গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সব বয়সি মানুষের। সারা দেশে তীব্র দাবদাহে যেন পুড়ছে। গরমে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ ।
গরমের পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ভয়াবহ গরমে সুস্থ থাকতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তা তুলে ধরা হলো-
# যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন, তারাই মূলত হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন । লিভার, ক্যান্সারের রুগী, উচ্চ রক্তচাপ, হদরোগ ও ডায়াবেটিস যাদের আছে অতিরিক্ত গরমে ঘেমে তাদের প্রেশার কমে যায়। তাই তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গরমে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় পানিশূন্যতার। তা যেন না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
# গরমে খুব প্রয়োজন না হলে রোদে যাওয়া যাবে না। শ্রমিক, রিকশাচালক সহ যারা বাইরে কাজ করেন তাদের কিছু সময় পরপর ছায়ার মধ্যে আসতে হবে। বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবারও কাজ করতে হবে।
# রাস্তার পাশে খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবু পানি, আখের জুস খাওয়া যাবে না। অস্বাস্থ্যকর, বাসি খাবারও বাদ দিতে হবে। এসব খাবার খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় সহ অন্যান্য রোগ হতে পারে।
# হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস ও ডাবের পানি পান করতে হবে।
# তীব্র গরম থেকে বাচঁতে অনেকে ঠান্ডা জুস, শরবত, আইসক্রিম খেয়ে থাকে, কিন্তু এসব না খেয়ে স্বাভাবিক মাত্রার পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে। এই গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা খেলেই জ্বর, টনসিলের প্রদাহ সহ অন্যান্য সমস্যা বাড়বে।
# পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। রাস্তার বা খোলা স্থানের পানি বা অন্য খাবার খাওয়া যাবে না। খেলে টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগ বাড়বে।
# খুব দরকার ছাড়া বাইরে বের হবেন না। তবে যাদের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয় তারা সুতি কাপড় বা ঢিলেঢালা পোশাক পরবেন। প্রয়োজনে ছাতা বা ক্যাপ মাথায় দিয়ে বের হবেন। ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
# শিশু ও বয়স্কদের বেশি বেশি পানি খাওয়াতে হবে। কোনভাবেই যেন তাদের পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
Leave a Reply