সারাক্ষণ প্রতিবেদক
দেশের বাইরে গতকাল শুক্রবার পনেরো দেশে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফি পরিচালিত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ সিনেমা। ছবির নির্মাতা, প্রযোজনা সংস্থা ও বিদেশে পরিবেশক সংস্থা থেকে রেকর্ডের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে কোনো রেকর্ডের ধারেকাছেও নেই ছবিটি। কারণ, বাংলাদেশের কোনো সিনেমার বিদেশের একশো সিনেমা হলে মুক্তিও এখন আর বিরাট আলোচিত কোনো ঘটনা নয়। আর রেকর্ডের কথা যদি বলা হয়, তাহলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশী কোনো সিনেমা হিসেবে ‘হাওয়া’ দেশের বাইরে বিশটিরও বেশী দেশে চলেছে।এই সিনেমাটি আয় করেছে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার ডলারের বেশী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু কানাডা ও আমেরিকায় মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ছিয়াশিটি সিনেমা হলে। আবার বিদেশে বাংলাদেশী সিনেমা মুক্তির সময় থিয়েটার সংখ্যা একশো পঞ্চাশও স্পর্শ করেছে। এই রেকর্ড করা সিনেমা দুটি হলো ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘অন্তর্জাল’। অথচ শাকিব খান অভিনীত সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোর মুক্তির সময় তুলনা করে দেখা যাচ্ছে তুফান বিদেশে সবচেয়ে কম সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে।
হলিউড ও বলিউডের সিনেমার চাপেও কানাডা এবং আমেরিকায় গেলো বছরে এই সময়ে হিমেল আশরাফ পরিচালিত প্রিয়তমা সিনেমা মুক্তি পায় বিয়াল্লিশটি সিনেমা হলে। দেশীয় সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত একই নির্মাতার আরেক সিনেমা ‘রাজকুমার’ মুক্তি পায় পঁচাত্তর সিনেমা হলে। অন্যান্য দেশ মিলিয়ে এই সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে যায়। বিদেশে বাংলাদেশী সিনেমার সব চাইতে বড় বাজার কানাডা ও আমেরিকা। বিদেশে পরিবেশক সংস্থা বায়োস্কোপ ফিল্মস এর পেজে নিজেদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী বিশটিরও কম সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে তুফান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি হলে অফিসিয়াল রিলিজ পাচ্ছে তুফান। বাকি সব সিনেমা হল ভাড়া করে ছবিটি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সিনেমা এবং সুপারস্টার শাকিব খানের জন্য বেশ লজ্জাস্কর। আরেকটি বিষয়ও অবশ্য খুব দৃষ্টিকটু। সেটা হলো- শাকিব খান বিদেশের বাজারের স্বপ্ন দেখেছেন এবং তুফান দিয়ে তা সফল হচ্ছে- এই ধরণের অসত্য ও অনর্থক প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত শাকিব খান মুখে এই কথা বলেননি। কারণ শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি গেলো বছরই বিদেশে অলটাইম তিনটি ব্যবসা করা সিনেমার একটি হওয়ার রেকর্ড গড়ে নিয়েছে। আর এমন রেকর্ড গড়ার প্রকৃত ঘটনা হলো- এই যাত্রা শুরু হয়েছে আরও আট বছর আগে থেকেই। দেশের বাইরে সবচেয়ে সফল তারকা চঞ্চল চৌধুরী।
আয়নাবাজি, দেবী, হাওয়া দিয়ে তিনি সেরা। তুফান সিনেমায় তিনি আছেন এটি দেশের বাইরে একটি পজিটিভ দিক। একটা বিষয় ইতিবাচক দিক হলো – এখন বিশ্বের বড় বড় চেইনে হলিউড বা বলিউডের মতো বাংলাদেশের সিনেমা মুক্তিও নিয়মিত একটি ঘটনা। বরং ভাড়া করা হলে সপ্তাহ ধরে সিনেমা চালানো বা একটা- দুটো শো চালিয়ে এসব নিয়ে গর্ব করা পুরনো বা লজ্জাস্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
Leave a Reply