সারাক্ষণ ডেস্ক
আরব নিউজের শিরোনাম ‘‘ নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ক্যাম্পাস থেকে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি সমর্থক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নেমাত মিনৌচে শফিক এক বিবৃতিতে বলেন, “কলম্বিয়ার ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচুর উদ্বেগের কারণে আমি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে ক্যাম্প থেকে এদেরকে বের করার অনুমতি দিয়েছি।
শফিক বলেন, বিক্ষোভকারীরা অননুমোদিত বিক্ষোভ প্রদর্শনের বিরুদ্ধে স্কুলের নিয়ম ও নীতি লঙ্ঘন করেছে । তারা যেন ৫০ বছরেরও বেশি আগে কলম্বিয়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিল।
নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন যে, পুলিশ ১০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিশৃঙ্খলার সময় কোনও সহিংসতা হয়নি। কেউ আহতও হয়নি।” অ্যাডামস বলেন, শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘনের অধিকার নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারগুলো অনধিকার প্রবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
কলম্বিয়া কতৃপক্ষ বলেছে যে, আমরা এটিকে একটি অননুমোদিত প্রতিবাদ হিসেবে বিবেচনা করছি।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম ‘‘করাচিতে জাপানি নাগরিকের গাড়িতে হামলা, আহত ১’’
খবরে বলা হয়, করাচির লানধি এলাকায় একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী জাপানি নাগরিকদের বহনকারী গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে যে, পাঁচজন জাপানি নাগরিক অক্ষত রয়েছেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে হামলায় জড়িত দুই সন্ত্রাসীর একজন নিহত হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) ডিআইজি আসিফ আইজাজ শেখ বলেন,”পাঁচজন জাপানিই নিরাপদে ছিলেন। তবে, তাদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন “, তিনি আরও বলেন, একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাপানি নাগরিকরা ক্লিফটনের জামজামায় তাদের বাসভবন থেকে এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে যাচ্ছিল। জাপানি নাগরিকরা দুই নিরাপত্তা রক্ষীসহ একটি ভ্যানে ভ্রমণ করছিলেন। তখন একটি মোটরসাইকেলের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তাদের আঘাত করে।’
ডিআইজি শেখ বলেন, ‘পাঁচজন জাপানি নাগরিকই নিরাপদে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, আরেকজন “আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী” যিনি “ব্যাক আপ” করার জন্য সেখানে ছিলেন, তাকে এলাকায় টহলরত পুলিশের একটি দল গুলি করে হত্যা করে।’
ডিআইজি বলেন,”এখনও পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।” জাপানি নাগরিকদের বহনকারী গাড়িটি বুলেট-প্রুফ ছিল।”
ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিটিডি-র ভারপ্রাপ্ত রাজা উমর খাত্তাব বলেন, জাপানি নাগরিকরা তিনটি গাড়ির কনভয়ে ভ্রমণ করছিলেন। “আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এবং তার সহযোগী ইতিমধ্যে এলাকায় উপস্থিত ছিল।
তারা গাড়িগুলো দেখে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা হামলা চালায়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আত্মঘাতী হামলাটি তার উদ্দেশ্য অর্জন করতে না পারায় হামলাকারীর সহযোগী “আতঙ্কিত” হয়ে পড়ে এবং গুলি চালাতে শুরু করে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা দ্বিতীয় সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে। “আমি যা পরীক্ষা করেছি, তাতে সন্ত্রাসবাদী প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। এ ছাড়া তার কাছে কিছু গ্রেনেডও ছিল।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ আক্রমণটিকে ব্যর্থ করেছে। তিনি বলেন, হামলা চালানোর আগে অপরাধীরা রেকি করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আহতদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
তিনি বলেন, “পুলিশের সময়োপযোগী পদক্ষেপ আমাদের যে কোনও বড় প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষা করেছে। সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না। আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার প্রতিটি ঘৃণ্য কাজ আমরা প্রতিহত করব।”
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘‘জেলে ইনসুলিন সরবরাহের জন্য দিল্লির আদালতে আর্বিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন, আজ শুনানী’’
প্রতিবেদনে বলা হয়,জেলে ইনসুলিন সরবরাহের জন্য রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুপুর ২টায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি হবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে জেলে ইনসুলিন সরবরাহের জন্য একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। আদালত দুপুর ২টায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি করবে বলে জানিয়েছে আম আদমি পার্টি।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর তীব্র ডায়াবেটিস এবং রক্তে শর্করার স্তরের ওঠানামা সম্পর্কে প্রতিদিন ১৫মিনিটের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার অনুমতি চেয়েছেন। তিনি তার স্ত্রীকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে এবং উপস্থিত থাকার অনুমতি দিতে চান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর বিচার বিভাগীয় হেফাজতের পর থেকে তীব্র ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে ওঠানামা করছে। যা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করছে।
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা কারাগারের ডিরেক্টর জেনারেলকে আম আদমি পার্টির অভিযোগের বিষয়ে একটি প্রকৃত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
দিল্লির ক্যাবিনেট মন্ত্রী অতিশি অভিযোগ করেছিলেন যে, আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে কারাগারে বাড়িতে রান্না করা খাবার এবং ইনসুলিন না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।।
