অনেককে আমেরিকা বা ন্যাটো চাইবে তাদের বর্তমানের ক্রেতার কাছ থেকে বের করে নিয়ে আসতে।

এর বাইরে রয়েছে, বাংলাদেশের শস্তা শ্রম দিয়ে যে পোষাক তৈরি হয় তার বড় বাজার আমেরিকা ও ইউরোপ। ভারত ও চায়না নিজ নিজ বাজারের জায়গা হয়তো কিছুটা ছাড়বে- তবে তা কোন মতেই বিকল্প নয়।

এই সব মিলিয়ে এমনই দাড়ায় আমেরিকা ও বাংলাদেশ তাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেবার যে চলমান প্রক্রিয়ায় আছে- সেখানে দুই দেশের নিজ্স্ব বিষয়ই বেশি। তৃতীয় কোন পক্ষের স্থান সব সময়ের জন্যে নয়। তারা শুধু নিজ নিজ অবস্থানে বসে তাদরে লাভের গতি প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের কাজগুলো করার চেষ্টা করবে। এবং এটাও সত্য সকলেই এখানে তাদের গেম স্মার্টলি খেলবে, বাংলাদেশও নিশ্চয়ই সেখানে পিছিয়ে থাকবে না। সর্বোপরি, বাংলাদেশ সরকার এ মুহূর্তে আমেরিকা নিয়ে তার নিজ দেশে সব থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। কারণ, সরকারের বাইরে বড় দল বিএনপি সহ ডান, বাম যত ক্ষুদ্র দল আছে তারাও এ মুহূর্তে আমেরিকার প্রতি আস্থাশীল। আমেরিকা বা অন্য কোন দেশকে নিয়ে বাংলাদেশের কোন সরকার এ ধরনের ঐকমত্য এর আগে কখনও কোনদিন পায়নি। বর্তমানের এই জটিল ভূ -রাজনৈতিক সময়ে যে কারণেই এ ঐক্য হোক না কেন, তার ফল যে কোনভাবে দেশের ঘরে তোলা উচিত।

 লেখক: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও সারাক্ষনের সম্পাদক

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

2 responses to “বাংলাদেশ- আমেরিকা সম্পর্ক বাস্তবে একটি স্মার্ট গেইম”

  1. Deepak Chowdhury says:

    চমৎকার। এককথায় অসাধারণ বিশ্লেষণ।

  2. Prof. Md. Habibur Rahman says:

    “বাংলাদেশ- আমেরিকা সম্পর্ক বাস্তবে একটি স্মার্ট গেইম”
    ভারত, চিন, রাশিয়া এবং আমেরিকা এ চারটি রাষ্ট্রের বাংলাদেশ কে ঘিরে তাদের স্বার্থ অভিন্ন নয় আবার বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমার কে ঘিরে ঐ রাষ্ট্রগুলোর ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে আছে যা তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সাথে জড়িত । এমতাবস্থায় ” সবার সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরীতা নয়” আমাদের এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত সবার সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন, যা প্রমাণিত। কোন পক্ষে ঝুকে অন্য পক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিবে না সেটি পরস্পর বৈরী রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশ বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বলে অনুমিত হয়।এ ক্ষেত্রে দৃঢ়চেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কনো বিকল্প চিন ও আমেরিকার সামনে নেই এটিই এখন বাস্তবতা। এ লেখা চলমান জটিল আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে সকলের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে সঠিক অবস্থান নিতে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024