ব্রিটিশ জাতীয় দৈনিক ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র ডেইলি মিরর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম, Kachchativu Island Debate: Political fodder, No Serious Intentions.
প্রতিবেদনে জানানো হয়. ভারতে আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য প্রচার এবং প্রার্থীদের বাক-বিতন্ডা চলার মধ্যেই শ্রীলংকার একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ ‘কাচ্চাতিভু’কে কেন্দ্র করে বহু বছর আগে কংগ্রেসের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতি। ১৯৭৪ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই দ্বীপের দাবি ছেড়ে দিয়ে তা শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দিয়েছিলেন বলে এক জনসভায় অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওদিকে, পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টি বলেছে, ভোট আসছে, তাই ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কাচ্চাতিভু নিয়ে সরব হয়েছে।
কাচ্চাতিভূ তামিলনাড়ু রাজ্যে রামনাথপুরম জেলার রামেশ্বরম শহরে পাক স্ট্রেইট এর একটি দ্বীপ। এই স্ট্রেইটের অপর পাশে আছে শ্রীলংকা। শ্রীলংকার দিক থেকে কাচ্চাতিভুর অবস্থান জাফনা নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিমে। এ দ্বীপের আয়তন প্রায় ১ দশমিক ৯ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপটিতে একটি গির্জা আছে। ভারত ও শ্রীলংকা দুই দেশের পুণ্যার্থীরা সেখানে বার্ষিক ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে। ১৯২১ সাল থেকে ভারত এবং শ্রীলংকা (তখন নাম ছিল সিলন) দু’দেশের জেলেরাই দ্বীপটিতে মাছ ধরার অধিকার দাবি করে আসছিল। পরে ১৯৭৪ সালে ভারত দ্বীপটির ওপর দাবি ছেড়ে দিলে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। দু’বছর পর একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে দু’দেশেরই জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ হয়। এতে ক্ষোভ বাড়ে ভারতীয় মৎসজীবীদের। কংগ্রেসের সেই কয়েকদশক পুরোনো সিদ্ধান্তই এখন আবার খবরের শিরোনাম হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর তোলা অভিযোগ থেকে।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম, Mine workers trapped in mountains after Taiwan quake.
প্রতিবেদনে জানানো হয়. তাইওয়ানে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯ জনে সীমিত থাকলেও আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনো ৫২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ঘটা এ ভূমিকম্প পঁচিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এই ভূমিকম্প প্রতিবেশী চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও অনুভূত হয়েছে। লোকজন কাজে আর শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার সময় ভূমিকম্পটি হয়।
তবে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মূলত পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টি হুয়ালিয়েনেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাউন্টিটির অধিকাংশ অঞ্চল জনবিরল গ্রামীণ এলাকা। রাজধানী তাইপের ভবনগুলোও ভূমিকম্পে ভীষণভাবে কেঁপে উঠেছিল, কিন্তু এখানে ক্ষয়ক্ষতি ও বিশৃঙ্খলা অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে। তাইওয়ানের দমকল পরিষেবা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ১০৫০ জনে দাঁড়িয়েছে আর এখনো পর্যন্ত ৫২ জন নিখোঁজ আছে।
সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম- ‘দুর্ধর্ষ ব্যাংক লুটের পর ভরদুপুরে ব্রাশফায়ার’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১৬ ঘণ্টা আগেই ব্যাংক লুটের জন্য বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে বান্দরবানের রুমা অন্ধকার করেছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই থানচির ডাকাতিতে আলো-ঝলমল দুপুরকেই বেছে নিল পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। প্রকাশ্যে থানচিতে গতকাল বুধবার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। থানচি সদরের শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজারে ঢোকে। এর পর থানচি উচ্চ বিদ্যালয়-সংলগ্ন সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা নিয়ে যায় তারা।
সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ ও কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তারা লুট করে। কমান্ডো কায়দায় অপারেশন শেষে সশস্ত্র দলটি থানচি বাজারে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তিনটি গাড়িতে চাঁদাপাড়া এলাকার সড়কের দিকে তারা চলে যায়। ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি উপজেলার দুই সরকারি ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনায় পুরো বান্দরবান জেলায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জেলার সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় আজ লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা শহরের সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা, নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। লুট করা হয় পুলিশ-আনসারের ১৪ অস্ত্র ও ৩২০ রাউন্ড গুলি। গতকাল রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাখা ব্যবস্থাপকের খোঁজ মেলেনি। তাঁকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ থেকে বান্দরবানে শুরু হবে যৌথ অপারেশন। নজিরবিহীন এই ধারাবাহিক ডাকাতিতে পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ বা বম পার্টি জড়িত বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
