পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
নেগোশিয়েশানের দীর্ঘসূত্রিতা
নেগোশিয়েশান বা আলাপ- আলোচনার দীর্ঘসূত্রিতা সঠিক পথ নয় বলেই সাধারণত ধরে নেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে দীর্ঘসূত্রিতা বলতেই সঠিক নয়- এমনটি বলে দেয়া উচিত নয়।
কারণ যে কোন সমস্যার সমাধান সব সময়ই নির্ভর করবে সমস্যার চরিত্রের ওপর। যে সমস্যার চরিত্র যত জটিল, তার সঙ্গে যত বেশি পক্ষ জড়িত -সে সমস্যার সমাধান হতে সময় নিতেই পারে।
এ ক্ষেত্রে কোন প্রকৃত আলোচক বা নেগোশিয়েটর কখনই হতাশ হবেন না। বরং তাকে রিলে রেসের মত সমস্যাটির সমাধান তার পরবর্তী কাউকে বা উত্তরাধিকারকে দেবার জন্যেও মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
এই প্রস্তুতি’র অর্থ এ নয় যে সমস্যার সমাধান হবে না বলেই তিনি উত্তরাধিকারকে দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এই প্রস্তুতির অর্থ নেতা কত বেশি বাস্তব ভিত্তিক সেটাই প্রমান করে।
নেগোশিয়েশানে বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ
সমস্যার সমাধান যে একটি আলোচনার মধ্য দিয়ে হবে তা কখনই নয়। আর কখনই এমন একটা মানসিকতা নিয়ে আলাপ-আলোচনায় বসা উচিত নয়। আলোচনার সব সময়ই মূল উদ্দেশ্য হবে, আলোচনা যেন কখনই অন্য খাতে না যায়। আলোচনায় যেন সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উভয় পক্ষ বা সব পক্ষ সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
একজন ভালো নেগোশিয়েটরের গুরুত্ব এখানেই তিনি আলোচনার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে এবং সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। স্মার্ট নেতাকে নেগোশিয়ানের বিষয়ে এই সহজ উপস্থাপনের বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হয়।
অন্যপক্ষকে আপন করে নেয়া
অন্যপক্ষকে স্মার্ট নেতা অবশ্যই তার ব্যবহার ও কথাবার্তার মধ্য দিয়ে আপন করে নেবেন। যদিও রাজনৈতিক, কর্পোরেট এমনকি কোন সংগঠন সবই একটা কাঠামো। তারপরেও সব কিছুতেই একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply