নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় মামলা’ । খবরে বলা হচ্ছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন। মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ মামলায় আরও ২০০ জন সাক্ষীকে বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে। ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়।
খবরে বলা হচ্ছে , পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও সেদিন নৃশংসতার শিকার হন। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।
পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের দিনটি নিয়ে শিরোনাম করেছে দৈনিক সংবাদও। দৈনিক পত্রিকাটির শিরোনাম আটকে আছে বিস্ফোরক আইনের মামলা। বলা হয় ইতিহাসের কালো দিন আজ। ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তরে ঘটে এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়ে, তারা সেনা কর্মকর্তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মারা যায়।
খবরে বলা হচ্ছে , এরপর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলা ১৫ বছর ধরে শুধু সাক্ষ্যগ্রহণে আটকে আছে। অন্যদিকে হত্যা মামলার রায় দেয়া হয় ২০১৪ সালে।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম – No end to wait for justice, অর্থাৎ ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষার কোন শেষ নেই। কারণ আপিল বিভাগে এ মামলার রায় এখনো আটকে আছে, আর বিস্ফোরক মামলা এখনো চলমান ট্রায়াল কোর্টে। যে ঘটনায় নিহতের পরিবারকে এখনো আদালতে যেতে হচ্ছে, আবার অনেক সাবেক সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকরা বছরে পর বছর কারাগারে আটকে আছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘Northeast Delhi riots: Four years on, where do the 700 cases registered in its aftermath stand? উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা: চার বছর পরে, এর পরে নথিভুক্ত ৭০০ টি মামলা কোথায় দাঁড়িয়েছে? ’. খবরে বলা হচ্ছে, পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ৬৯৫টি মামলায় ৪৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং ১৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। জামিনে ১,৭৩৮ জন, ১০৮ জন কারাগারে। তাছাড়া ৫০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার চার বছর ধরে, জেলা পুলিশের দায়ের করা দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ এবং বেআইনি সমাবেশের ৬৯৫ টি মামলার মধ্যে ৮৮ টিতে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজনীতিকে ব্যক্তিগত লাভে ব্যবহার করা হচ্ছে– সমকালের শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজনীতিকে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত লাভের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদারি কাজ বা ব্যবসা পেতে রাজনৈতিক পরিচয় বড় ভূমিকা রাখছে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে শৃঙ্খলা ও আদর্শের অভাবও দেখা যাচ্ছে। গতকাল ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার ইনে গবেষণা সংস্থা সানেম আয়োজিত অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী দলীয় রাষ্ট্রের উদ্ভব এবং বিকাশ: গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য পরিণাম কী?’ শীর্ষক অধিবেশনে বিশেষজ্ঞরা এমন মত দেন।
খবরে বলা হয়, অধিবেশনের বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, দেশে ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালের দুটি জাতীয় নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য যুগান্তকারী সাফল্য এনে দেয়। অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক দুটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমে খালেদা জিয়া এবং পরের বার শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন। দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়ও বড় অবদান রাখেন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের এই নির্বাচন ব্যবস্থা অনুসরণ করে। অবশ্য বাংলাদেশেই গণতন্ত্রের সেই চর্চা পরবর্তী সময়ে আর অনুসরণ হয়নি। ১৯৯৬ সালের মতো নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের চর্চা আওয়ামী লীগও অনুসরণ করেনি, বরং ক্ষমতা কত দীর্ঘ করা যায়, সে চেষ্টাই করছে তারা। রাষ্ট্র এখন এক দলের নিয়ন্ত্রণে। দু’দল বা বহু দলের অংশগ্রহণ খুব একটা দেখা যায় না। তিনি মনে করেন, শক্তিশালী বিরোধী দলই শেষ পর্যন্ত ভরসা। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো ড. মির্জা এম হাসান। প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।
খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভূরাজনীতির প্রভাব প্রসঙ্গে ড. রেহমান সোবহান বলেন, এ ধরনের প্রভাব সব সময়ই ছিল। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় রাখা এবং ক্ষমতার বাইরে রাখার বিষয়ে তাদের ভূমিকা থাকে। তবে কিছু ডলারের ব্যবসা দিলে তাদের রাজি রাখা যায়। সবকিছু ধুয়েমুছে পরিষ্কার হয়ে যায়। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ এখন বাংলাদেশের ব্যবসা মডেলের অংশ হয়ে গেছে। সব ব্যবসা এখন সিন্ডিকেটের কবজায়। তবে সব ব্যবসায়ী এর সঙ্গে জড়িত নন, কিংবা ব্যাংক ঋণ পরিশোধে খেলাপি নন। রাজনৈতিকভাবে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এর সঙ্গে জড়িত। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, পরিশোধ করেন না। পুনঃতপশিলের ব্যবস্থা করে নেন। টেন্ডারেও তারাই অংশ নেন। রাজনীতিকে তারা ভাগ্য বদলের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠানেই রাজনৈতিক পরিচয় আগে দেখা হয়। এটা এক ভয়ংকর পরিস্থিতি, যা উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে বড় বাধা।
Is Washington turning a new page in Bangladesh? এমন প্রশ্ন দিয়ে প্রধান শিরোনাম ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের। বিস্তারিত বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে ভিন্ন সুর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু নির্বাচনের পর যেন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আভিনন্দন জানান এবং বলেন দুই দেশের সম্পর্কে এক “নতুন অধ্যায়” রচনার কথা। যার পরপরই বাংলাদেশ সফরে এখন মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
নির্বাচন ‘একতরফা’ হয়েছে আফরিনকে বলল বিএনপি – কালবেলার শিরোনাম এটি। বলা হয় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করেছে বলে দাবি বিএনপির। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে দলটি।
গতকাল শনিবার ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতারের সঙ্গে বৈঠকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিএনপি। রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে বিকেল ৩টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ছিলেন। অন্যদিকে আফরিন আখতারের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ছিলেন।
ভোটে যেতে কৌশল খুঁজছে বিএনপি – উপজেলা নির্বাচন ঘিরে কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ করবে না। তবে দলের নেতাদের মধ্যে যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে দলের কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কোন প্রক্রিয়ায় দলের নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সেই কৌশল খোঁজা হচ্ছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নে দলের নীরব ভূমিকা পালন, কেউ প্রার্থী হলে দল থেকে আপত্তি না করাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।
সম্পদশালী হতে রাজনীতিকে ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা – সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং – সানেম সম্মেলন নিয়ে ইত্তেফাকের শিরোনাম। খবরে বলা হয় দেশের ব্যবসায়ীরা সম্পদশালী হওয়ার জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করছেন বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।
Loan defaults now part of business model: Rehman Sobhan – সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেছেন ঋণ খেলাপি হওয়া এখন ব্যবসার একটা মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তার এই বক্তব্য দিয়ে শিরোনাম করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
৭ম সানেম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে এক আলোচনায় তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ীরা এই ঋণখেলাপির কৌশল বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কাজে লাগায়। “আপনি ট্যাক্স বা লোন রিবেট পাবেন কি না এটা নির্ভর করে আপনার পরিচিতি ও রাজনৈতিক সংযোগের উপর।“ রেহমান সোবহান বলেন, “কেউ সুদ ছাড়াই টাকা ঋণ পাচ্ছে আবার কাউকে টাকা নিয়ে সুদ দিতে হচ্ছে এটা বাজারে অসমতা তৈরি করছে।”
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম – ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাত আকাশচুম্বী। বিস্তারিত বলা হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকেরই আয় সেভাবে বাড়েনি। যদিও ব্যয় বেড়েছে ব্যাপক মাত্রায়।
এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোর কস্ট টু ইনকাম রেশিও বা আয়-ব্যয় অনুপাতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ সিস্টেম্যাটিক রিস্ক ড্যাশবোর্ড’ শীর্ষক প্রকাশনার সর্বশেষ সংখ্যার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতের আয়-ব্যয়ের অনুপাত ছিল ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় ৭১ টাকা। বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলছে ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ছিল ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ ওই সময় ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আয় করলে গড়ে ৪৮ টাকা পরিচালন মুনাফায় নেয়া যেত। এরপর থেকে এ অনুপাত বাড়ছে। ২০১৯ সাল শেষে আয়-ব্যয় অনুপাত ৫৩ শতাংশ, ২০২০ সাল শেষে ৫৫ শতাংশ এবং ২০২১ সাল শেষে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়। ২০২২ সালের জুনে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৫৭ শতাংশ থাকলেও বছর শেষে সেটি ৬১ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। তবে ব্যয়ের দিক থেকে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে। গত বছরের জুনে এসে ব্যাংকগুলোর আয়-ব্যয়ের অনুপাত অস্বাভাবিক বেড়ে ৭১ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে।
