পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
চতুর নয় জ্ঞানী
সাধারণত ধারনা আছে যে কোন চালাক বা চতুর নেতৃত্ব শেষ অবধি জয়লাভ করে। এমনকি যুদ্ধে জয়লাভের জন্যে চতুরতা অনেক বড় বিষয়।
বাস্তবে মোটেই তা সত্য নয়। চতুরতা এক ধরনের নীচুতা। এ মানুষকে যে কোন নিচু কাজ করতে সাহায্য করে।
যুদ্ধে সেই জেনারেলই জয়লাভ করেন, যিনি যুদ্ধ সম্পর্কে, কোন এলাকায় যুদ্ধ হচ্ছে, কোন ধরনের যুদ্ধ হচ্ছে, এবং এ ধরনের যত রকম যুদ্ধ অতীতে হয়েছে সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন।
স্মার্ট নেতার সঙ্গে তাই চতুরতার কোন সম্পর্ক নেই। চতুর মানুষ নিম্মমানের- তিনি কখনও স্মার্ট নেতা হবেন না। স্মার্ট নেতাকে মূলত ওই জেনারেলের মত তার কাজ ও লক্ষ্য’র এরিয়াকে সম্পৃর্ণ সম্যকভাবে জানতে হয়।
জ্ঞান ও সাহসকে একত্র করতে হয়
অনেক সময় শুধু সাহস বোকামি। অনেক সময় শুধু জ্ঞান নিশ্চল বিষয়। এ কারণে যে কোন সাফল্য’র জন্যে প্রয়োজন জ্ঞান ও সাহসকে একত্র করা। অনেক সময় অনেকে মনে করেন জ্ঞান লোক সাহসী হন না। কারণ, তিনি রাফ এন্ড ঠাফ নন, তিনি বদ-মেজাজী নন, মানুষের ওপর অহেতুক কোন উত্তেজনা দেখাতে পারেন না। সাধারণ মানুষ এগুলোকে সাহস মনে করেন। বাস্তবে এগুলো গোয়ার্তুমি এবং মূলত মুর্খদের মধ্যে এটা থাকে।
সাহস সব সময় ধীর স্থির। যে নাবিক বিশাল উত্তাল মহাসমুদ্রে ঝড়ের কবলের মধ্যেও যখন জাহাজ পাড়ি দেন, তার পাশে গিয়ে দেখবেন তিনি ওই মুহূর্তে পৃথিবীতে সব থেকে ধীর স্থির মানুষ। আর তাকে এভাবে স্থির রাখতে সাহায্য করেছে সমুদ্র সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান। আর এই জ্ঞানই তাকে ঝড়ের সমুদ্র মোকাবিলা করতে সাহায্য করছে। আর তার ওপর ভর করেই তিনি ধীর স্থির ভাবে এগুচ্ছেন।
Leave a Reply