শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

‘গোয়েন্দার হাতে কেএনএফ অস্ত্রধারীর ছবিসহ তালিকা’,‘বরফ গলে রেকর্ড উচ্চতায় উরাল নদীর পানি’

  • Update Time : সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪.৩২ পিএম

 গলফ নিউজের আজকের একটি শিরোনাম, Saudi Arabia urges Muslims to sight Shawwal moon on April 8 for Eid Al Fitr confirmation.’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসলামের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবে আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদ হবে কি না তা জানতে আজ সোমবার স্থানীয় বাসিন্দাদের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গলফ নিউজ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের গণনা বলছে, সৌদি আরবসহ তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আগামী বুধবার তথা ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

চন্দ্রবর্ষ হিসেবে প্রতিটি মাসই ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ বছর রোজা কতটি হবে তা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ২৯টি রোজা হবে। সেক্ষেত্রে আজ চাঁদ দেখা না গেলে এ বছর রোজা ৩০টি পূর্ণ হবে। আর ঈদুল ফিতর হবে আগামী বুধবার। সৌদি আরবে গত ১০ মার্চ ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। ১১ মার্চ থেকে শুরু হয় রোজা। গত বছর সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান মাস ছিল ২৯ দিনের।

 

বান্দরবানে কেএনএফ এর তৎপরতা নিয়ে এবং সমন্বিত অভিযান নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘গোয়েন্দার হাতে কেএনএফ অস্ত্রধারীর ছবিসহ তালিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অস্ত্রধারীদের ছবিসহ তালিকা এখন গোয়েন্দাদের হাতে। তথ্যপ্রযুক্তির তদন্ত ও নানামুখী সোর্সের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযানও চলছে। এ ছাড়া কেএনএফ পাহাড়ের যেসব এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিল, সেখানে তারা ‘কমিটি’ গঠন করে। এমনকি ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে আলাদা কমিটিও রয়েছে। সংগঠনটির প্রধান পলাতক নাথান বমের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নিজেদের বিশ্বস্ত লোকদের মাধ্যমে এসব কমিটি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি কমিটির সশস্ত্র সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, কেএনএফের বান্দরবান জেলার প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমকে (৫৫) শহরতলির শ্যারণপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত শনিবার রাতে চেওসিম বমকে শ্যারণপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কেএনএফপ্রধান নাথান বমের ঘনিষ্ঠজন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। রুমা ও থানচির ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে গত রাতে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে দাবি করে, ‘চেওসিম বম কেএনএফের কেউ নন, তিনি একজন বাগানচাষি।’পাহাড়ের একাধিক বাসিন্দা ও বম সোশ্যাল কাউন্সিলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেএনএফের পরপর কয়েকটি হঠকারী ঘটনার কারণে সাধারণ বম সম্প্রদায়ের মধ্যে অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ভয়ে মুখও খুলছেন না। কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে যারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাথান বমসহ সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতারা যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা শনিবার রাতে বান্দরবানে বৈঠক করেন। সেখানে বলা হয়, যে কোনো উপায়ে নাথান বম ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সুপথে আনার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া কেএনএফ তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে কিছু বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছে। পাল্টা বিবৃতিতে যাতে সঠিক তথ্য জানানো হয়, এ ব্যাপারে তাদের অনুরোধ করার পরামর্শ দেন কেউ কেউ।

 

সংবাদ মাধ্যম the hindu পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাতার শিরোনাম, Record flood waters rise in Russia’s Urals, forcing thousands to evacuate.

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গেলো কয়েকদিনে তুষার গলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে উরাল নদীর পানি। এতে একটি বাঁধ ভেঙ্গে রাশিয়ার ৩৯টি অঞ্চলের ১০ হাজার ৪০০টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি তুষার গলে ইউরোপের কয়েকটি বৃহত্তম নদী উপচে গেছে। এরমধ্যে অন্যতম উরাল নদী। নদীটি উরাল পর্বতমালা থেকে কাস্পিয়ান সাগরে প্রবাহিত হয়। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুষার গলে যাওয়ার কারণে শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই নদীর পানি কয়েক মিটার পর্যন্ত বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বানের স্রোতে মস্কো থেকে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার (১,১০০ মাইল) পূর্বে ওরস্ক শহরে একটি বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।

সাইবেরিয়া, ভলগা এবং রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলেও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, বাতাসের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সক্রিয়ভাবে তুষার গলে যাওয়া এবং জমে যাওয়া নদীর মুখ খুলে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

 

যুগান্তরের প্রধান শিরোনামপৃথক পূর্বাঞ্চলীয় রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা!’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,অশান্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতায় সবাই বিস্মিত। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এ তৎপরতার নেপথ্যে বাইরের সংযোগ আছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে একটি আলাদা পূর্বাঞ্চলীয় রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার অংশ কেএনএফ-এর তৎপরতা। এ ধরনের প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার সঙ্গে এ তৎপরতার যোগসূত্র পেয়েছে সরকার। কেএনএফ-এর তৎপরতার সঙ্গে ভূরাজনীতির কোনো সংযোগ আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রোববার যুগান্তরকে বলেন, ‘এটার তো ইমপ্যাক্ট আছে। নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম নিয়ে ইস্টার্ন স্টেট গঠনের একটা প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বোম জনগোষ্ঠীর মাত্র কয়েক শ পরিবার রয়েছে। তারা সবাই খ্রিষ্টান। কুকি-চিন গ্রুপটা তাদেরই। এই গ্রুপের সঙ্গে বাইরের সংযোগ এটুকুই। এর বেশি বাইরের সংযোগ নেই। এদের তৎপরতায় নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুরের লোকেরাও বিরক্ত।’কুকি-চিনের তৎপরতা দমনে আঞ্চলিক কোনো সহযোগিতা নেওয়া হবে কি না-জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘এসব তৎপরতা দমনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক। বিশেষ করে ভারত নিজেও এসব তৎপরতায় বিরক্ত। মিয়ানমারে এখন যুদ্ধ চলছে।’

বান্দরবানে থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর আগে সেনাপ্রধান সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শন করেন। বান্দরবানের দুই উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। কেএনএফ তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে।

 

কালবৈশাখীর তাণ্ডব নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘চৈত্র শেষে কালবৈশাখীর ছোবল, ১৬ জনের মৃত্যু

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আর মাত্র ৬ দিন পর বিদায় নেবে বাংলা ১৪৩০ সাল। এখন চলছে বছরে শেষ মাস চৈত্র। এ মাসের শেষ সময়ে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বইছিল তাপপ্রবাহ। আগামী ১৪ এপ্রিল শুরু হবে নতুন বছরের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ। তার আগে গতকাল দেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলায় এবং সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। এতে ৯ জেলায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে ঝালকাঠীতে দুই নারীসহ তিনজন, পটুয়াখালীতে ৪ জন, ভোলায় দু’জন, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, যশোর, বান্দরবান ও নেত্রকোণায় একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া গাছপালা, বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে এ তাণ্ডবলীলা ঘটে। বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট এ ঝড় স্থায়ী হয়। ঝড়ের প্রভাবে গাছ চাপায় এক বৃদ্ধার এবং বজ্রপাতে এক কিশোর এবং নৌকা ডুবিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

গাছের চাপায় উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরালকী গ্রামে সাফিয়া রহমান (৯০) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। বজ্রপাতে নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠি গ্রামের রাতুল (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নৌকা ডুবিতে ইব্রাহিম ফরাজি নামে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে। ইসমাইল নামে আরো একজন ভাঙা ডালের আঘাতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্য অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত এবং ব্যাপক গাছপালা ভেঙে পড়েছে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। বর্তমানে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, জেলায় এক ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঝড় ও বজ্রপাত হয়।

 

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম : ‘Holidaymakers charged extra fare, some trains run late’,

 ‘প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঈদ-উল-ফিতরের আগে ছুটি কাটাতে বাড়ি যেতে ইচ্ছুক মানুষদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা তাদের ভ্রমণকে প্রভাবিত করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছে।

কিছু ক্ষেত্রে, পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য শেষ সময়ের জন্য টিকিট আটকে রেখেছেন। ঢাকার গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালেও বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

রোববার যাত্রীদের অধিকার সংগঠন প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়ার সময় প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ যাত্রীকে অতিরিক্ত প্রায় ৯৮৪ কোটি টাকা ভাড়া গুনতে হয়।

পুরো দেশকে বিবেচনায় নিলে এর পরিমাণ তিন থেকে চার গুণ বেশি হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু ট্রেনও এদিন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে।

এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ বা ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য ৪ঠা এপ্রিল থেকে বিভিন্ন জেলায় মানুষ যাত্রা শুরু করেছে।

 

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘শুধু নিজেদের গাফিলতি খুঁজে পেল না রাজউক

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতি পেয়েছে রাজউকের তদন্ত কমিটি। নিজেদের কোনো গাফিলতি বা দোষ খুঁজে পায়নি তারা। যদিও কোনো ভবন যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে, ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তার কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে হচ্ছে কি না, সেটি দেখভালের দায়িত্ব রাজউকের। অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গত ২৭ মার্চ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।  গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে রমনা থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজউকের দোকান-পরিদর্শকদের ‘ম্যানেজ’ করে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলছিল। তবে রাজউকের তদন্তে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য উঠে আসেনি। ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক দায় অস্বীকারের সংস্কৃতির কারণে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না।