যুগান্তরের শিরোনাম ‘‘রোদে-গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা বেশি অসুস্থ ’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় অর্ধমাস ধরে মৃদু থেকে মাঝারি এবং কোথাও তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোদে-গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন। বৈশাখের ঘামে-গরমে বয়স্ক ও শিশুদের অস্বস্তি চরমে উঠছে। এই সুযোগে হানা দিচ্ছে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগ।
চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র তাপপ্রবাহে সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। অতিরক্তি গরমে শিশুরা পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস ও অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি রোগী ও বয়স্কদের হিট স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, শরীর জ্বালাপোড়া, পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, ত্বকের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি ও মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১২ দিনে মোট পাঁচ হাজার ৫৩৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪৬২ জন এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৯ জনের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, দুর্বিষহ গরমে ঘরে-বাইরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দিজ্বর নিয়েও হাসপাতালে আসছেন রোগীরা।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, অসহনীয় গরম এবং অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। আবার বাতাসের আর্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায় তাপপ্রবাহের মধ্যে ঠোঁট শুকিয়ে ও ফেটে যায়। তীব্র গরমে শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, রিকশাচালক, কৃষক ও নির্মাণ শ্রমিকদের মতো শ্রমজীবী, এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তিরা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন।
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, গরম থেকে রক্ষা পেতে পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরা, বাতাস চলাচল রয়েছে এমন স্থানে থাকা, বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা এবং শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে। স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। গ্রীষ্মকালীন ফলের তাজা জুস পান করা, মাংস এড়িয়ে বেশি করে খেতে হবে ফল ও সবজি। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সমকালের শিরোনাম ‘‘আলু কেজিতে বাড়ল ১০ টাকা, সয়াবিনে নতুন দর’’
প্রতিবেদনে বলা হয়,ঈদের পর কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম ফের ছুটেছে। ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ কিছু পণ্যের দাম আবার বেড়েছে। এর মধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্তে। তবে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া মুরগির দর কমেছে কিছুটা।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের সরবরাহে টান নেই। তবে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী এখনও গ্রাম থেকে ফেরেননি। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেন। তাতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানো হলেও খোলা সয়াবিন লিটারে কমানো হয়েছে ২ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলে দর বেড়েছে ১৮ টাকা। ফলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৬৭ টাকা, পাঁচ লিটারের দর হবে ৮১৮ এবং খোলা সয়াবিনের লিটার হবে ১৪৭ টাকা। অন্যদিকে সুপার পামঅয়েলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তবে সুপার পামঅয়েল বাজারে এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। গত ১৫ এপ্রিল ভ্যাট অব্যাহতির সময় শেষ হওয়ার পর ১৬ এপ্রিল থেকে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে বিক্রির উদ্যোগ নেন মালিকরা। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে মালিকদের সেই তৎপরতা রুখে দেয়। কয়েক দফা বৈঠক শেষে এ দাম নির্ধারিত হয়।
ভোজ্যতেল ছাড়াও বাজারে কয়েকটি পণ্যের দর নতুন করে বেড়েছে। গতকাল ঢাকার কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও তেজকুনিপাড়া বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। কোথাও কোথাও কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। সেই হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ঈদের আগে থেকেই আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। আলুর মৌসুম এখন শেষ। আমদানি না হলে আলুর দর কমার সম্ভাবনা নেই।
ঈদের আগে ভারত থেকে সরকারি উদ্যোগে প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়, যা সরকারি সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বাজারে এর কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। তখন দেশি পেঁয়াজের কেজি নেমেছিল ৫০ টাকার ঘরে। কেজি কেনা গেছে ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে। তবে ঈদের পর চড়তে থাকে দাম। কয়েক দফা বেড়ে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৩ টাকা।
পেঁয়াজের মতো দর বেড়েছে আদা-রসুনেরও। বাজারে এখন আমদানি করা প্রতি কেজি চায়না রসুন ২২০ থেকে ২৩০ এবং দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে চায়না রসুন ১৯০ থেকে ২১০ টাকা এবং দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ গত আট-দশ দিনের ব্যবধানে আমদানি করা রসুন কেজিতে ২০ থেকে ৩০ এবং দেশি রসুন ৩০ টাকা বেড়েছে। এদিকে চায়না আদা কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
আটার বাজারেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। টিসিবির প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতি কেজি খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ এবং প্যাকেটজাত আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে খোলা আটার কেজি ৪২ থেকে ৪৫ এবং প্যাকেট আটার কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় কেনা গেছে। সেই হিসাবে আটা কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। আগে থেকে চড়ে থাকা চালের দর এখনও নামেনি। টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক মাসে সব ধরনের সিদ্ধ চাল কেজিতে ২ থেকে প্রায় ৫ টাকা বেড়েছে।
