শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

সিরিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ শিশু নিহত, ‘ঈদযাত্রার ধকলের সঙ্গে যন্ত্রণা ‘গলাকাটা’ ভাড়া’

  • Update Time : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩.০৭ পিএম

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘খাদ্যের দাম বিশ্বে কমে, দেশে বাড়ে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে স্বস্তিতে আছে বিশ্ববাসী। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (এফএও) জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে ছিল। যদিও একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে প্রায় দিশেহারা ছিল বাংলাদেশের মানুষ। কারণ, এখানে গত তিন বছরে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম ন্যূনতম ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এই বাড়ার চিত্র খোদ সরকারি হিসাবে। বাস্তবে তা আরও বেশি। গত শুক্রবার এফএও তাদের মাসিক ‘ফুড প্রাইস ইনডেক্স’ বা খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক প্রকাশ করেছে। সেই সূচকে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে থাকা খাদ্যপণ্যের মূল্য মার্চ মাসে এসে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যসূচক ছিল ১১৭ পয়েন্ট (১০০ পয়েন্ট হচ্ছে ভিত্তি)। আর মার্চ মাসে তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১১৮ পয়েন্ট। ফেব্রুয়ারির খাদ্য মূল্যসূচক ১১৭ পয়েন্টে পৌঁছানোর আগে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যসূচক এই স্তরে ছিল। এফএও বলছে, মার্চ মাসে যে বিশ্ববাজারে খাদ্য মূল্যসূচক সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা মূলত ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদার কারণেই হয়েছে। তবে এখনো বিশ্ববাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমতির দিকে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্ববাজারের ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশের বাজারে। বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে এখানে কয়েক বছর ধরে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন বাড়িয়েছেন আমদানিকারকেরা। এরই ধারাবাহিকতায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন পণ্যের দাম। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির ২০২১ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৪ মার্চ সরু চালের কেজিপ্রতি দাম ছিল সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। একই চাল তিন বছর পর ৭৬ টাকায় বিক্রি হয়। দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। তিন বছরে খোলা আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্যাকেট আটার দাম বেড়েছে ৭১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ ছাড়া লুজ সয়াবিন তেলের দাম ২৫ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ও পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। বড় দানা ডালের দাম বেড়েছে ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। দেশি ডালের দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৪০ শতাংশ। দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ১২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। দেশি আদার দাম বেড়েছে ২২০ শতাংশ। আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১০৯ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আলুর দাম বেড়েছে ১২৫ শতাংশ ও চিনির দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশ। প্রতিবার দাম বাড়ানোর সময় একেক অজুহাত দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কখনো কোভিড, কখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আবার ডলারের দর বাড়া। তবে বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, যতই তাঁরা যুক্তি দেখান না কেন, এখানে অতিমুনাফালোভী চক্র সক্রিয় থাকার কারণেই মূলত জিনিসপত্রের দাম এত লাগামহীন বেড়েছে। কারণ এ সময়ে আমদানি করা পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, একই তালে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়েছে। অথচ এসব পণ্য আমদানিতে ডলার লাগেনি, জাহাজভাড়া দিতে হয়নি কিংবা যুদ্ধের কারণে সরবরাহব্যবস্থায় কোনো বাধা তৈরি হয়নি।

 

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের আজকের শিরোনাম ছিল Roadside bomb kills seven children in southern Syria, says state media’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  সিরিয়ায় বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে অন্তত ৭ শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুজন। শনিবার (৬ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশের বরাতে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, দারা প্রদেশের সানামাইন শহরে জঙ্গিদের একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়েছে। অঞ্চলটিতে এটি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এতে করে সাত শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

অন্যদিকে ব্রিটিশ মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিভিন্ন বয়সের আট শিশু এ বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এতে আহত হয়েছে আরও একজন। সেখানকার অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা ডিভাইসটি পুঁতে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,  সিরিয়ায় ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। এ অভ্যুত্থানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দারা প্রদেশ। তবে ২০১৮ সালে রাশিয়ার সমর্থনে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। এরপর পুনরায় দারায় বাশার আল- আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। তখকার সময় থেকেই দারা প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রদেশটিতে ক্রমাগত হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় ভয়াবহ সংকট নেমে এসেছে।

 

পাকিস্তানের the express tribune পত্রিকার আজকের শিরোনাম ছিল Pakistan slams Indian defense minister’s war talk’.

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টার পর পাকিস্তানে পালালে দেশটিতে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার এই মন্তব্য করেন তিনি। এর একদিন যেতে না যেতেই আজ শনিবার এর কঠোর প্রতিবাদ জানাল পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্য উত্তেজনাপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টিহীন। এই মন্তব্যের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে কেবল সংঘাতের আশঙ্কাই বাড়বে। পাকিস্তান সর্বদা এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। পাকিস্তান নিজেদের প্রতিরক্ষায় যথেষ্ট শক্তিশালী, ইতিহাস সে কথাই বলে।

এর আগে শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ভারতে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে তাকে প্রতিহত করা হবে। এমনকি ওই ব্যক্তি পাকিস্তানে পালালেও দেশটিতে ঢুকে হত্যা করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত কখনো কোনো দেশে হামলা করে না। এমনকি কোনো দেশে হামলা করার অভিপ্রায়ও ভারতের নেই। ভারত কোনো এলাকা দখলের চেষ্টা করছে না। তবে, ভারতের শান্তির পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’

  

 ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Is KNF getting support from foreign countries?’

কেএনএফ-কে ঘিরে নানা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট- কেএনএফ এর কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং সম্প্রতি এই গোষ্ঠী যেসব অপরাধমূলক তৎপরতা চালিয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে গোষ্ঠীটি বিদেশি কোন গ্রুপ থেকে সমর্থন পাচ্ছে কিনা। সরকারি কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতি পরিস্থিতি স্পষ্ট করার চাইতে আরও বেশি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রতিবেশী দেশগুলোর অপরাধীদের সাথে কেএনএফ-এর কথিত সংযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিদেশিরা তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও উঠে এসেছে।

তবে চট্টগ্রামে বক্তৃতাকালে ড. মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফের তৎপরতা দমনে সরকার অভিযান শুরু করেছে। এই গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে একটি সড়ক প্রকল্প উদ্বোধনের সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিদেশি সহায়তার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন, বিশেষ করে ভারতের মিজোরাম বা অন্য কোথাও থেকে যে সহায়তা আসার অভিযোগ উঠছে। একটি ছোট দল পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট দলটি শুধু বান্দরবানের। দলটির কয়েকজন যুবক অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বান্দরবানে ধারাবাহিক ব্যাংক ডাকাতির পর কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন। এর সাথে সম্ভাব্য বিদেশি সংযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করার কথাও জানান তিনি।

 

ঈদ যাত্রার ভোগান্তি নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ঈদযাত্রার ধকলের সঙ্গে যন্ত্রণাগলাকাটাভাড়া

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একে তো ঈদযাত্রায় নানামুখী ধকল, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘গলাকাটা’ ভাড়ার যন্ত্রণা। প্রতিবছরের মতো এবারও ঘরমুখো মানুষের পকেট কাটছেন কতিপয় বাস মালিক। দূরত্ব ও বাসভেদে ১০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়াও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। কোনো যাত্রী পথে নেমে গেলেও বাস কোম্পানিগুলো ঠিকই সর্বশেষ গন্তব্যের ভাড়া নিচ্ছে। অসহায় যাত্রীরা এসব অনিয়ম মেনে নিতে বাধ্যও হচ্ছেন।  পরিবহন মালিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ সময়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া রাখা হয়। এখন সঠিক ভাড়া রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গন্তব্য থেকে বাস ফেরার সময় বেশির ভাগ সিটই খালি থাকছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের কারণে ট্রিপ সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ফলে এ ছাড়া বিকল্প নেই।

এদিকে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, রাজধানীর বাস, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। গতকাল শনিবারও যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। তবে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন গন্তব্যে যারা ঢাকা ছেড়েছেন, তাদের গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পার হতেই দুই থেকে চার ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। এ পথের যাত্রীদের বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট যাত্রীদের বেশ ভোগাচ্ছে। বিশেষ করে টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও যানবাহনের জট লেগেছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, একটি বাসের শেষ গন্তব্য ধরে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, একটি বাসের শেষ গন্তব্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা। অন্য সময় মাগুরার যাত্রীদের কাছ থেকে ৪৫০ টাকা ভাড়া রাখা হতো। এখন মাগুরার যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া রাখা হচ্ছে ৬৫০ টাকা। দেশের অন্য রুটের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে।

 

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ, ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

ব্যাংক খাত নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্বল এক বা একাধিক ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খারাপ ব্যাংকগুলো এক না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূত করতে পারবে। ইতিমধ্যেই দুটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। দুর্বলমানের সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের পর সম্প্রতি এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই নীতিমালার কিছু কিছু বিধান এ উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডি চাকরি হারাবেন। পরিচালকরা পাঁচ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না। এদিকে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টসহ দুর্বল আরও তিনটি ব্যাংক তুলনামূলক সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) একীভূত হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে।

একীভূতকরণ নিয়ে এই চার ব্যাংকের মধ্যে চলতি সপ্তাহে চুক্তি হতে যাচ্ছে। এগুলোর বাইরে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক। ঈদের পরই ব্যাংক দুটির মধ্যে একীভূতকরণ চুক্তি হতে পারে। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাকরি হারাবেন এমডি-ডিএমডিরা: নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন। এ ছাড়া একীভূত হওয়া দুই ব্যাংকের মধ্যে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকের পরিচালক আগামী ৫ বছর অন্য কোনো ব্যাংকে পরিচালক হতে পারবেন না। তবে পাঁচ বছর পর আবার একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফিরতে পারবেন। যদিও এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু শর্ত মানতে হবে।

 

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘সুশাসনের অভাবই সমস্যা

ব্যাংক খাতের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ ও তারল্য সংকটের কারণেই মূলত দেশের ব্যাংক খাতে এক ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, সুশাসনের অভাব ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণেই বাকি দুটি সমস্যার সৃষ্টি। এছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনজন অর্থনীতিবিদের দৃষ্টিতে ব্যাংক খাতের এমন চিত্র উঠে এসেছে। এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরি।

