মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকে ভরপুর, তিল ধারণের ঠাঁই নেই

  • Update Time : রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১.৫৮ পিএম

জাফর আলম, কক্সবাজার

কক্সবাজারে পবিত্র ঈদ- উল- ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে  । সমুদ্র সৈকতের কোন পয়েন্টেই নেই তিল ধারণের ঠাঁই। ফাঁকা নেই কোন হোটেল মোটেলও।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি পর্যটকের পদচারণায় মুখর সৈকত এলাকা।অন্যদিকে চৈত্রের শেষ দিনে তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে সমুদ্র স্নানে মেতে উঠে লাখো পর্যটক। পর্যটকরা সৈকতের বিভিন্ন রাইডস এ ভাড়া নিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। এছাড়া নিজেদের মতো আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেন সৈকতে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটন আব্দুল আজিজ বলেন, ঈদ এবং বৈশাখের টানা ছুটি পেয়েছি। সাথে ঈদের আনন্দ। সবকিছু মিলিয়ে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে এসে খুবই আনন্দ লাগছে। পর্যটক কবির হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার ঘুরতে আসলাম। এরকম একসাথে সময় বের করতে পারি না। এবার সবাইকে নিয়ে একসাথে আনন্দ সম্মিলন হয়ে গেলো। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তাও অনেক ভালো।সমুদ্র সৈকতে নির্দিষ্ট তিনটি পয়েন্ট ছাড়াও আশপাশের বেশ কিছু পয়েন্টে পর্যটকরা সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন। আর সমুদ্রস্নানে মেতে উঠা বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের নিরাপত্তায় অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সি সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ভুট্রো বলেন, একসাথে হাজার হাজার পর্যটক নেমে যাওয়ায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের তিন পয়েন্টে তিনটি গোসল করার জন্য আলাদা লাল-হলুদ পতাকায় আলাদা পয়েন্ট আছে। কিন্তু মানুষ সবগুলো পয়েন্টে নির্দেশনা না মেনে নেমে যাচ্ছে।

কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলে পর্যটক ধারণ ক্ষমতা আছে প্রায় দেড় লাখ। হোটেল ভাড়া নিয়ে যাতে তৃতীয় পক্ষের কাছে কোন ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিক বিবেচনায় আগে থেকে হোটেল বুক দিয়ে কক্সবাজার আসার আহ্বান জানান হোটেল মোটেল সংশ্লিষ্টরা।ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম পাশা বলেন, কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে কক্ষ খালি না থাকায় অনেক দালালের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। দালালের খপ্পরে না পড়ে অগ্রিম বুকিং বা সরাসরি হোটেলে এসে কক্ষ বুকিং দিতে হবে।বর্তমানে কক্সবাজা্রে প্রায় ২ লাখের অধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।

পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ পর্যন্ত হতে পারে। এই বিশাল সংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বিপুল সংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তায় পুরো সমুদ্র সৈকত এলাকায় ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সবধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া ডিজিটাল সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে পুরো সৈকত এলাকা নজরদারি করা হচ্ছে।কোন পর্যটক যাতে পরিবহন খাত থেকে শুরু করে একেবারে সমুদ্র সৈকতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসাইন।

এদিকে পর্যটকদের সেবা ও ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আগত পর্যটকদের জন্য ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একত্রে পর্যটকদের নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ নিশ্চিতে কাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024