পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল
অনুবাদ : ফওজুল করিম
এর বীজম ক্ষেতে বীজ বপনের মোক্ষম সময় হচ্ছে বন্যার পানি যেদিন নেমে যায়। তার পরের দিন। যেসব ক্ষেতে পলিমাটির আবরণ খুব পাতলা এবং বালির ভাগ বেশি তার পরেরতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বীজ বপন করতে হবে এ ধরনের বীজ বপনকে বলে ছিটানি।
বাক্টোবরে বীজ বপনের দ্বিতীয় পন্থা হচ্ছে বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষেতে দু’তিন বার চাষ দেওয়া। চাষ দেয়ার পরপর ক্ষেতে বীজ ছিটিয়ে দেয়া। শেষে ক্ষেতে মই দেয়া হয়। উচ্চ ভূমিতে যেখানে বন্যার পর ক্ষেতে পলির একটি পাতলা আবরণ পড়েছে শুধুমাত্র সেখানেই এই দ্বিতীয় পন্থায় চাষ করা হয়।
যাত্রা মে পদ্ধতির চাইতে এই দ্বিতীয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয় বেশি। এর কারণ এই যে, এই পদ্ধতিতে ক্ষেতে বীজ বপন করার পর যে চারাগাছ জন্মায় শীতের হিমেল হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা থাকে তার অনেক বেশি। এতে খরচও কম। কেননা বীজ বপনের আগে ক্ষেত চাষ করলে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য ব্যয় হয় কম।
“অক্টোবরে বীজ বপনের কাজ শুরু হলে তা চলে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। বীজ বপনের আট দিন পরও যখন বীজ অঙ্কুরিত না হয় তখন বুঝতে হবে বীজ বপনের সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। পনেরো দিন পরও বীজ হতে দেখা যায়, কিন্তু এর যে চারা জন্মায় তা বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া বাঁচে না।
অক্টোবরে যে ক্ষেতে বীজ বপন করা হয়েছে- তা ছিটানো পদ্ধতিতে হোক বা কর্ষণ করেই হোক তা থেকে ভাল ফসল পেতে হলে- ফসল ওঠার পরে তা কর্ষণ করতে হবে ভাল করে। ক্ষেত কর্ষণ করার সুবিধা দু’দিক দিয়ে। প্রথমতঃ কর্ষণের পর যে হল-রেখা তৈরি হল তার খাঁজে অনেক পলি সঞ্চিত হবে, কর্ষণ করা না হলে তা কিন্তু হত না। দ্বিতীয়তঃ কর্ষণের ফলে ক্ষেতের বেশিরভাগ আগাছাই উঠে আসবে। এতে আগাছা পরিষ্কার করার খরচ কমবে কেননা এগুলো ক্ষেতে থাকলে বন্যার মধ্যে তা আরও বেড়ে উঠত, ফলে পরিষ্কার করার খরচও বেড়ে যেত বহু পরিমাণে।
Leave a Reply