রোজার মধ্যে ডিমের দাম বেশ কমেছিল। প্রতি ডজন নেমেছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এখন বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। আর ফার্মের সাদা ডিমের ডজন কিনতে হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে ঈদের আগে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া মুরগির দর কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ব্রয়লারের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বছরে ঘাটতি ৫৬০ কোটি টাকা’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বছরে ঘাটতি ৫৬০ কোটি টাকার বেশি। প্রতি বছরই যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে অবসরের পরেও সুবিধার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা প্রাপ্তি সংক্রান্ত অনিষ্পন্ন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির পাশাপাশি কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এমন সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধার অনিষ্পন্ন ৬১ হাজারের বেশি আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সংসদীয় কমিটির সহায়তা চাওয়া হয়েছে। অপরদিকে এসব অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ওই বৈঠকে শিক্ষাসচিব সোলায়মান খান নিজেই প্রসঙ্গটি তোলেন। সচিব বলেন, বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা খাতে বছরে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার চেয়ে বরাদ্দ অনেক কম হওয়ায় প্রতি বছর ঘাটতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে একজন শিক্ষক অবসরে যাওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও, তাঁর আবেদন নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। বর্তমানে অর্থাভাবে প্রায় ৩৪ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় আছে। এগুলো নিষ্পত্তি করতে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন। কল্যাণ ট্রাস্টে অনিষ্পন্ন ২৭ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন বলেও তিনি কমিটিতে জানান। পরে তিনি এ বিষয়ে কমিটির সহায়তা কামনা করেন।
বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বৈঠকে বলেন, চাকরি শেষে যে অবসর সুবিধা পাওয়ার কথা সেটাও যথাসময়ে না পাওয়ায় তারা জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। এমনকি শেষ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পরায় অবসর সুবিধা ভোগ না করেই অনেকে মৃত্যুবরণ করেন।
বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (এমপিওভুক্ত) রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংসদীয় কমিটিকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, নিয়োগ, ছাত্র ভর্তি, দলাদলি, জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে বেশির ভাগ মামলা মোকদ্দমা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মামলা চলমান আছে। যে কারণে এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব উল্লেখ করে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যায় তার ৮০ শতাংশ দেশে ফেরেন না।
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য ও সৃষ্ট পদ খালি রয়েছে তা দ্রুত পূরণের সুপারিশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য ও শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, মোতাহার হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন, আবদুল মজিদ, আহমদ হোসেন, বিপ্লব হাসান ও আজিজুল ইসলাম।
দেশ রুপান্তরের শিরোনাম ‘‘শারজাহতে বিপাকে চট্টগ্রামের ১৫০ ওমরাহ হজযাত্রী’’
খবরে বলা হয়,দুই দিনের তীব্র ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত দুবাই বিমানবন্দর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিমানবন্দরের ১ হাজার ২৪৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও ৪১টি ফ্লাইট। এতে বিপাকে পড়েছে সারা বিশ্বের যাত্রীরা। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অভিমুখী ১৫০ জন যাত্রী শারজাহ শহরের বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত হয়ে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পর গতকাল সকালে দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ থেকে আংশিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্বের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার যাত্রীদের খুব প্রয়োজন না হলে ‘টার্মিনাল-১’-এ না যাওয়ার আহ্বান জানায় দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া টার্মিনালে বুকিং সুবিধা না থাকায় বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে যাত্রীদের যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়। গতকাল পর্যন্ত দুবাই ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য চেক-ইন স্থগিত করে এমিরেটস। এতে বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীদের অনেকেই বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ও মেঝেতে অবস্থান করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নানা জায়গায়ই নজিরবিহীন বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এতে সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। এয়ার অ্যারাবিয়ার জি ৯-৫২৬ ফ্লাইটটির প্রায় ১৫০ যাত্রী ওমরাহ শেষে মদিনা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে গত মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রানজিটে আটকে রয়েছেন। তারা ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীরা ওমরাহ হজ শেষ করে দেশে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শারজাহতে এসে তারা সমস্যার মুখে পড়েন। এদিকে যাত্রীদের কাউকে হোটেল বুকিং দেওয়া হয়নি।
ইউএইর দুবাই, শারজাহ, আজমান ও আবুধাবির কিছু অংশে নজিরবিহীন বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৭৫ বছরে এ ধরনের বৃষ্টির নজির সে দেশে নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বোচ্চ ২৫৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এই পরিমাণ বৃষ্টি দেশটিতে দুই বছরে হয়ে থাকে। দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থবির হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply