শিবলী আহম্মেদ সুজন
আড়ং মানে গ্রাম বাংলার মেলা। এক সময়ে গ্রামের আড়ং থেকেই শখের জিনিস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সংসারের জিনিস পত্র কেনা হতো। বিভিন্ন পর্বে যেখানে আড়ং বসতো সেখানেই হতো ভিড়।
একবিংশ শতাব্দীতে সেই আড়ংকে শহরে তুলে আনা হয়েছে শুধু নয়, ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আর আড়ং এর পণ্য এখন শুধু ঈদ বা বিভিন্ন উত্সবের অংশ নয়। বিদেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন উপহার মানেই আড়ং এর পণ্য। আড়ং এর পণ্য ছাড়া এখন কোন উত্সবের পরিপূর্ণতা কল্পনা করা যায় না।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে পাঞ্জাবি, শাড়ি, কামিজ, থেকে শুরু করে বেল্টের ও এসেছে নানান নতুন ডিজাইন। আর রাজধানীর প্রতিটি আড়ং শপ এখন আড়ং মেলায় পরিণত হয়েছে।
আজ শনিবার , জুমাতুল বিদার পরের দিনে আবার সপ্তাহেরও প্রথম দিন । দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট। বনানীর আড়ং এ গিয়ে দেখা গেলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোষাক কেনা-কাটায় ব্যস্ত।
আড়ং-এর ক্রেতা সাধারণ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্ত শ্রেনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ বলেই ধরে নেয়া হয়, তবে নিম্ম মধ্যবিত্তের ভিড়ও সেখানে উপচে পড়ে।
ঈদ-উল- ফিতর উপলক্ষে বনানীর আড়ং-এর প্রথম সেকশনে মেয়েদের জন্য কাপড়ের নতুন কালেকশন রাখা হয়েছে। আরও রয়েছে মেয়েদের গহনা, কসমেটিকস, হ্যান্ড ব্যাগ,জুতা, থ্রি-পিস ,পার্স, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী ইত্যাদি ।
আড়ং-এর দ্বিতীয় সেকশনে রয়েছে মেয়েদের শাড়ি , ছোট গাছের টপ,সোপিজ, বিছানার চাঁদর, বালিশ, পাপোস, থালা-বাসন,চায়ের কাপ ,সিরামিকের গ্লাস, সিরামিকের চায়ের কেতলি ,সিরামিকের বাটি, কাঠের নৌকা , কাঠের বানানো বিভিন্ন জিনিসপত্র ,বেতের তৈরি ঝুড়ি , মুড়া ইত্যাদি ।
আরও রয়েছে বাচ্চাদের জামা- কাপড় ,জুতা,বেল্ট ,বাচ্চাদের খেলনা, ট্যাডি , পুতুল , বিভিন্ন লেখকদের গল্প-উপন্যাস সহ নানা ধরনের বই ।
আড়ং-এর শেষের সেকশনে রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি,বেল্ট,মানিব্যাগ ,জুতা ,শার্ট,টি-শার্ট ,লুঙ্গি, ব্লেজার স্যুট ,ইত্যাদি।
ক্রেতারা আড়ং-এ বিভিন্ন সেকশন ঘুরে তাদের প্রিয় মানুষের জন্য ঈদের জামা-কাপড় কিনছেন ।
আবার কেউ কেউ ঈদের পাশাপাশি পহেলা বৈশাখের জন্যও একসাথে বৈশাখের পাঞ্জাবি ,শাড়ি, ফতুয়া কিনেছেন।
ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আড়ং-এ ক্রেতাসমাগম এতটাই বেশি যে আড়ং এর স্টাফদের দম ফেলানোর ফুসরত নেই ।
ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত আড়ং থেকে ঈদের জামা-কাপড় কিনতে পেরে খুবই আনন্দিত ।
Leave a Reply