বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ৮৬)

  • Update Time : বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪, ৮.১৭ পিএম

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।

 

 

নেতা ও রিলেশানশিপ

১. কোন একটি আলোচনা বা কোন একটি লেনদেনের ক্ষেত্রে  কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন বা কোন রাষ্ট্রের সংঙ্গে সফলতা নাও আসতে পারে। এমনকি সেই আলোচনা নিয়ে কোন না কোন জটিলতাও সৃষ্টি হতে পারে।

এ জন্যে কোন স্মার্ট নেতা কখনই তার রিলেনশানশিপের পারদকে একবিন্দু পরিমান নামতে দেবে না। রবং এ বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের শুরুর জন্যে কোন ধরনের রিলেশনশিপ তৈরি করা দরকার তা সে খুঁজবে।

২. এখানে স্মার্ট নেতা সব সময়ই মনে রাখে সকল রিলেশানের সঙ্গে এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে তার জন্যে সব থেকে জরুরী হয়ে দেখা দেয়, কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাদ পড়ায় বা তার ওপর গুরুত্ব না দেয়ায় এখানে তাদের আলোচনা এগোয়নি বা কোন সফলতায় পৌঁছায়নি। সে কখনও মনে করবে না এটা তাদের রিলেশানশিপের ঘাটতির কারণে হয়েছে। সে অবশ্যই মনে রাখবে রিলেশানশিপ নির্ভর করে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একে অপরের কাজের জন্যে তার ওপর।

৩. স্মার্ট নেতা তাই এক্ষেত্রে জোর দিবে বা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে চেষ্টা করবে তার বিষয়টি যেন অন্যপক্ষের কাছে সমান প্রয়োজনীয় হয়। বিষয়টি তার কাছে যেমন একদিকে থেকে গুরুত্ববহ অন্যপক্ষের কাছেও যেন আরেকদিক থেকে পটেনশিয়াল হয়। তাহলে উভয়ে উভয়ের প্রয়োজনীয় সহযাত্রী হয়ে উঠবে বা উভয়ে মূলত তখন এক বিন্দুতে এসে একই জোটের মতো হবে।

এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে স্মার্ট নেতাকে নিজের পক্ষের বিষয়টির মত অন্য পক্ষের বিষয়টিও জানতে হবে। আর এই জানার জন্যে সে প্রয়োজনে সময় নেবে। কিন্তু কখনও রিলেশানশিপে আঘাত আসে এমন কোন তাড়াহুড়ো করবে না।

৪. একটা দুর্বল বা খারাপ রিলেশানের মূল কারণ সাধারণত অতীতের রেকর্ড, আলোচনার সময় দুর্বল পারফর্মনেন্স এবং কখনও কখনও আলোচকদের অজ্ঞতা বা কম যোগ্যতা। কখনও মনে করা উচিত নয় কেউ ইচ্ছে করে এই রিলেশান ভেঙ্গে দিয়েছে বা কেউ আসলে রিলেশান চায় না। যখন কোন সংগঠনের নেতা, কোন কোম্পানির নেতা বা কোন রাষ্ট্রের নেতা তার সমপক্ষের সঙ্গে রিলেশান তৈরিতে ব্যর্থ হয় বা রিলেশান খারাপের দিকে নিয়ে যায় তখন তাকে আগে তার নিজের দুর্বল দিকগুলো খুঁজতে হয়। নিজের দুর্বল দিকগুলো  খুঁজে পেলে সে বুঝতে পারে আসলে দায়ী কি বা কে? এবং কোথা থেকে তার শুরু করা উচিত ছিলো এবং এখন কোথা থেকে করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024