পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
শক্তি প্রয়োগের হিসাব নিকাশ
বাধা এলে নেতাকে সব সময়ই চিন্তার মোড় ঘোরাতে হয়। প্রথমত নেতাকে আগে হিসাব করতে হয় এই বাধার বিপরীতে তিনি কতটুকি শক্তি প্রয়োগ করবেন।
কারণ যে কোন বাধা নিজের থেকে অনেকটা ক্ষয় হয়ে যায়। সেজন্য বাধার বিপরীতে কখনই সবটুকু শক্তি প্রয়োগ করতে নেই।
যেমন যুদ্ধ ক্ষেত্রে যে কোন প্রাকৃতিক বাধাপ্রাপ্ত স্থানে যুদ্ধের সময় জেনারেল তার সব সৈন্য এক সঙ্গে পাঠান না। তিনি এর জন্যে কয়েকটি পর্ব তৈরি করেন।
নেতাকেও অবশ্য তার দল, টিম বা কোম্পানি বা জীবনে কখনও বাধা এলে সে বাধা অতিক্রমের কয়েকটি পর্ব তৈরি করতে হয়।
আর এক একটা পর্বে তার এক এক ধরনের উত্তরণের পরিকল্পনা রাখতে হয়।
তার সঙ্গে তার যে কর্মী বা সদস্যরা থাকেন তাদেরকেও সেভাবে প্রশিক্ষিত করতে হয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
এ সময়ে পরোক্ষভাবে কেন এগুতে হয়
সাধারণত বাধাগুলো প্রত্যক্ষভাবেই আসে। তাই বাধার বিপরীতে প্রত্যক্ষভাবে এগুলে অনেক সময় বিষয়টা সামনাসামনি যুদ্ধের মতো হয়ে যায়। আর যে কোন যুদ্ধ যখন্ সামনাসামনি হয় তখনই সেখানে শক্তি ক্ষয় হয় অনেক বেশি।
বাধার বিপরীতে সামনা সামনি এগুলে তখন বাধাগুলোও বেশী শক্তিশালী থাকে। তাই সব সময়ই বিপরীত পথ বা পরোক্ষ পথে এগুতে হয়।
তাছাড়া কখন্ও কোন নেতা একা চলেন না। তাকে কোন টিম বা বেশকিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। তারা যদি মনে করে মানুষটি প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে- তাহলে সেখান থেকে অনেকেরই চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এর বিপরীতে তিনি পরোক্ষভাবে এগুলে অন্যরা অনেক সময় মনে করেন, আসলে তারা একটা স্বাভাবিক অবস্থা পার করছেন। তাই তারা তার সঙ্গেই থাকেন।
স্থান কাল পাত্র
বাধার বিপরীতে এগুতে হলে প্রথমত তাকে স্থানটি বেছে নিতে হয় খুব সুপরিকল্পিতভাবে, যদি স্থানটি শতভাগ সঠিক নাও হয় তাহলে সময়কে অর্থাত্ কালকে তাকে আরো সুনিপুনভাবে কাজে লাগাতে হয়। প্রতিটি সময় তাকে খুবই পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে কাজে লাগাতে হয়।
তারপরে তাকে গুরুত্ব দিতে হয় ওই সময়গুলো তিনি কাদের মাধ্যমে কাজে লাগাচ্ছেন। এবং নিজে কতটুকু কাজে লাগাচ্ছেন।
যাদের দিয়ে ওই স্থান ও সময়কে তিনি কাজে লাগাচ্ছেন এবং নিজে যেটুকু করছেন সবটুকু কখনও শতভাগ সঠিক হবে না তবে যতটা সম্ভব বা যতটুকু বেশি করা সম্ভব সেটাই তাকে করতে হবে।
স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৪৫)
Leave a Reply