পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
কাজের আগের কাজ
সাধারণত ধরা হয়, কোন দল বা টিম বা প্রতিষ্ঠান কোন কাজ শুরু করলে তখন থেকে কাজ শুরু হয়।
কিন্তু কোন নেতা তা মনে করে না।
কারণ, নেতা জানে যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার পরে ওই যুদ্ধ শুধু প্রতি মুহূর্তের একটি বিষয়।
মূল যুদ্ধের কাজ শুরু হয় প্রতিটি ফ্রন্টে যুদ্ধ শুরু হবার অনেক আগে।
আর তার থেকেও বড় যুদ্ধ, যারা ওই যুদ্ধ করছে ফ্রন্টে এবং এবং কেন্দ্রে বসে তাদের নিজেদেরকে তৈরি করা।
যেমন একটি বিশ্বকাপ খেলা হয়।
সাধারণত ধরা হয় যেদিন খেলা হচ্ছে ওইদিনই মূলত খেলোয়াড়রা খেলাটি খেলছে।
কিন্তু বাস্তবে ওই দলের এগারজন প্লেয়ার যদি ক্রিকেট বা ফুটবল হয়-
আর যদি টেনিস বা ব্যাডমিন্টন হয় তাহলে একজন বা দুই জন প্লেয়ার- অন্য খেলায়ও দলগত বা এককহতে পারে-
তারা কি যেদিন প্রতিযোগীতা হয় ওইদিন তাদের খেলাটি শুধু খেলে?
না, এই খেলার শুরু হয়েছে তার জন্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর, দশ বছর বা পনের বছর ধরে।
কোন নেতাকে তার দলের জন্যে, প্রতিষ্ঠানের জন্যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বের এই একটা দীর্ঘ সময় আছে।
এবং সেখানে তাকে আরো বেশি সময় দিতে হয়।
যেমন একজন প্লেয়ার তার ম্যাচে যা সময় দেয় তার থেকে কিন্তু প্রাকটিসে বেশি সময় দেয়।
নেতাকে তাই তার প্রতিদিনের কাজের বাইরে একটা প্রাকটিসের সময় অবশ্য্ই রাখতে হবে।
এবং তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, প্রাকটিসটিই তার মূল, তার এই প্রাকটিসের প্রতিফলন ঘটবে তার মূল খেলায়।
প্রাকটিসের জন্য যা মানতে হয়
১.প্রাকটিসে কখনও ক্লান্ত হতে নেই।
২. প্রাকটিসকে কখনও এক ঘেয়েমি করতে নেই।
৩.প্রাকটিসে প্রতি মুহূর্তে ইনোভেটিভ আইডিয়া যোগ করার চেষ্টা নেতাকে নিজেই করতে হবে।
৪. প্রাকটিসকে কখনই বাড়তি কিছু মনে করতে নেই।
৫. প্রাকটিস অবশ্যই কাজের ও জীবনাচারনের অংঙ্গ হবে।
৬. মনে রাখতে হবে প্রাকটিসের ভেতর দিয়ে নতুন টেকনিক আসবে তার কাজের নতুনত্ব আনার জন্যে।
Leave a Reply