পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতাকে শিক্ষক চিনতে হয়
পৃথিবীতে শিক্ষক থাকে সাধারণ তিন স্থানে- মানুষের ভেতর, প্রকৃতিতে এবং কাজের মধ্যে।
নেতাকে তার চলার পথে পরিচিত মানুষের ভেতর খুঁজতে হয় সেখানে তার শিক্ষক আছে কিনা? যদি কাউকে তার মনে হয় সে কোন না কোন বিষয়ে তার শিক্ষক হতে পারে, তার পরামর্শ কাজে আসবে বা প্রয়োজনীয় বা তাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে- তাহলে তাকে অবশ্যই নেতা শিক্ষক হিসেবে তাকে গ্রহন করবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
এবং সে চলার পথে মানুষের মাঝে অনেককেই এমন শিক্ষক হিসেবে গ্রহন করবে। সবাই হয়তো আলেকজান্দারের মত এরিস্টটলকে শিক্ষক হিসেবে পাবে না। তবে তারপরেও অভিজ্ঞতাকে বিশ্লেষণ করতে পারে এবং তার ভেতর দিয়ে পথ তৈরি করতে পারে এমন অনেককে পাবে।
নেতা অবশ্যই তাদেরকে যে কোন প্রকারে হোক নিজের শিক্ষক বা ভালো বন্ধু হিসেবে গ্রহন করবে।
মানুষের পরে আসে প্রকৃতি।
প্রকৃতির পাঠশালা বিশাল। এখানে চোখ কান শুধু নয় পঞ্চ ইন্দ্রিয় খোলা রাখলে প্রকৃতি প্রতি মুহূর্তে মানুষকে নতুন নতুন শিক্ষা দেয়।
প্রকৃতি যেমন ভৌগলিকভাবে এক এক স্থানে নিজেকে একেক ভাবে সাজিয়েছে।
নেতাকে তেমনি তার কাজের বিস্তারের সময় প্রকৃতি মতো হতে হয়।
প্রকৃতি থেকে তার গভীরতা ও উচ্চতা শিখতে হয়।
স্থিরতা ও স্থিতিশীলতা শিখতে হয়।
প্রকৃতি থেকে তাকে ঘুরে দাঁড়ানো শিখতে হয়।
প্রকৃতি থেকে তাকে প্রতিদিন নতুন হওয়া শিখতে হয়।
এর পরে তার শিক্ষক তার নিজের কাজ
নিজের কাজের প্রতি আনুগত্য রাখতে হয় তেমিন যেমন ছাত্রের আনুগত্য থাকে শিক্ষকের প্রতি।
কাজের ভেতর দিয়ে তার জীবনাচরন সহ অনেক কিছুই বদলে যায়।
আর প্রতি মুহূর্তে কাজ না করলে কখনই ভুল ও সঠিক পাশাপাশি এসে দাঁড়ায় না।
শুধু সঠিক কাজ করবো, শুধু ভালো কাজ করবো – এমনটি ভেবে বসে থাকলে সেটা অনেকটা শিক্ষালয়ে না যাবার মতো।
যত বেশি কাজ করা যায় তত বেশি ভুল ও সঠিককে চেনা যায়।
আর তার ভেতর দিয়েই নেতা প্রকৃত শিক্ষা পায়।
একারণে নেতাকে যেমন অবিরাম কাজের সঙ্গে যেমন থাকতে হয় তেমনি সব সময়ই শিক্ষকের অধীন থাকতে হয়।
তবে এসব শিক্ষক তাকে পড়া দেয় না। তার নিজের পড়া নিজেই সৃষ্টি করে নিতে হয়।
Leave a Reply