বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম রাষ্ট্র মোজাম্বিক। সেখানকার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটিতে গত অক্টোবর থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবাহিত রোগ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে সেখানে ৩২ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
কলেরা প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে সেখানকার প্রায় ১৩০ জন মানুষ একটি জনাকীর্ণ মাছ ধরার নৌকায় উঠে বসে। জনাকীর্ণ নৌকাটি নামপুলা প্রদেশের লুঙ্গা ও মোজাম্বিক দ্বীপ থেকে যাচ্ছিল।
নৌকাটিতে পরিবহন করার ক্ষমতা ছিল না এবং এটি ডুবে যায়,” নামপুলা প্রদেশের সেক্রেটারি অফ স্টেট জেইমে নেটো বলেছেন।
স্থানীয় নিউজ আউটলেট টিভি ডায়েরিও নাম্পুলার মতে, নৌকায় থাকা অনেকের মধ্যে অনেক শিশুও ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও অনুসারে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ একটি সৈকতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং কিছু লোক শিশুদের মৃতদেহ বহন করছে।
মৃতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। উত্তরাঞ্চলীয় নামপুলা প্রদেশের নিকটবর্তী ছোট দ্বীপের প্রশাসক সিলভেরিও নাউইতো এএফপিকে বলেছেন যে আরও পাঁচটি মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ জন হয়েছে।
নেটো গণমাধ্যমকে বলেছে যে কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পালিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে, মালাউই এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি কলেরার প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে কলেরার ১৪,৮৭৭ টি রিপোর্ট করা পেয়েছে । এতে ৩২ জন মারা গেছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এটিকে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাব বলে অভিহিত করেছে।
মোজাম্বিক আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অনেক অঞ্চলে যোগাযোগ মাধ্যম শুধুমাত্র নৌকা।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে
Leave a Reply