কোনো ভবন ব্যবহার করার আগে রাজউকের কাছ থেকে ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট’ নেওয়া বাধ্যতামূলক। এর কারণ, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণের পরও ব্যবহারবিধি সঠিকভাবে না মানলে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আগুনে পুড়ে যাওয়া আটতলা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ ছিল না বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রাজউক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবহার সনদ ছাড়াই ১১ বছর ধরে ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছিল। ব্যবহার সনদ না থাকা সত্ত্বেও ওই ভবনের পাঁচটি রেস্তোরাঁকে ব্যবসা করার অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ভবনের একটি রেস্তোরাঁকে অগ্নিনিরাপত্তা-সংক্রান্ত সনদ দিয়েছিল। এ ধরনের অনুমতি দেওয়ার আগে রাজউক অনুমোদিত নকশা ও ব্যবহার সনদ বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘অর্ধেক জেলায় নেই আইসিইউ সেবা, হাহাকার

আইসিইউ সেবা অপ্রতুলতা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি প্রবাসী রহিম শেখের মুমূর্ষু মা’র আইসিইউ সাপোর্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানিয়ে দেয়া হয় নির্ধারিত আইসিইউ সিটের বিপরীতে লম্বা সিরিয়াল রয়েছে  ফলে বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনরা বেসরকারি হাসপাতালে যান। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধাকে বাঁচানো গেল না। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকে এই হাসপাতালে। ভর্তি থাকা এবং বহির্বিভাগের রোগীদের মধ্যে অনেকেরই আইসিইউ দরকার হয়। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের ভরসাস্থল এই হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে মাত্র ২০টি। এর মধ্যে দু-একটি প্রায় নষ্ট থাকে। দেশে আইসিইউ সেবা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এখনো অনেক মুমূর্ষু রোগী প্রয়োজনে হাসপাতালে আইসিইউ’র সাপোর্ট পায় না। হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ’র অভাব প্রকট আকারে ধরা পড়ে করোনাকালে। আইসিইউতে শয্যা পাওয়ার জন্য সেখানে থাকা কারও মৃত্যু অথবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হয় অন্য রোগীদের। করোনার দৌরাত্ম্য কমলেও আইসিইউ’র অভাব আবার বোঝা যায় গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়।

তিন বছর আগে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একটি করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৪৩টি জেলা হাসপাতাল ও ১০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ চালুর একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে এখনো সেইসব হাসপাতালে কোনো আইসিইউ সেবা চালু হয়নি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মানবজমিনকে  জানান, ১৩টি জেলায় ১০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন হয়েছে। বাকিগুলোতে কাজ চলছে।

 

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘শিল্পাঞ্চলের ৬৮% কারখানায় পরিশোধ হয়নি মার্চের বেতন

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ নিয়ে প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে—সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মতি জানিয়েছিলেন শিল্প মালিকরা। বুধবার শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। অথচ গতকাল পর্যন্ত শিল্প-অধ্যুষিত আট এলাকার কেবল ৩২ শতাংশ কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। এ হিসাবে ৬৮ শতাংশের বেতন এখনো অপরিশোধিত। আর ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ৭০ শতাংশ কারখানা।

 

 

কারখানাগুলোয় গতকাল পর্যন্ত বেতন পরিশোধ পরিস্থিতি সুখকর নয় বলে মনে করছেন শিল্প মালিকরাও। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের ঈদ সামনে রেখে বেতন পরিশোধে মালিকদের অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ কিছুটা বাড়লেও দাম অনেক কমিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। সার্বিক পরিস্থিতিতে নগদ অর্থ সংকটের প্রভাব পড়েছে বেতন-বোনাস পরিশোধ চিত্রে। আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেট—এ আট শিল্প-অধ্যুষিত এলাকায় মোট কারখানার সংখ্যা ৯ হাজার ৪৬৭। শিল্প পুলিশের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩২ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে। আর ৭০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে।

শিল্প-অধ্যুষিত এলাকায় থাকা শ্রমঘন কারখানাগুলো মূলত পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের। আট শিল্পাঞ্চলে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৯। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ কারখানার বেতন পরিশোধ হয়েছে গতকাল পর্যন্ত। বোনাস দেয়া হয়েছে ৭৫ শতাংশ কারখানায়। শিল্প এলাকাগুলোয় তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৮টি। এর মধ্যে বেতন পরিশোধ করেছে ১০ শতাংশ। বোনাস দিয়েছে ৬২ শতাংশ কারখানা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024