সারাক্ষণ ডেস্ক
ইতালীর রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪’ পালন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও দিবসটির উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মোঃ জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।
চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভূমির উপর আলোচনায় বলেন যে, ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট্র বাঙ্গালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ইতোপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর সরকার একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
সবশেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
Leave a Reply