কিন্তু, ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখে “কুয়াংমিং দৈনিক পত্রিকায়” প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উপরোল্লিখিত বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। লেখক সিছুয়ান প্রদেশের উওলুং নামক প্রকৃতি-সংরক্ষণ অঞ্চলে এক মজার গল্প শুনে এই রিপোর্ট লেখেন। সেই অঞ্চলে পালিত ৭ বছর বয়সের লিলি নামে এক মাদী পাণ্ডার একদিন খুব খিদে পায়।
ঠিক সেই সময় সেখানকার কর্মচারী লোহার থালায় করে খাবার নিয়ে এলেন। লিলির তর সইল না, গপাগপ করে খাবারগুলো সব সাবাড় করার পর লোহার খালাখানাও সে দাঁত দিয়ে টুকরো টুকরো করে চিবিয়ে গিলে ফেলল। খাবার পর সে কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি ও হুটোপুটি করে ঘুমিয়ে পড়ল। এসব কাও দেখে বেচারা কর্মচারী থ মেরে গেলেন এবং লিলির স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়লেন। পরদিন লিলি স্বাভাবিকভাবেই খেল, খেলা করল, মলত্যাগ করল। তা দেখে কর্মচারী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। পাণ্ডারা কেন লোহা খায় আর খাওয়ার পরও তাদের কিছু হয় না কেন প্রাণিবিদ্যাবিৎগণ এখন সেই প্রশ্ন পরীক্ষা করে দেখছেন। আশা করা যায় অচিরেই তাঁরা এর একটি সঠিক উত্তর খুঁজে পাবেন।
সিছুয়ান প্রদেশের উওলুং প্রকৃতি-সংরক্ষণ অঞ্চলে “চার-কন্যার পর্বত” নামে সমুদ্র পিঠ থেকে ৬২৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত একটি পাহাড় আছে। নানাজাতের গাছপালা আর সক চিকন। ছোপ-ছোপওয়ালা বাঁশগাছের ঝাড়ে পাহাড়টি সব সময় ভরে থাকে। একটি স্বচ্ছ নির্মল ঝরণা কুলকুল রবে জঙ্গল ভেদ করে নেমে গেছে পাহাড়ের নীচের দিকে। এই সুন্দর জায়গা হলো পাণ্ডাদের স্বর্গধাম। এখানেই স্বাপন করা হয়েছে “চীনের পাণ্ডা সংরক্ষণ গবেষণা কেন্দ্রে”।
Leave a Reply