স্টাফ রাইটার
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে মূলত হেরেছে সেদেশের আর্মি স্টাবলিশমেন্ট। পাকিস্তানের মোট ভোটারের অর্ধেক এর বয়স ৩৫ এর নিচে। এই অনুর্ধ ৩৫ ভোটারদের মনোভাব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলো ওই দেশের আর্মি ইনিটেলিজেন্স। এই ভোটার গোষ্ঠী যে ইমরান খানকে অন্যের থেকে ভালো রাজনীতিবিদ মনে করে ভোট দিয়েছে, তা নয়। বাস্তবে তাদের কাছে ইমরান খান সে দেশের রাজনীতির ওপর আর্মির আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতীক। সেই প্রতীককেই তারা ভোট দিয়েছে। ২০২২ এর এপ্রিলে যেভাবে ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটাতে সে দেশের আর্মি স্টাবলিশমেন্ট সহায়তা করে তা মোটেই ভালো ভাবে নেয়নি ওই অনুর্ধ ৩৫ ভোটার গোষ্ঠী । বিশিষ্ট যুদ্ধ ও সেনাবাহিনী বিশেষজ্ঞ ও লেখক, লন্ডন কিংস কলেজের ফেলো আয়েশা সিদ্দিকা পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে তার ২৩ ফেব্রুয়ারি লেখা নিবন্ধে এ কথাই বলেছেন।
তিনি আরো লিখেছেন, ২০১৮ সালে সেদেশের সেনাপ্রধান তাদের ইকোনমি পলিসিমেকিং এর মেম্বর হবার বিষয়টি ওই সময়ে সাময়িক হলেও মানুষ ভালোভাবে নিয়েছিলো। পরবর্তীতে সে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি করুণ পরিনতির দায়ভার থেকে সেনাবাহিনী যে মুক্ত তা মানুষ কোন ভাবে মনে করছে না।
আয়েশা সিদ্দিকা লিখেছেন, এই সব কিছু মিলে সে দেশের সেনাবাহিনীর ইমেজ জনগনের কাছে যেভাবে নেমে গেছে তা পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ এ মুহূর্তে যদি তারা ইমরান খানকে আরেকবার দেশ পরিচালনার অধিকার দেয়। তবে তার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ নির্বাচনের আগ মুহূর্তেই শুধু যে ইমরান খানকে পর পর তিনটি মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তা নয়- নির্বাচনের পরে তাঁর দল পিটিআই এর সঙ্গে কোনরূপ সমঝোতার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
তবে আয়েশা সিদ্দিকা লিখেছেন, একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী এখনও অবধি তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। সকলকেই মেয়াদ শেষের আগে বিদায় নিতে হয়েছে।
তাই সেদেশের সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের মনোভাব স্বাভাবিক করা বা নরম করার পক্ষে ভালো উদ্যোগ হয় যদি পিটিআই ও অন্য দল মিলে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে রাজনীতির কন্ট্রোল ফিরিয়ে নেবার পথে হাটে।
Leave a Reply