‘দস্যুদের সঙ্গে দরকষাকষি শেষে জটিলতা ডলার পাঠানোয়’ — এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন।
এতে বলা হয়েছে, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে দরকষাকষি প্রায় শেষ। এখন নাবিকদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা হবে, জাহাজটি সেখান থেকে কীভাবে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাবে এবং মুক্তিপণের টাকা কোন প্রক্রিয়ায় জলদস্যুদের কাছে পৌঁছানো হবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ। এখন মূলত এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও মুক্তিপণের টাকার নিশ্চয়তাসহ নানা বিষয় সামনে চলে আসছে। ফলে ঈদের আগে যে নাবিকরা মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরতে পারবেন না, সেটা এক প্রকার ধরে নেওয়া যায়।
জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে জানিয়ে সরকারের নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির জন্য জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন শুধু কোন প্রক্রিয়ায় তাদের টাকা দেওয়া হবে, নাবিকদের কীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে ও জাহাজটি কীভাবে সেখান থেকে আনা হবে এসব ব্যবস্থাপনার কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো ঈদের আগে এই স্বল্প সময়ে সম্ভব নয় বলে ঈদের আগে নাবিকদের ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না কৌশলগত কারণে।’মুক্তিপণের টাকা হস্তান্তর প্রক্রিয়াটিও চ্যালেঞ্জের, এ কথা জানিয়ে ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘আগে জলদস্যুদের একজন মিডিয়া থাকত। এখন আন্তর্জাতিক চাপের কারণে সেই মিডিয়া অনেক ক্ষেত্রেই নেই। তাই এসব টাকা দস্যুদের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। আর এ টাকা তো দেশ থেকে যাবে না।’
‘এপ্রিলের শুরুতেই গ্রামে লোডশেডিং বেড়েছে’— প্রথম আলোর প্রথম পাতার শিরোনাম।
এই খবরে বলা হয়েছে যে দুই বছর ধরে গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিংয়ে ভুগছে মানুষ। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এরই মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের কোথাও কোথাও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়লেও জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। গতকাল বুধবার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। ওই সময়ে সরবরাহ ঘাটতি ছিল ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি, যা লোডশেডিং দিয়ে পূরণ করা হয়েছে। এর পুরোটাই করা হয়েছে মূলত ঢাকার বাইরে, দেশের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায়। আগের দিন মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়লা থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে। এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে বিদ্যুৎ খাতে। তেলচালিত কেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন। অবশ্য দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দফায় দফায় বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। এরপরও প্রতিবছর বাড়ছে সরকারের ভর্তুকি। তবু নিশ্চিত হয়নি বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে এখনো প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাপমাত্রা কম থাকলে সবাই বিদ্যুৎ পায়। আর তাপমাত্রা বাড়লে মানুষকে লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয়।
‘বড় ছাড় গ্রুপভুক্ত ঋণখেলাপিদের’, খবরটি যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার।
এতে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের আদায় বাড়াতে এবং নতুন ঋণখেলাপি হওয়া ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তখনই খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কোনো গ্রুপভুক্ত পরিচালক, প্রতিষ্ঠান বা কো¤পানিগুলো খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে বড় ছাড় পাবে। আগের নিয়মে কোনো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বা কোনো ব্যক্তি খেলাপি হলে ওই গ্রুপের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নতুন ঋণ পেত না। খেলাপি ঋণ নবায়ন করে নতুন ঋণ নিতে হতো। এখন থেকে কোনো গ্রুপের কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা পরিচালক খেলাপি হলেও ওই গ্রুপের খেলাপি কোম্পানি, পরিচালক বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যরা ব্যাংক ও ফিন্যান্স কোম্পানি থেকে নতুন ঋণ নিতে পারবে। এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সূত্র জানায়, মূলত বড় ঋণখেলাপিদের পক্ষে রাজনৈতিক চাপেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরছিল, ঠিক তখনই এমন সিদ্ধান্ত খেলাপি ঋণের ব্যাপারে এ ধরনের বড় ছাপের ফলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটি খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উলটো যাত্রা। এতে খেলাপি ঋণ আদায় কমে যাবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হবে কম। একই সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত গ্রুপগুলোর জন্য ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ, বিদ্যমান নীতির কারণে এখন গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত খেলাপি হয় না, হলেও তা দ্রুত নবায়ন করে ফেলে। কারণ, গ্রুপের একটি কোম্পানি খেলাপি হলে একই গ্রুপের অন্য কোনো কোম্পানি নতুন ঋণ পাবে না। ফলে তাদের পুরো ব্যবসা আটকে যেতে পারে। এ কারণে গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত খেলাপি হয় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সার্কুলারের ফলে কোনো গ্রুপের কোনো কোম্পানি খেলাপি হলেও ওই গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলো নিয়মিতভাবেই নতুন ঋণ পাবে। ফলে গ্রুপের একটি কোম্পানি খেলাপি হলেও এতে কোনো সমস্যা হবে না। এ কারণে যেসব গ্রুপ অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তারা কোনো একটি ছোট বা কম গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিকে খেলাপি করে ওই ঋণ অন্য খাতে নিয়ে ব্যবহার করতে পারে। একই সঙ্গে নতুন ঋণও নিতে পারবে। এতে ঋণখেলাপি কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি গ্রুপের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ আরও বেড়ে যাবে। জনগণের আমানত নিয়ে তা ফেরত না দেওয়ার প্রবণতাও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে, কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনোরূপ নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করবে না। তবে একই আইনের অন্য একটি ধারার বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট গ্রুপভুক্ত কোনো খেলাপি ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমতে প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা না হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে, তাহলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি হওয়ার কারণে ওই গ্রুপভুক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি বলে গণ্য হবে না। এরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘A hostel of nightmares’.
এতে বলা হয়েছে, প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক উন্নত জীবনের জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। সেই দেশে পৌঁছানোর জন্য তারা প্রত্যেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করেছিলেন।
কিন্তু মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর তাদেরকে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের সেপাং জেলার একটি অত্যন্ত নিম্নমানের নোংরা হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হয়েছিলো।
একটি রুমে তাদের ২০ থেকে ২৫ জনকে ভাগাভাগি করে থাকতে হতো। তাদেরকে সেখানে পর্যাপ্ত খাবার খেতে দেওয়া হতো না। তাদের কাজ কী এবং মজুরি কেমন, তা জানার চেষ্টা করলেও তাদেরকে সেসবের কিছুই জানানো হয়নি। একসময় তারা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।
বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর,‘শিক্ষক সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে সরকারি কলেজগুলোয়’—এতে বাংলাদেশ শিক্ষাতত্ত্ব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে, দেশে সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকট ক্রমেই বেড়ে চলছে।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পটিয়া সরকারি কলেজ। কলেজটি সরকারীকরণ হয় ৪৪ বছর আগে। বর্তমানে এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক সংকট। প্রতিষ্ঠানটিতে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৪৯ জন। এ অনুযায়ী কলেজটিতে প্রতি ২০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র একজন। কলেজটিতে সর্বশেষ নতুন শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল এটিকে সরকারি করার সময় ১৯৮০ সালে। সে সময়ে এখানে শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়েছিল ৫৬টি। এরপর গত ৫৩ বছরে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। যদিও এ সময় নতুন করে আর কোনো শিক্ষকের পদ সৃজন করা হয়নি। এমনকি এখন এ ৫৬ পদের মধ্যেও আটটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে এ কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রির প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন একজন। অ্যাকাউন্টিংয়ে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন তিনজন। দর্শনের জন্য শিক্ষকের পদ মাত্র দুটি। এমনকি কলেজটিতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া আর কোনো অধ্যাপকের পদ নেই। একই সমস্যায় কম-বেশি ভুগছে দেশের অধিকাংশ সরকারি কলেজ। বাংলাদেশ শিক্ষাতত্ত্ব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষক সংকট ক্রমেই বেড়ে চলছে। বর্তমানে সরকারি কলেজগুলোয় প্রতি শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী আছে ৯৭ জন, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে দেশে সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ছিল ১:৭৯।
ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি কলেজগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত সবচেয়ে বেশি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কলেজগুলোয়। এসব কলেজে এখন প্রতি ১১৭ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন একজন। এছাড়া স্নাতক পর্যায়ে ৭৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন, ডিগ্রি (পাস) কলেজগুলোয় ৫৫ ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোয় ৪১ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন।
Leave a Reply