কমেছে অনুসন্ধান ও মামলা – দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। তারা বলছে, দেশ ও মানুষকে চেপে ধরেছে দুর্নীতির দুষ্টচক্র-দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা অভিযোগের পাহাড় এমন ইঙ্গিত করে। তবে দুদকের জনবল বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হলেও দুর্নীতিবাজদের দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না দুদক।
গেল বছর সংস্থাটিতে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে ১৫ হাজার ৪৩৭টি। এরমধ্যে শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয়নি যাচাই-বাছাই কমিটি। জমা অভিযোগের মাত্র সাড়ে ৫ ভাগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে মামলা করা হয়েছে ৪০৪টি। এই পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে তুলছে-দুর্নীতি দমনে সরকার জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতির কথা বললেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
এমপি ২০ হাজার চেয়ারম্যান ১ লাখ – দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত নিয়ে খবরটি। এতে বলা হয় উপজেলা নির্বাচনে পরিচালনা ও আচরণবিধিমালায় প্রার্থীর জামানত ১০ থেকে ১৫ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে জামানত হবে ১ লাখ টাকা। যদিও সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া নির্বাচনে সাদা-কালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টারের ব্যবহারেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্তের বিধানেও কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। ইসির মতে, এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নির্বাচনে ভুঁইফোড় প্রার্থী এড়ানো সম্ভব হবে।
তবে রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের বিষয়ে ইসির নেওয়া সিদ্ধান্তে ভুঁইফোড় প্রার্থীদের এড়ানো সম্ভব তো হবেই না; বরং বিত্তবানরাই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। রাজনীতিতে নিবেদিত বা যারা সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাইছেন, তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
রোহিঙ্গাদের জান্তা বাহিনীতে যোগ দিতে নাগরিকত্বের প্রলোভন – বণিক বার্তার খবর। পত্রিকাটি বলছে, নাগরিকত্ব, চাল ও মোটা অংকের বেতন দেয়ার লোভ দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
এ প্রলোভনে রাজি না হলেও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের রাজধানী সিত্তেতে রাখা হচ্ছে। সেখানে দুই সপ্তাহের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চার শতাধিক রোহিঙ্গাকে তুলে নিয়েছে সামরিক জান্তা। তাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সবার তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিচ্ছে।
মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইছে – র্যাব মহাপরিচালকের এমন বক্তব্য দিয়ে প্রথমআলোর শিরোনাম এটি। র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই চাচ্ছেবাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য, অনেক আগে থেকেই। রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে পায়ে পাড়া দিয়ে…। মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়চেতা মনোভাব ও প্রজ্ঞা; উনি কখনো যুদ্ধে জড়াবেন না। কারণ, আমি এখন যুদ্ধে জড়ানো মানে দেশটা শেষহয়ে যাওয়া।’
মিয়ানমার সরকারের যুদ্ধে জড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে র্যাব প্রধান এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারে এখনসামরিক সরকার রয়েছে। তাঁরা এখন চাচ্ছে যে যুদ্ধ বাধাতে পারলে ও (মিয়ানমারের জান্তা সরকার) সেফ (বেঁচে যাবে) হবে।কারণ ওর দেশে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে ওর দেশের আরাকান আর্মি ওর বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা দখল করছে। সরকার(মিয়ানমারের জান্তা সরকার) বাঁচার জন্য উসকানি দিচ্ছে।’
মিয়ানমার এখন মাদক চোরাচালানের বড় রুট উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদক এখন মিয়ানমার থেকে বেশিআসছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যেকোনো মূল্যে এ রুট বন্ধ করা হবে। মাদকহচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। কারা এ ব্যবসা করেন, তা জনপ্রতিনিধিসহ সবাইজানে। কিন্তু সবাই সবকিছু জানলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করে না। কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদকনির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে স
Leave a Reply