তারা আরও বলেছেন, ব্যাংক খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে হবে। ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। জালজালিয়াতি বন্ধ করতে হবে। ঋণখেলাপিদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। ব্যাংক পরিচালনায় রাজনৈতিক ও পরিচালকদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ব্যাংক সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনবে না। গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে হবে। তাহলে আমানতপ্রবাহ বাড়বে। অন্যথায় ব্যাংক খাত নিয়ে সামনে এগুনো যাবে না। আর ব্যাংক খাত ভালো না হলে অর্থনীতিতে চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান দিতে পারবে না। তখন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংক খাতের প্রধান ও একমাত্র সমস্যা হচ্ছে সুশাসনের প্রচণ্ড অভাব। এর অভাবেই ব্যাংক খাতে যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আজকে যে তারল্য সংকট, গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দিতে না পারা, মাত্রাতিরিক্তি খেলাপি ঋণ, ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করে দেওয়া, মূলধন ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি, আয় কমে যাওয়া-এ সবই হয়েছে সুশাসনের অভাব থেকে। ব্যাংকের সম্পদ থেকে আয় কমে গেছে। এটা এখন বাড়াতে হবে। কাগুজে সুদ আয় করে আয় বাড়ালে হবে না। এখন কার্যকরভাবে টাকা আদায় করে আয় বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলো পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনতে হবে। পরিচালকদের চাপ কমাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। খেলাপিদের আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে বড় জালিয়াতদের কারণে।

 

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Boro farming faces setback due to frequent power cuts’

বোরো আবাদে সংকট নিয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানি সংকট দেখা দেয়ায় সেচের ওপর নির্ভরশীল ফসল বোরোর চাষাবাদ বড় ধরণের সংকটের মুখে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয় এবং ৪৫ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি হয় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে সেচ দেয়ার মাধ্যমে। যার জন্য প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। এই বছর, বোরো চাষিরা তাদের চারা বৃদ্ধিতে বাধার সম্মুখীন হন যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় দেশের কিছু অংশে বৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়েছে।

সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য পাম্প চালানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকায় উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বোরো ক্ষেতে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। শনিবার, দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে এবং এমনকি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশের তাপমাত্রা এর চেয়েও বেশি। অথচ ওইসব অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বোরো উৎপাদন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির অভাব অবশ্যই বোরো উৎপাদনকে কমিয়ে দেবে। যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কারণ প্রায় তিন বছর ধরে চলতে থাকা ডলারের তীব্র সংকটের কারণে দেশের আমদানি সক্ষমতা অতীতের যেকোনো সংকট সময়ের তুলনায় বেশি সীমিত।

 

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় ৯০ শতাংশ বাড়বে চলতি অর্থবছরে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের মোট বিদ্যুৎ সরবরাহের ১২ শতাংশই করা হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ বাবদ ব্যয় হতে পারে ১৭ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে এবার দেশে বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় বাড়তে পারে প্রায় ৮ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা বা ৯০ শতাংশের বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিতের চেয়ে আমদানি করা বিদ্যুতে খরচ তুলনামূলক কম। এ কারণে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুতের আমদানি বাড়াচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ কেনায় ব্যয় বাড়তে যাচ্ছে সরকারের। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ক্রয়ে সংস্থাটির ব্যয় হবে ৮৮ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের অর্থবছরে ব্যয় হয়েছিল ৮২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের অর্থবছরে ৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকার বিদ্যুৎ আমদানি করেছিল সরকার।

দেশে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পুরোটাই আসছে প্রতিবেশী ভারত থেকে। দেশটির সরকারি ও বেসরকারি—উভয় উৎস থেকেই এ বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি চুক্তির আওতায় আমদানি হচ্ছে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। আর দেশটির বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে আসছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটি থেকে মোট ২ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি রয়েছে।

বিপিডিবির আর্থিক প্রতিবেদনের হিসাব অনুযায়ী, একক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সংস্থাটি গত অর্থবছরে ৮৭ হাজার ২৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ কিনেছে। এর মধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৪২৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। মোট সরবরাহের ভারত থেকে আমদানীকৃত বিদ্যুতের অবদান ছিল প্রায় ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে বিপিডিবি ভারত থেকে ৭ হাজার ৭১২ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ আমদানি করেছিল। এক বছরের ব্যবধানে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি।

 

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘অপরাধঅসহিষ্ণুতা বাড়ছে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজান মাসেও দেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সামাজিক অসহিষ্ণুতার কারণে হত্যা-সংঘর্ষের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীসহ ছয়জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিরোধ নিয়ে কয়েক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। এর মধ্যে বগুড়ার কাহালুতে তারাবিহর নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা তুষারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে একজনকে হত্যা ও গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় দু’জন। গাজীপুরের পাঁচপীর মাজারসংলগ্ন বাগান থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়া ছাড়াও পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নাটোরের লালপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে একজন, আহত হন সাতজন। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদে নামাজের মাসাআলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024