সারাক্ষণ ডেস্ক
কোপেনহেগেনের কেন্দ্রে ডেনমার্কের ঐতিহাসিক পুরাতন স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনটি আগুনে পুড়ে গেছে। এটি ১৭ শতকের বোরসেন শহরের প্রাচীনতম ভবনগুলির মধ্যে একটি। আইকনিক ড্রাগন স্পায়ার আগুনের শিখায় ধসে পড়ায় সাধারণ নাগরিগরা হতাশ হয়ে পড়ে।
তবে ভবনের ভিতরে থাকা সবাই বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অনেকেই কিছু ঐতিহাসিক চিত্রকর্ম উদ্ধার করতে ছুটে আসে।
সংস্কৃতি মন্ত্রী জ্যাকব এঙ্গেল-শ্মিট বলেন, ৪০০ বছরের ডেনিশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আগুনে পুড়ে গেছে। ১৬২৫ সালের এই ভবনটি ডেনমার্কের সংসদ, ফোলকেটিং থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত, যা খ্রিস্টানবর্গ দুর্গের পুরানো রাজপ্রাসাদে অবস্থিত। ডেনিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে যে কাছের চত্বরটি খালি করা হচ্ছে এবং ধোঁয়ায় ক্রিশ্চিয়ানবার্গের প্রধান দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পুরনো স্টক এক্সচেঞ্জটি সংস্কার করা হচ্ছিল এবং এটি স্ক্যাফোল্ডিং এবং সুরক্ষামূলক প্লাস্টিকের আচ্ছাদনে আবৃত ছিল। বর্তমানে এখানে ডেনিশ চেম্বার অফ কমার্স রয়েছে। এই ভবনটিতে এখন আর ড্যানিশ স্টক এক্সচেঞ্জ নেই। তবে ড্যানিশ চেম্বার অব কমার্সের সদরদপ্তর হিসাবে ভবনটি ব্যবহার হয়ে আসছে। আগুন কি থেকে লাগল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুনের কারণে ভবনটির কাছের অর্থমন্ত্রণালয় থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চেম্বার অব কমার্স বলেছে, “আমরা এক ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছি। শেয়ার বাজার আগুনে জ্বলছে।” ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, “ভয়াবহ দৃশ্য। ড্যানিশ ইতিহাসের একটি খণ্ড আগুনে জ্বলে যাচ্ছে।”
কোপেনহেগেনের পুলিশ জনসাধারনকে নগরীর ভেতরে গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
স্থানীয় কারিগর হেনরিক গ্রেজ ড্যানিশ টিভিকে বলেছেন যে এটি একটি মর্মান্তিক দিন । ঠিক পাঁচ বছর আগে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে ক্যাথেড্রালের ছাদ ও চূড়ায় যে আগুন লেগেছিল তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তকারীরা হয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রের শর্ট সার্কিট বা কোনও কর্মীর সিগারেটের বাটকে দায়ী করেছেন যা সঠিকভাবে বের করা যায় নি।
কোপেনহেগেনে অগ্নিকাণ্ডের কারণও আপাতত অজানা তবে জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে যে, ভবনটির বেশিরভাগ অংশ আগুনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply