ঘন বাঁশবনে ওই পাণ্ডা আর লোশাং-এর তিন বোন চোখের জল ফেলতে ফেলতে লোশাং- এর মৃতদেহ কবর দিচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানকার আকাশে ভেসে এলো এক রঙ্গীন মেঘের টুকরো, আর তার ওপর দাঁড়িয়ে লোশাং।
সে তার তিন বোনকে বলল, “তোমরা হিংস্র- পশুদের বধ করে পাণ্ডাদের রক্ষা করবে।” বলেই সে অদৃশ্য হয়ে গেল। তিন বোন আর পাণ্ডা তখন হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগল; কাঁদতে কাঁদতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। এমন সময় কড়-কড়াৎ করে বিদ্যুৎ চমকে উঠল, মাটি কেঁপে উঠল, পাহাড় দুলতে লাগল। পাণ্ডাটি মাথা তুলে দেখল, লোশাং আর তিন বোন চারটি গগনচুম্বী পাহাড়ে পরিণত হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।
সেই পাহাড় চারটিই আজকের “চার-কন্যার পর্বত” নামে খ্যাত। পাণ্ডার মন শোকে আর কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠল। প্রতিদিনই সে লোশাং বোনেদের কথা মনে ভাবত। ভাবতে ভাবতে তার চোখ দিয়ে দরদর করে জল পড়ত। অনেকদিন কেটে গেল। প্রতিদিন এভাবে চোখের জল ফেলার ফলে তার চোখের চারপাশ কালো হয়ে গেল।
Leave a Reply