সারাক্ষণ ডেস্ক
গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে আমিরাতে’’
খবরে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরও বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড করা সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯৪৯ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে নথিভুক্ত যে কোনও কিছুকে ছাপিয়ে এই বৃষ্টি সারা দেশের অসংখ্য অঞ্চলে হয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি নিশ্চিত করেছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু ইতিহাসের একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।
কেন্দ্রটি জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত আল আইনের “খাতম আল শাকলা” এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটারে পৌঁছেছে।
এটি লক্ষণীয় যে, এনসিএমের শুওয়াইব স্টেশনটিতে ২৮৭.৬. মিমি রেকর্ড করা হয়েছিল ।
এই ভারী বৃষ্টিপাত সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। যা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের গড় বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণভাবে দেশের ভূগর্ভস্থ জলের মজুদকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।
সাউথ চায়না মনিং পোষ্টের শিরোনাম ‘‘স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডসের পরে এশিয়ার ইসরায়েল বিরোধী বয়কটের নতুন লক্ষ্য পাশ্চাত্য কসমেটিকস ও প্রসাধনী পণ্য’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায়, ফরাসি প্রসাধনী জায়ান্ট লোরিয়াল এবং দ্য বডি শপের মালিকানাধীন বিউটি ব্র্যান্ডগুলো থেকে ত্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছে। তারা চীনা এবং স্থানীয় বিকল্পের দিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে এ ধরনের বয়কটগুলো স্টারবাকস মালয়েশিয়া এবং আমেরিকান ফাস্ট-ফুড জায়ান্ট ম্যাকডোনাল্ডের মুনাফায় বড় ক্ষতি করছে।
ইন্দোনেশিয়ার বিক্রয় সহকারী ফ্যানি। যিনি উত্তর সুমাত্রার মেদান শহরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের দোকান ওয়াটসনসে কাজ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রাহকরা প্রসাধনী এবং ত্বকের যত্নের জন্য কেনাকাটার পদ্ধতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা সত্ত্বেও কেউ কেউ এখন কিছু বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এড়িয়ে চলেছেন।
ফ্যানি বলেন, “আমার একজন মহিলা গ্রাহক ছিলেন যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লোরিয়াল পণ্য ব্যবহার করছিলেন, কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে তিনি আর কখনও এটি ব্যবহার করবেন না। অন্যান্য স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোতে চলে যাচ্ছেন”।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘‘লোকসভা নির্বাচনঃ রবার্ট ভদরা ‘আমেঠি ” মন্তব্যের পর প্রার্থীতার প্রশ্নের জবাব রাহুল গান্ধীর’’
খবরে বলা হয়, প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বুধবার বলেছেন যে, তিনি লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে প্রার্থিতার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন। তাঁর শ্যালক রবার্ট ভদরা মন্তব্য করেছিলেন যে, আমেঠির মানুষ তাঁকে উত্তরপ্রদেশ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে চান।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে পর্যন্ত আমেঠি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল, যখন বিজেপির স্মৃতি ইরানি রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেন।
রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের নির্বাচনে কেরলের ওয়ানাড় থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে এই আসন থেকে পুনর্নির্বাচিত করেছে।
সাংবাদিকরা যখন রাহুল গান্ধীকে তাঁর আমেঠির পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি বলেন, “আমেঠির বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। আমি যে আদেশই পাই না কেন, আমি তা মেনে চলব। ”
রাহুল গান্ধী দাবি করেন, কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিই নির্বাচনী সিদ্ধান্ত নেয়।
আমেঠি ও ওয়ানাড় দুটিতেই ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। ধারণা করা হচ্ছে, রাহুল গান্ধী আমেঠি থেকে এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর আসন রায়বেরেলি থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম ‘‘২৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির মুখে পাকিস্তান, প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ হবেঃ আইএমএফ’’
খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরের জন্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দুই শতাংশে বজায় রেখেছে। যা জানুয়ারিতে তার আগের অনুমান থেকে ২.৫ শতাংশ কমেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত তার ফ্ল্যাগশিপ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে (ডব্লিউইও ২০২৪) আইএমএফ আগামী অর্থবছরের জন্য দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশে রেখেছে। জানুয়ারিতে, তহবিল চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশ এবং FY25 এর জন্য ৩.৬ শতাংশ থেকে ০.১ শতাংশ কমিয়েছিল, যা ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রত্যাশিত ছিল।
প্রবৃদ্ধির অনুমানগুলো তহবিলের ৩ বিলিয়ন ডলারের স্ট্যান্ড-বাই অ্যারেঞ্জমেন্টের (এসবিএ) অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থানের সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে উভয় পক্ষ ২০ মার্চ স্টাফ-লেভেল এগ্রিমেন্টে (এসএলএ) পৌঁছেছিল।
আইএমএফের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস চলতি বছরের জন্য সরকারের ৩.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তবে সাধারণত স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের ২ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা গত মাসে আর্থিক নীতি বিবৃতির অংশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
আইএমএফ অনুমান করেছে যে পাকিস্তানের গড় মুদ্রাস্ফীতি গত বছরের ২৯.২ শতাংশ থেকে এই বছর ২৪.৮ শতাংশে নেমে আসবে এবং এফওয়াই ২৫-এ আরও ধীর গতিতে ১২.৭ শতাংশে নেমে আসবে। এছাড়াও, তহবিলটি চলতি বছরের ঘাটতি জিডিপির ১.১ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। যা গত বছর ০.৭ শতাংশ ছিল এবং পরের বছর আরও বেড়ে ১.২ শতাংশে উন্নীত হবে।
অন্যদিকে, আইএমএফ অনুমান করেছে যে, বেকারত্বের হার ধীরে ধীরে FY23-এ ৮.৫ শতাংশ থেকে এই বছর ৮ শতাংশ এবং পরের অর্থবছরে ৭.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
যুগান্তরের শিরোনাম ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ: অনিয়মের দশ অভিযোগ থাকলে অযোগ্য”
খবরে বলা হয়, ঋণখেলাপিসহ ১০ অনিয়মের অভিযোগ থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের শেয়ারভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাবেন না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে হিসাব-নিরীক্ষা ও আইনের বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে নিষ্পন্ন করতে পর্ষদে কমপক্ষে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট (সিএ), অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ/ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। তবে পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের জন্য সরকারের কর্মরত কোনো সচিব ও সমগ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা বিবেচিত হবেন না।
এসব বিধান রেখে গত ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জারি করা হয় ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের শেয়ার রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ নীতিমালা।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।
নতুন নীতিমালায় চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের বাছাই কমিটি। ওই কমিটি নিয়োগের আগে চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এবং পরিচালকের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর। তবে কমিটি নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা নিয়ে একটি বোর্ড প্রোফাইল প্রস্তুত করবে।
রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে কারা নিয়োগ পাবেন-তা নিয়ে এতদিন কোনো নীতিমালা ছিল না। এই সুযোগে সব সরকারের সময়েই দলীয় লোক কিংবা পছন্দের পেশাজীবীদের সেখানে বসানো হয়েছে। ফলে বহুল আলোচিত হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ ও অ্যাননটেক্স, মুন গ্রুপ, গোল্ড আনোয়ার এবং বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকদের অনেকে আলোচিত ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য পর্ষদগুলোতে যুক্ত হওয়া প্রভাবশালী সদস্যদের দায়ী করেন।
কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া এসব সদস্যের বেশিরভাগ ব্যক্তির উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে নিজে লাভবান হবেন। এরপর রয়েছে অদক্ষতা। অর্থাৎ পর্ষদ সদস্য হওয়ার মতো ব্যাংকিং, মুদ্রানীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ঘাটতি ছিল যথেষ্ট। যে কারণে ব্যাংকিং খাতে একের পর এক বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক রেডজোনে থাকা বেশ কিছু ব্যাংককে উদ্ধার করতে একীভূত করার ফর্মুলা সামনে এনেছে।
ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মনে করছে, এভাবে হয়তো সাময়িক কিছুটা উপশম হবে, তবে স্থায়ীভাবে এর সমাধান করার জন্য দরকার বাস্তবভিত্তিক কঠোর নীতিমালা। জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম মঙ্গলবার জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের শর্ত দিয়ে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধান করা যাবে না। কারণ যারা রাঘববোয়াল ঋণখেলাপি তাদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করে টাকা আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ঋণখেলাপিদের জন্য পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। সেটি করতে না পারলে এসব শর্ত দিয়ে দুর্নীতিপরায়ণ প্রভাবশালী মহলকে সঠিক পথে আনা যাবে না।
নীতিমালায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগে বাধা-নিষেধে উল্লেখ করে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হলে একই সময়ে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যদিও কেউ বেতনভুক্ত কর্মচারী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বহিঃহিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক বা অন্য কোনো পদে নিয়োজিত আছেন বা গত পাঁচ বছরের মধ্যে ছিলেন তিনি চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাবেন না। এছাড়া অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা বা পরামর্শক হিসাবে থাকলেও অযোগ্য হিসাবে ধরা হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পর্ষদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পর্ষদের পরিচালকদের মেয়াদ হবে তিন বছর। তবে ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। মেয়াদ শেষে তিন বছর পার হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরিচালক পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন।
সমকালের শিরোনাম ‘‘শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের ২৮৪ কোটি টাকার ‘পণ্ডশ্রম’প্রকল্প”
প্রতিবেদনে বলা হয়, হতে হবে দরিদ্র পরিবারের সন্তান, থাকতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, আর বয়স সর্বোচ্চ ১৭– শিশুশ্রম নিরসনে তালিকা করার সময় এসব শর্তের ধার ধারেননি প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। এ সুযোগে দরিদ্র শিশুদের জন্য সরকারের নেওয়া প্রকল্পের উপবৃত্তির টাকা নিয়ে গেছে সচ্ছল পরিবারের শিশুদের পরিবার। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত না থাকলেও প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে প্রতি মাসে গুনে নিয়েছে এক হাজার টাকা। ১০ মাসের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শেষে এককালীন জনপ্রতি ১৩ হাজার টাকার প্রণোদনা নিয়েও হয়েছে নয়ছয়। সরকারি কর্মকর্তাদের আশকারায় বেশির ভাগ এনজিও প্রকল্পের এ টাকা লোপাট করে।
এমন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (চতুর্থ পর্যায়)’ প্রকল্পে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন কার্যালয়ের আলাদা পরিদর্শন প্রতিবেদনে বিস্তর অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংশ্লিষ্ট কনভেনশন ১৩৮ এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার-সংক্রান্ত কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করেছে সরকার। এই কনভেনশনে শিশুকে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখার কথা বলা হয়। এ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। খরচ ধরা হয় ২৮৪ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা অনিয়ম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭, ৩৮, ৪৭, ৪৮ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশু হিসেবে ৮৯৩ জনকে প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে তাদের অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত না। অনেকে আবার কেন্দ্রের শিক্ষার্থী না হলে ধরে এনে উপস্থিত দেখানো হয়েছে। কোনো কোনো শিশুর বয়স প্রকল্পের নির্ধারিত বয়সসীমার সঙ্গে মিল নেই। অনেক শিশুর পরিবার উপবৃত্তির টাকাও পায়নি। পটুয়াখালী মহিলা উন্নয়ন সমিতি (পিএমইউএস) নামে একটি এনজিও ওই পাঁচ ওয়ার্ডে ৩৬টি কেন্দ্র পরিচালনা করে।
শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এলাকা জরিপের মাধ্যমে সুবিধাভোগী শিশু নির্বাচন, উপবৃত্তির টাকা পরিশোধসহ কিছু অনিয়ম নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা ছিল। পরে স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সভায় বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রের তালিকাভুক্ত এক হাজার শিশুশ্রমিকের মধ্যে ৩৬৬ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, মাত্র ২৫ জন এ প্রশিক্ষণ পাওয়ার যোগ্য।
বাকিরা কেউ ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা ঝুঁকিহীন কোনো ধরনের কর্মে নিয়োজিত নেই। এদের অনেকেই সচ্ছল পরিবারের বিদ্যালয়গামী শিশু। এ পরিস্থিতিতে ডিআইএফইকে নিবিড় পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সারাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসব অনিয়ম পাওয়া যায়।
জরিপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী এক লাখ শিশুকে নির্বাচিত করা হয়। ৯টি বিষয়ের ওপর ছয় মাসের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও চার মাসের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এসব শিশুকে। এ সময় প্রত্যেক শিশুকে মাসে এক হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়ার কথা। প্রশিক্ষণ পাওয়া সেরা ১০ হাজার শিশুকে ক্ষুদ্র উদ্যোগের পুঁজি হিসেবে এককালীন ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। এ টাকা কেউ পেয়েছে, কেউ পায়নি।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে এক পরিদর্শক বলেন, মন্ত্রণালয় এবং এনজিও মিলে প্রকল্পের টাকা লোপাট করেছে। যেসব নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়, সেগুলো সংশ্লিষ্ট এনজিওর হাতে রয়েছে। এ কারণে উপবৃত্তির টাকা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের পরিবারের হাতে পৌঁছেনি। তাঁর মতে, চতুর্থ প্রকল্পের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও প্রায় একই রকম অনিয়মের ঘটনা ঘটেছিল।
উপবৃত্তির টাকা পায়নি শিশুরা
রাজধানীর মুগদায় ৩৬টি কেন্দ্র পরিচালনা করে গণউন্নয়ন সংস্থা। এর মধ্যে নমুনা হিসেবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মুগদা শীতলক্ষ্যা কেন্দ্র এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যমুনা নামে দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের জানুয়ারির পর আর কোনো মাসের উপবৃত্তির টাকা পায়নি কোনো শিশু।
খুলনা অঞ্চলের পরিদর্শনে আরও ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও পরিচালিত ১৯ নম্বর শিক্ষা কেন্দ্রে মাত্র তিন শিশুকে উপস্থিত পাওয়া গেছে। কেন্দ্রের শিক্ষক ফারজানা আক্তার পরিদর্শকদের জানিয়েছেন, ছয় মাস ধরে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে না শিশুরা। ওই এলাকায় এ রকম ১ হাজার ৪৪১ শিশু কোনো টাকা পায়নি।
যা বলছেন প্রকল্প পরিচালক
গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মনোয়ার হোসেন। এর পর থেকে তিনি বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে বদলি হন। তাঁর দায়িত্ব পালনের সময়েই অনিয়মের ঘটনা ঘটেছিল। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমার জ্ঞানত কোনো অনিয়ম হয়নি প্রকল্পে।’ তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত এনজিওর মাধ্যমেই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পেয়ে থাকে সুবিধাভোগী শিশুদের পরিবার। তবে দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা আমলে নেওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য নয়।
দেশ রুপান্তরের শিরোনাম ‘‘এপ্রিলে গরমে হাঁসফাঁস”
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল বগুড়ায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। তখন সেটিই ছিল এপ্রিল মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে তাপমাত্রার পারদ ১৯৬৩ সালের ২ এপ্রিল যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ও ১৯৫৬ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালে ৪৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
পরে ২০০৯, ২০১৪, ২০১৬, ২০২২ ও ২০২৩ সালে তাপমাত্রা বেড়েছে এবং গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার রেকর্ড হয়। গত এপ্রিলে টানা ২৫ দিন ছিল তাপপ্রবাহ। এবার এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তা এপ্রিল মাস জুড়েই চলবে। তাপপ্রবাহ টানা দুই বা তিন দিন থাকে। তারপর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। মাসে দুটি বা তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু এবার দেশ জুড়ে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ এখনো চলছে।
এটা কীসের ইঙ্গিত? এ প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই তাপমাত্রার বাড়তি ধারা দেখা যাচ্ছে। গত বছর এপ্রিল-মে মাসে টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২২ ও ২০১৬ সালেও তাপমাত্রা বেশি ছিল। এবারও তাপপ্রবাহ বেশি থাকবে। মাঝে কিছু এলাকায় কালবৈশাখী দেখা দিতে পারে, ঝড় শেষে আবারও সংশ্লিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা বাড়বে।’
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ। তাপমাত্রা বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘দেশে সবুজের পরিমাণ কমছে। উন্নয়ন কার্যক্রম বেশি হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা কম থাকার উপাদানগুলোর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত থাকছে। স্থানীয়ভাবে তাপমাত্রা কমছে না এবং দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাপপ্রবাহ।’
বজলুর রশিদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘নগরাঞ্চলের পাশাপাশি সারা দেশেই মানুষের কর্মকান্ড বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। স্থানীয়ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা।’
গরম কতদিন থাকবে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আগামী দুদিন গরমের তীব্রতা কিছু কমবে। তারপরও তাপপ্রবাহ বন্ধ হবে না। দেশের কোনো না কোনো এলাকায় তাপপ্রবাহ থাকবে। ২০ এপ্রিলের পর আবারও তাপপ্রবাহ বাড়বে।’
কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি হলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘‘মৌসুমেও চড়া আলুর দাম”
খবরে বলা হয়েছে, ভরা মৌসুমেও বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও খুচরায় প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৫০ টাকা; যা সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ২১ টাকা বেশি। গত ১৫ মার্চ ২৯টি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা। কিন্তু বেঁধে দেওয়া দামের অনেক ওপরে গিয়ে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।
ভরা মৌসুমে আলুর এই দামকে বেশি এবং এর জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। আলুর ফলন কম এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে আলু বেশি দামে কেনা ও বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের। যদিও সরকারি হিসাবে আলুর চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশিই হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক বছর আগে একই দিন ঢাকা মহানগরীতে আলুর কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে আলু কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা।
এদিকে কৃষকের কাছ থেকে আলু বেশি দামে কেনার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ৩৬ টাকায় কৃষকের কাছ থেকেই কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি তো হবেই।
তবে ভিন্ন কথা বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাহিদার তুলনায় দেশে আলুর উৎপাদন বেশি জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দেশে প্রায় ১ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। বিপরীতে আলুর চাহিদা ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এবার আলুর ফলন কম হয়েছে। কেউ কেউ বেশি দাম পেতে আগেই আলু উঠিয়ে বিক্রি করেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণেও আলুর উৎপাদন কমেছে। আর এখন কৃষক পর্যায়েই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাজারে এসে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply