সারাক্ষণ ডেস্ক
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘‘পতঞ্জলি মামলা: রামদেব, বালকৃষ্ণ আচার্য ‘প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে’ প্রস্তুত; সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি ২৩ এপ্রিল’’
খবরে বলা হয়,পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ২৩ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট যোগগুরু রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের এমডি বালকৃষ্ণ আচার্যকে তাদের আইনজীবীরা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরে কথিত অবমাননা থেকে নিজেকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চকে রামদেব ও বালাকৃষ্ণের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন, ‘আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছুক। আদালত আগামী ২৩ এপ্রিলের জন্য বিষয়টি স্থগিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট রামদেব ও বালকৃষ্ণকে বেঞ্চের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে আসতে বলেছে। বেঞ্চ বলেছে, “তাঁদের মনে করা উচিত আদালতের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে শুনানি চলছে এবং বেঞ্চ বর্তমানে রামদেবের সঙ্গে কথা বলছে।রামদেব এবং বালকৃষ্ণ শীর্ষ আদালতের কাছে ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বড় বড় দাবি করে সংস্থার জারি করা বিজ্ঞাপনের জন্য “নিঃশর্ত ক্ষমা” চেয়েছেন।
গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘আবহাওয়ার সতর্কতা: আমিরাতের পার্বত্য অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার বন্যা ‘’
প্রতিবেদনে বলা হয়,মঙ্গলবার সকাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত জুড়ে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, বিদ্যুৎসহ বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। বৃষ্টিপাতের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে কিছুটা মাঝারি মাত্রার বন্যা হয়েছে। সোমবার রাতের শেষ দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টি শারজাহ এবং আল আইনে আঘাত হানে এবং বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট @Storm_ae আল আইনে ভারী বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের ভিডিও শেয়ার করেছে। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তর ও পূর্ব অংশে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের ভিডিও শেয়ার করেছে। জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের (এনসিএম) মতে, আবহাওয়া অস্থিতিশীল থাকবে এবং আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বিক্ষিপ্ত এলাকায় বিভিন্ন মাত্রায় বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য হ্রাস আশা করা যায়।
আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, দুবাই, আবুধাবি, আল আইন, ফুজাইরা, শারজাহ এবং রাস আল খাইমায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আল ধাফ্রা অঞ্চলের তারিফ, আল মিরফা, আল হামরা এবং উম লায়লার উপর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (দুবাই) জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি কবলিত এলাকায় পিচ্ছিল রাস্তার কারণে গাড়িচালকদের ধীরগতিতে এবং সাবধানে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পর্বতমালার উপরে ১৬ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে।
উপকূলীয় অঞ্চলে আর্দ্রতা ৭০-৮৫ শতাংশ এবং পার্বত্য অঞ্চলে ৪৫-৬৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরব উপসাগর এবং ওমান সাগরে মেঘ সহ সমুদ্র রুক্ষ এবং খুব রুক্ষ থাকবে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম ‘‘পাকিস্তানের আর নীতিগত পরামর্শের প্রয়োজন নেই: অর্থমন্ত্রী আওরঙ্গজেব’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী মহম্মদ আওরঙ্গজেব সোমবার বলেছেন যে পাকিস্তানের খুব বেশি নীতিগত ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই, শুধু সেই নীতিগুলো বাস্তবায়িত করা দরকার।
ওয়াশিংটনে তাঁর প্রথম কর্মদিবসে আটলান্টিক কাউন্সিল থিঙ্ক ট্যাঙ্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে পাকিস্তানের মতো দেশগুলিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বসন্তকালীন বৈঠকে যোগ দিতে এবং আইএমএফের সাথে একটি নতুন ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মন্ত্রীকে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের বিষয়ে চলমান বিতর্কের বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রচারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
আওরঙ্গজেব শুরুতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে ওয়াশিংটনে তাঁর প্রায় সপ্তাহব্যাপী অবস্থানকালে তিনি আইএমএফ-এর কাছ থেকে একটি নতুন কর্মসূচি চাইবেন।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তান আইএমএফের কাছ থেকে একটি বৃহত্তর এবং দীর্ঘতর কর্মসূচি খুঁজছে কারণ “কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আমাদের দুই থেকে তিন বছর প্রয়োজন”।
তিনি বলেন, তিনি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে এবং আইএমএফ থেকে একটি নতুন এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি (ইএফএফ) প্যাকেজ পেতে চান “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তবে এগুলি কেবল প্রাথমিক আলোচনা”।
তিনি বলেন যে, ইসলামাবাদে তহবিলের দলের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, আইএমএফ বিশ্বাস করে যে, পাকিস্তানের সক্ষমতা রয়েছে, তবে তাদের যে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা কার্যকর করা দরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বেশ আগ্রহী এবং সোচ্চার।
যুগান্তরের শিরোনাম ‘‘সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়ছে,নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির কশাঘাত মোকাবিলায় ২০ লাখ ২৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ভাতার আওতায় আসবেন ১০ লাখ ২৬ হাজার জন। এরা সবাই অতিদরিদ্র। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখে ওএমএসসহ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে বাকি ১০ লাখ। পাশাপাশি দেশের সব প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। নতুনভাবে যুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী বর্তমানে অন্য কোনো ধরনের ভাতা ও খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে না। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা আগামী (২০২৪-২৫) বাজেটে কার্যকর করা হবে।
ওই বৈঠকে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাতার অঙ্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাঁচ হাজার টাকা এবং যারা ৯০ বছরে পা রেখেছেন তাদের বয়স্ক ভাতার অঙ্ক ৫শ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা নির্ধারণ হবে। আর দরিদ্র মা ও শিশু সহায়তা ভাতার অঙ্কও বাড়বে আগামী বাজেটে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, সবার দাবি পূরণে তিনি সচেষ্ট থাকবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া তিনি সিনিয়র নাগরিকদের ভাতা বাড়ানোর প্রসঙ্গে মত দিয়েছেন। সূত্রে জানা গেছে, এ বৈঠকে অংশ নেওয়া সবার মতামত সংযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠাবেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যে মত দেবে, তাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
জানা গেছে, প্রতিবছর বাজেটের আগে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠক করে এর আওতা ও ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অর্থমন্ত্রী এ কমিটির সভাপতি। কমিটিতে আরও ৯ জন মন্ত্রী রয়েছেন। বাজেটের আগমুহূর্ত ছাড়াও প্রতি তিন মাস অন্তর কমিটি বৈঠক করে। সর্বশেষ বৈঠক করেছে গত ৯ এপ্রিল। সেখানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমকালের শিরোনাম ‘‘গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তবে ঈদের ছুটিতে চিকিৎসক কম থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনকে।
কলেরা হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রসহ (আইসিডিডিআর,বি) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে দেখা গেছে, অনেকে এসেছে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি নিয়ে।
আইসিডিডিআর,বি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে দিনে ৫০০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সময়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি হন। সাধারণত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে রোগী বাড়তে শুরু করে। হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম সমকালকে বলেন, ঢাকার চেয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, জয়পুরহাট, ফরিদপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। রোগীর সিংহভাগই বয়স্ক। রমজানে রাস্তার পাশে কেনা খাবার খাওয়া এবং অনিরাপদ পানি পান করায় হয়তো ডায়রিয়া বেড়েছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিশু হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় চিকিৎসক খুবই কম। সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার মতো চিকিৎসক হাসপাতালে নেই। বিশেষ করে, রাতে হাসপাতালের তিন শতাধিক রোগীর ভরসা জরুরি বিভাগের দুই চিকিৎসক। তাই সব চাপ পড়ে নার্সের ওপর। অনেক সময় রোগীর স্বজন বিরক্ত হয়ে নার্সদের বকাঝকা করেন।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম ‘‘ঈদের পর খুলেই সূচকের বড় পতন পুঁজিবাজারে’’
খবরে বলা হয়, ঈদের পর খুলেই সূচকের বড় পতন পুঁজিবাজারে। এদিন সূচক কমে ৫ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে। আর লেনদেনও ঠেকেছে ৩০০ কোটির ঘরে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা ৩ কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। বিনিয়োগকারীরা আশা করেছিলেন ঈদের পর শেয়ারবাজার হয়তো ইতিবাচক ধারায় ফিরবে; কিন্তু তা না হয়ে বরং তলানিতে এসে ঠেকেছে লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েলে ইরানের হামলার জেরে বাজারে এ ধস হতে পারে। গতকালও লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে এই আলোচনা হয়েছে। গতকাল সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূচকের বড় পতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে, ফলে পতনও বড় হতে থাকে।
দিনশেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩২টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।
সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে গেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৭ কোটি ৫৩ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৩ কোটি ৮৪ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
দেশ রুপান্তরের একটি শিরোনাম ‘‘উপজেলায় অনাগ্রহ ছোট দলের’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। জোর প্রস্তুতি চলছে এখন। চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি থাকলেও উত্তাপ নেই বিরোধী শিবিরে। যেসব ছোট দল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছে তাদেরও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাচনে কম আগ্রহের দুটি কারণ দেখিয়েছে পক্ষ দুটি। বিরোধী শিবিরের মতে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট তাই নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো আগ্রহী হলেও নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে না। নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া তারা কোনো ভোটে অংশ নেবে না।
অন্যদিকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ ছোট দল এবারের উপজেলা নির্বাচনে অনাগ্রহী। দলগুলোর শীর্ষনেতাদের মতে, উপজেলা নির্বাচনে খরচ বাড়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আগ্রহ হারিয়েছেন। তাদের বড় একটি অংশ উপজেলা নির্বাচনে দলগতভাবেই অংশ নেবে না। তবে কেউ ব্যক্তিগত ইচ্ছায় নির্বাচন করলে বাধা নেই। দেশে ৪৯৫টি উপজেলা। ৪৮৫টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট হবে। বাকিগুলোর মেয়াদ শেষ হলে ভোটগ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন। এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ভোটগ্রহণ ৮ মে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটের তফসিল আগামীকাল ঘোষণা করা হতে পারে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা, জামানত বৃদ্ধি সব মিলিয়ে অনেকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেদের মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে কি না সন্দেহ।’
Leave a Reply