আফান্দীর গল্প
সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলোতে তাকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা নামে জানে। ভারত উপমহাদেশে তিনি মোল্লা নাসিরুদ্দিন নামে পরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়ও তার এই ধরনের গল্পগুলো নানা নামে পাওয়া যায়। চায়নাতে তাকে পাওয়া যায় আফান্দী নামে। এই হোজ্জা বা মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প চায়নায় আফান্দী নামে প্রচলিত থাকলেও গল্পগুলোর ভেতরে একই আমেজ পাওয়া যায়। সারাক্ষণে আফান্দীর গল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. লোভী জমিদার মনে মনে ভাবল, “আল্লাহ আমাকে বড় লোক হবার সুযোগ করে দিলেন।” তারপর সে হাসিমুখে আফান্দীকে বলল, “ভাই আফান্দী, তোমার বাড়ীতে দেখতে যাবার দরকার নেই। তোমার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমি তোমার অংশীদাররূপে সোনার বীজ বপন করবো। সোনা ফললে দশ ভাগের আট ভাগ আনাকে দিলেই চলবে। কারণ এই জমি তো আমারই।”
৬. আফান্দী খুশী হয়ে বলল, “ঠিক আছে, আমি রাজী আছি। সোনা ফললে দশ ভাগের দুভাগ আমি নেব। তাতেও আমার লাভ ছাড়া লোকসান নেই।”
৭. জমিদার ভাবল, শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস না রাখাই ভাল। তাই একজন কাজিকে ‘সাক্ষী হিসেবে ডেকে আনল। কাজি বলল, “আমি তোমাদের কথার সাক্ষী রইলাম। আফান্দী, সোনা যে কোনো জায়গায় তুমি বপন করতে পারো, আসছে রোববার তুমি প্রভুকে আট তোলা সোনা দিয়ে আসবে।”
Leave a Reply