তেহরানের ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল সহ বেশ কয়েকটি ইরানী বিমানবন্দরে সোমবার পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া রবিবার জানিয়েছে, রাতারাতি ইসরায়েলে ইরানের হামলার সাথে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরান ১ এপ্রিল সিরিয়ায় তার কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ইসরায়েলে কয়েক ডজন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
তেহরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ইসরায়েলি প্রতিশোধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
“ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার একটি ঘোষণার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সমস্ত ফ্লাইট সকাল ৬ টা (0230 GMT) পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে,” বিমানবন্দরের নির্বাহী ইরানি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন।
তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দর থেকে দেশীয় ফ্লাইট এবং শিরাজ, ইসফাহান, বুশেহর, কেরমান, ইলাম এবং সানন্দাজের বিমানবন্দরগুলিও সোমবার সকাল পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে।
এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে দেশটি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।
ইরাক ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী জর্ডান এবং লেবাননও নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইসরায়েলের আকাশসীমা।
গলফ নিউজ অবলম্বনে
Leave a Reply