যুগান্তরের শিরোনাম ‘দীর্ঘ ছুটিতে ঈদযাত্রা, বাস ট্রেন লঞ্চে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ‘
খবরে বলা হচ্ছে, অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। শনিবারও রাজধানী ছাড়বেন উলেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ। ঈদের লম্বা ছুটি ঘিরে মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করায় সড়ক, নৌ ও ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেড়েছে আকাশপথেও। তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে। ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।
যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন। বাস সংকটে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ে। পোস্তগোলা ব্রিজের ওপর বাস কাউন্টার থাকায় সড়কে যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের শিরোনাম, India removes export curbs on essential goods for Maldives despite strained tries
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে ভারতের। এর মধ্যে প্রায়ই ভারতবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। এমন সময় মালের অনুরোধে দেশটিতে চাল–গম–পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মালেতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। এসব পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারতের। তবে বিশেষ বিবেচনায় এবার মালদ্বীপে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে মালদ্বীপের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানায় মালেতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। এর প্রেক্ষিতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিশেষ বিবেচনায় ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরে এসব পণ্য মালদ্বীপে রপ্তানি করতে যাচ্ছে ভারত। এই ব্যবস্থা প্রথম ১৯৮১ সালে শুরু হয়েছিল। এবার এর আওতায় সর্বোচ্চ পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হবে মালদ্বীপে।
মালদ্বীপে রপ্তানি করা হবে ২১ হাজার ৫১৩ টন আলু, পেঁয়াজ ৩৫ হাজার ৭৪৯ টন, চাল ১ লাখ ২৪ হাজার ২১৮ টন, আটা ১ লাখ ৯ হাজার ১৬২ টন, চিনি ৬৪ হাজার ৪৯৪ টন, ডাল ২২৪ টন, পাথর ১০ লাখ টন ও নদীর বালি ১০ লাখ টন। গত বছর মালদ্বীপের চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালান। নির্বাচনে ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে জনসাধারণের বিপুল সমর্থন পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভারত ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দিল্লিকে মালদ্বীপে অবস্থানরত ৮৮ ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তাকর্মীকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান মুইজ্জু। পরে এই বিষয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকও হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাদের প্রথম ব্যাচটি গত মাসে মালদ্বীপ ছাড়ে। এছাড়া বাকি সেনা সদস্যদের আগামী দুই মাসের মধ্যে মালদ্বীপ ছাড়ার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল, What could the ‘suspicious powder’ sent to judges be? All you need to know.
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে পাঠানো চিঠির সঙ্গে পাওয়া রহস্যজনক সাদা পাউডারের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের চারজন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আটজন ও লাহোর হাইকোর্টের ছয়জন বিচারক রহস্যজনক চিঠি পান। এতে বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ হুমকিমূলক চিঠিপি পেয়েছিলেন লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি আলী বকর নাজভি। এরপর সিটিডি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে দুটি অভিযোগ দায়ের করে এবং তদন্ত শুরু করে।
সূত্রটি জানায়, চিঠির সঙ্গে পাওয়া পাউডারে ১০% আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এর মাত্রা বেশি হলে তা ‘খুব বিষাক্ত’ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এরই মধ্যে তদন্তকারীরা তদন্তকারীরা রাওয়ালপিন্ডির স্যাটেলাইট টাউনের উপবিভাগীয় পোস্ট অফিস থাকা লেটার বক্সগুলোর কাছের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতীয় ডেটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে ভিডিওতে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে। কয়েকদিন আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি সাদা পাউডার মেশানো চিঠি পান। সেগুলোতে সম্ভব অ্যানথ্রাক্স ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসা ও সুপ্রিম কোর্টের আরও তিনজন বিচারপতি একই ধরনের চিঠি পান। একই ধরনের চিঠি পান লাহোর হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতিও। আজ সর্বশেষ চিঠিটি পান বিচারপতি বকর নাজভি।
আজকের পত্রিকার শিরোনাম, ‘ভয়ে থানচি ছাড়ছে মানুষ‘
খবরে বলা হচ্ছে, ‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’কথাগুলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফজলপাড়া বাজারসংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা নুরবানু বেগমের। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। সে সময় থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রাণভয়ে থানার পাশের ফজলপাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাঙালিপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। গুলির শব্দ থামার পর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরে তারা। মাঝরাতে আলীকদমে চেকপোস্টে হামলার খবর আসে। এমনিতেই রুমা ও থানচিতে তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তার মধ্যে থানা ও চেকপোস্টে হামলা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার থানচি থেকে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
গতকাল থানচির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদের গাড়িতে এলাকা ছাড়ছে অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল ছিল কম। বাঙালিপাড়ার মো. মাসুম উর ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছি। আপাতত বান্দরবান সদরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি।’পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা আক্রমণের চেষ্টার আগে কেএনএফের একটি দল রেকি করে। এরপর উপজেলার নাইক্ষ্যানপাড়া থেকে থানার দিকে আসার চেষ্টা করে ৮০-৯০ জনের সশস্ত্র দল। উপজেলার হাসপাতাল রোড দিয়েও ৩০ জনের একটি দল থানা আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।
এটি প্রথম আলোর শিরোনাম, ‘কেএনএফের বিরুদ্ধ যৌথ অভিযান‘
খবরে বলা হচ্ছে পরপর তিন দিন কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ শনিবার সেখানে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে এবং অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে পরপর এসব হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। আজ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিত অভিযান শুরু হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনার পর গতকাল দুপুরে সেখানে পরিদর্শনে যান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সঞ্জয় সরকার। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিনের ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনার পর গতকাল সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পাশাপাশি তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলার সময় ব্যাংকের অপহৃত ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর গতকাল পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে র্যাব। এ বিষয়ে জানাতে গতকাল বেলা ১১টায় বান্দরবানের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘গ্রামে গ্রামে লোডশেডিং ভোগান্তি‘। মানবজমিনের শিরোনাম।
এই খবরে বলা হচ্ছে, তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এ অবস্থায় শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে লোডশেডিং বেড়েছে বেশি। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কোথাও ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে জনজীবনে। জ্বালানি সংকট থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আর এতে হচ্ছে লোডশেডিং। এমনটা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার ধামরাই উপজেলার হুমায়ুন খান নামের এক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। গরম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। গত বছরও ভরপুর গরমের মৌসুমেও বিদ্যুতের লোডশেডিং সহ্য করতে হয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। গত ৫/৭ দিন বিদ্যুতের মারাত্মক লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ এসে মাত্র আধাঘণ্টা থাকে। বিদ্যুৎ আসে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা পর। এ ছাড়া সার্ভিসের নামে সপ্তাহে শুক্রবার বা শনিবার সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না। কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা শাহনাজ বেগম বলেন, তিন-চারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করলেও সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা রাত ১২টার পর থেকে। তখন ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়। ময়মনসিংহ এলাকার বিদুু্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিস্থিতি খুব খারাপ আকার ধারণ করেছে। এক সপ্তাহ ধরে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ মেগাওয়াট। কোথাও ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতি থাকছে। সামনের দিনগুলোতে আরও খারাপ হওয়া আশঙ্কা তার। লোডশেডিং বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, গ্যাস সরবরাহের কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যেখানে গ্যাসে ৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছিল সেখানে ১৫০০ মেগাওয়া কম উৎপাদন হয়েছে।
Leave a Reply