পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নিজের জন্যে পথ সৃষ্টি করা
নেতাকে প্রকৃতিতে অনেক কিছু লক্ষ্য করতে হয়। সেখান থেকে সে তার নেতৃত্বের গুন পেতে পারে। যেমন নেতা পৃথিবীর মাটি জুড়ে থাকা বিস্তৃন ঘাসের দিকে তাকাতে পারে। ঘাস কিন্তু কখনও নিজেকে দীর্ঘয়িত করছে না। সে কেবল নিজেকে বিস্তৃত করে। এবং সকল রকম ভার বহনের পরে আবার সে সবুজ থাকে। আর এই ঘাসছাড়া পৃথিবীর মাটি মরুভূমি হয়ে যায়। সে তার সকল ফসল উত্পাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।শুধূ তাই নয় মাটিকে উর্বরা রাখার জন্যে জল ধরে রাখে এই ঘাস।
নেতার চরিত্রের মধ্যে একটি গুন থাকবে ঠিকই ঘাসের মতো। সে কত দীর্ঘ হলো তা কখনই চিন্তা করবে না। সে ঘাসের মতো নিজেকে বিস্তৃত করতে পারছে কিনা সেটাই থাকবে তার অন্যতম লক্ষ্য।
নেতার নিজেকে বিস্তৃত করার অর্থ হলো, নেতার দল বা টিম বা কোম্পানি অনেক বেশি বিস্তৃত হবে। এবং তা কম বাধার পথে ও ঘাসের মতো বিনয়ের সঙ্গে।
নেতা যখনই তার বিনয় হারিয়ে ফেলে তখনই সে তার নেতৃত্বের পথে সব থেকে বড় ভুল করে।
কোন দল বা টিমের নেতা, কোন কোম্পানির নেতা কখনও কখনও বিনয় ছাড়া ঔদ্ধত্য বা জোরপূর্বক ক্ষমতা দিয়ে অনেক কিছু করতে পারে। তবে সেটা শেষ অবধি নেতার কাজ বলে চিহ্নিত হয় না। সেটা দুর্বৃত্ত দলের প্রধানের কাজ।
নেতার ও দুর্বৃত্ত দলের প্রধানের কাজের মধ্যে পার্থক্য চেনা অতন্ত কঠিন।
দুর্বৃত্ত দলের প্রধান হয়ে অনেক সময় দ্রুত সাফল্য অর্জন করা যায়। তবে এই সাফল্য কখনও স্থায়ী বা টেকসই হয়না। এবং বাস্তবে তা সাফল্যও নয়।
স্মার্ট নেতা সেই যে টেকসই এবং সম্মানিত সাফল্য অর্জন করতে পারে।
ধরা যাক, একটি কোম্পানির নেতা কোন একটি কারসাজির মাধ্যমে তার কোম্পানির জন্য বড় একটা অর্থ জোগান দিতে সফল হয়েছে। এটাকে কখনও ওই কোম্পানির সাফল্য ধরলে চলবে না।
কোম্পানির সাফল্য বলতে সে কাজকেই ধরতে হবে যা কোম্পানিকে কোন ফাটকা অর্থ জোগানের থেকে তার কাজকে বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে।
আর এই বিস্তৃত করার কাজই নেতার কাজ।
ধরা যাক, কোন কোম্পানির একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আগে একটি এলাকায় স্টিল উতপাদনে এক নম্বরে ছিলো। কোন কারণে সেটা দ্বিতীয় নাম্বারে নেমে গেলো।
তখন নেতা দেখলো তার প্রতিষ্ঠানকে এক নম্বরে নিতে গিয়ে তাকে যে ব্যয় করতে হবে এবং যে পরিমান বাধা তাকে পার হতে হবে – তার থেকে সে যদি সেখানে কোন ক্যামিকাল উৎপাদনে যায় তাহলে নতুন ক্ষেত্র হিসেবে আরো বেশি এক্সপ্লোর করতে পারবে।
নেতা সে পথেই গেলো। খুলে গেলো তার নতুন আরেকটি দিগন্ত। এটাই স্মার্ট নেতার কাজ। অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগীতা নয়। নিজের জন্যে পথ সৃষ্টি করা।
Leave a Reply