রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ৯.৪৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ”

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও এই মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আগেই এই সনদে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করতে পারেন। সেই সফরের আগে গুমবিরোধী সনদে যুক্ততার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও এই মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আগেই এই সনদে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফর করতে পারেন। সেই সফরের আগে গুমবিরোধী সনদে যুক্ততার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে কোনো আপত্তি ছাড়াই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গুমবিরোধী সনদে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিঠি জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরে পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ। সনদটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের, তাই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠিটি জেনেভায় মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরে পাঠাবেন।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ গুমের আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হচ্ছে। এখন আমরা বিচার পাওয়ার আশা রাখছি। আশা করি, সরকার এখন একটি কমিশন করে সবগুলো গুমের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করবে।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুললেও বন্যার শঙ্কা নেই, বলছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা”

ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেটের সবগুলো খোলা থাকলেও এই মুহূর্তে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ফারাক্কার ভারতের অংশে এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বর্ষাকালে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খোলাই থাকে। এগুলো আটকে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে জানান তারা।

অন্যদিকে, একই কথা বলছে ভারতের ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প। তারা বলছে, বাঁধ থেকে ভাটির দিকে যে পানি ছাড়া হচ্ছে, তাতে এখনই বন্যার আশঙ্কা নেই।

দেশের পূর্বাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে যে আকস্মিক বন্যা হচ্ছে তখনও সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে ভারতের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বন্যা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “জ্বালানি তেলের দাম কবে কমাবে অন্তর্বর্তী সরকার?”

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি গড় মূল্য প্রাক্কলন করেছিল প্রায় ১২২ ডলার। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির গড় মূল্য এখন ৮০ ডলারের আশপাশে। সামনে তা আরো কমার পূর্বাভাস রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী থাকলেও দেশের বাজারে এখনো দাম কমানো হয়নি জ্বালানি তেলের। উল্টো বিপিসির কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে এ দর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে লোকসানে পড়বে সংস্থাটি।

এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বিপিসির প্রাক্কলনের চেয়ে অনেক কম। ফলে পণ্যটি আমদানিতে বিপিসির খরচও অনেক কম। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিপিসি ভোক্তার কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহের পরিবর্তে মুনাফায় মনোযোগ দিচ্ছে বেশি। তাদের লাভ-লোকসানের প্রাক্কলন নিয়েও রয়েছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে বিগত সরকারের আমলের এ চর্চা থেকে বেরিয়ে জনসাধারণের জন্য সুলভে জ্বালানি তেল প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা।

গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) সংশোধিত বাজেটে বিপিসি জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি আমদানি মূল্য প্রাক্কলন

করেছিল ১২৮ ডলার ৩৪ সেন্ট। যদিও অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, ব্যারেলপ্রতি আমদানিতে সংস্থাটির খরচ পড়েছে গড়ে ১০৩ ডলারের কিছু বেশি। এ সময় জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি নিট মুনাফা করেছে ৩ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য (সিঅ্যান্ডএফ) প্রাক্কলন করা হয়েছে ১২১ ডলার ৯১ সেন্ট। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির প্রধান দুই বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বর্তমানে কেনাবেচা হচ্ছে যথাক্রমে ৮১ ডলার ১৯ সেন্ট ও ৭৭ ডলার ১৫ সেন্টে। আর পরিশোধিত জ্বালানি তেলের (গ্যাস অয়েল) ব্যারেলপ্রতি দাম এখন ১১৬ ডলার। এ সময় সংস্থাটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে খরচ কমেছে আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশের বেশি।

যদিও বিপিসির দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে এখন যে দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে, তাতে সংস্থাটি ব্রেক ইভেনেও (যেখানে মোট ব্যয় ও আয় সমান) নেই। দাম এ পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকলে আগামী অর্থবছরে বিপিসির কিছুটা লোকসানও হতে পারে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ নিয়ে বাইডেন-মোদি ফোনালাপ, স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত পুনরুদ্ধারে জোর”

বিভিন্ন দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের  সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বাংলাদেশ নিয়েও।

সোমবার এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যাণ্ডলে লিখেছেন, “বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমি জানিয়েছি ইউক্রেনে শান্তি ও স্থীতাবস্থা ফেরাতে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক  পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছি।”

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024