সারাক্ষণ ডেস্ক

হুডেড ওরিওল,( হলুদ কুটুম পাখি) এটিকে বড় গানের পাখি বলে । এর পাতলা, শৈল্পিক গঠন এবং উজ্জ্বল রঙের পালক অন্য পাখি থেকে আলাদা থাকে যা পাখি প্রেমিদের সত্যিই আকৃষ্ট করে। এদের  লম্বা শরীর, গোলাকার লেজ এবং সামান্য বাঁকা ঠোঁটের তাদের প্রজাতির মধ্যে একটি অনন্য চমৎকারিত্ব আনে।

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হুডেড ওরিওলস(কালো মাথা বেনে বউ পাখি)  তাদের চকচকে কালো এবং স্পন্দনশীল হলুদ থেকে কমলা রঙ্গের পূচ্ছের  সাথে একটি আকর্ষণীয় ব্যতিক্রম চেহারা উপস্থাপন করে।

তাদের কালো ডানা এবং লেজগুলি গাঢ় হলুদ থেকে কমলা রম্প, ফণা এবং পেটের উপর পযর্ন্ত একটি স্বতন্ত্র কালো মুখোশ চোখের চারপাশে প্রসারিত। সাথে কালো গলার সাথে মিলিত যা বুকের বিবের মধ্যে প্রবাহিত হয় এতে এদের নাটকীয় চেহারাকে বাড়িয়ে তোলে।

এই পুরুষ পাখিগুলো এদের উজ্জ্বল সাদা ডানাগুলির জন্যও বেশ নামী। এর বিপরীতে, মেয়ে পাখিটার ধূসর পিঠ এবং সূক্ষ্ম সাদা উইংবার সহ একটি জলপাই-হলুদ ছায়া থাকে, যখন কিশোর পুরুষরা মহিলাদের কাছে ডাকে তখন কালো গলা দেখায়।

এই পাখিগুলি চটপটে চোরাশিকারী, প্রায়শই তাদের শিকারকে সতর্কতার সাথে বাছাই করার সময় উল্টোভাবে ঝুলতে দেখা যায়। তাদের চটকদার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, হুডেড ওরিওলরা তাদের দৃঢ় উড়ন্ত দক্ষতা প্রদর্শন করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে ইচ্ছাকৃত এবং শক্তিশালী ডানাযুক্ত ডানা দিয়ে  পাতার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে চলাফেরা করে।

প্রাকৃতিক পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর অভ্যাস

হুডেড ওরিওলগুলি তুলা কাঠ, উইলো, সিকামোরস এবং বিশেষত পাম গাছে খোলা বনভূমিতে বিচরণ করে যা আদর্শ বাসা বাঁধার স্থান এবং প্রচুর খাদ্য উৎস পায়।

ফটোগ্রাফার: পাওয়ান কুমার তুলশিদাস বাধে, ঢাকায় অবস্থিত একজন ভারতীয় কূটনীতিক। কূটনীতিতে একটি বৈচিত্র্যময় পটভূমি রয়েছে, তিনি জেনেভা এবং ভিয়েনায় চাকরি করেছেন এবং মানবাধিকার, নিরস্ত্রীকরণ এবং প্রেস সম্পর্কের উপর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। COVID-19 লকডাউনের সময় বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফি এবং পাখি দেখার প্রতি তার আবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাধে তার স্ত্রী, কীর্তি এবং তাদের ছেলের সাথে প্রকৃতি দর্শণ উপভোগ করেন।