সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ফেনী সদর হাসপাতালের নিচতলা পুরোপুরি পানির নিচে”
গত বুধবার বেলা একটার দিকে মাকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে যান অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা আক্তার। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার পর আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। সড়কে পানিও বাড়তে থাকে। পরে কাকভেজা হয়ে হাসপাতালে পৌঁছান দুজন।
সেদিন রাত দুইটার দিকে পুত্রসন্তানের মা হন ফারজানা। রাতের মধ্যেই হাসপাতালের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ–সংযোগ। তাঁরা আর বের হতে পারেননি।
গতকাল রোববার ফেনীর মহিপাল থেকে দুই ঘণ্টা হেঁটে হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় ফারজানার সঙ্গে। দ্বিতীয় তলার শিশু বিভাগের সামনের মেঝেতে শুয়েছিলেন তিনি। পাশে ছেলে ও মা শাহানা বেগম।
ফেনী সদর হাসপাতালে পাঁচ দিন আগে জন্ম নেয় শিশুটি। হাসপাতালে নেই বিদ্যুৎ–পানি। বাড়িতেও ঢুকেছে পানি। তাই অন্যত্র যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে কাঁদছেন আফরোজা বেগম। পাশে তাঁর কোলে থাকা শিশুর মা সানজিদা আক্তার। গতকাল সকালে ফেনীর লালপোল এলাকায়ছবি: জুয়েল শীল
গত বুধবার বেলা একটার দিকে মাকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে যান অন্তঃসত্ত্বা ফারজানা আক্তার। তাঁরা ঘর থেকে বের হওয়ার পর আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। সড়কে পানিও বাড়তে থাকে। পরে কাকভেজা হয়ে হাসপাতালে পৌঁছান দুজন।
সেদিন রাত দুইটার দিকে পুত্রসন্তানের মা হন ফারজানা। রাতের মধ্যেই হাসপাতালের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ–সংযোগ। তাঁরা আর বের হতে পারেননি।
গতকাল রোববার ফেনীর মহিপাল থেকে দুই ঘণ্টা হেঁটে হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় ফারজানার সঙ্গে। দ্বিতীয় তলার শিশু বিভাগের সামনের মেঝেতে শুয়েছিলেন তিনি। পাশে ছেলে ও মা শাহানা বেগম।ডেলিভারির পর মাইয়াটা এক বেলা ভাত খেতে পারল না। খাবার না পেয়ে শরীর খারাপ করছে। বাচ্চা সিজার করে বের করছে। এখন খাবার দরকার।
ফারজানার চোখেমুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রথম সন্তানের মা হয়েছেন। আলাপের শক্তিও নেই। চার দিন ধরে ভাত পেটে পড়েনি তাঁর। পাশে বসা মা শাহানা বেগম এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, কোথায় গেলে ভাত পাওয়া যাবে?
শাহানা বলেন, বন্যায় রাস্তাঘাট ও হাসপাতাল ডুবে যাওয়ার পর আর বের হওয়ার সুযোগ পাননি। বৃহস্পতিবার কিছুই খেতে পারেননি তাঁরা। পরদিন শুক্রবার একজন ব্যক্তি মুড়ি ও চিড়া দিয়ে যান। সেসব খেয়েই আছেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘ডেলিভারির পর মাইয়াটা এক বেলা ভাত খেতে পারল না। খাবার না পেয়ে শরীর খারাপ করছে। বাচ্চা সিজার করে বের করছে। এখন খাবার দরকার।’
কথা বলে জানা গেল, ফারজানা তাঁর মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। তাঁদের বাড়ি মহিপালে। যৌতুকের কারণে মাস ছয়েক আগে স্বামীর ঘর থেকে এক কাপড়ে বের হতে হয়েছে তাঁকে।
শাহানা বেগম বললেন, বন্যার কারণে তাঁদের কুঁড়েঘর ভেঙে গেছে। ঘর থেকে কিছুই বের করা যায়নি। তাঁরা পথে বসেছেন। এখন মেয়ে ও নাতিকে সামলাতে হচ্ছে, আবার ঘরবাড়ি নিয়েও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “আমেরিকা কনভিন্স হয়েছিল, নয়তো তখনই আওয়ামী লীগের পতন হয়ে যেত: সালমান”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রিমান্ডে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় গত ১৩ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে তার রিমান্ড চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে সালমান এফ রহমান তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ভাষ্য, আমাকে আটকে রাখলে, আমার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৮০ হাজার লোক বেতন পাবে না। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেই ঋণের কিস্তি দিতে পারব না। এতে দেশেরই ক্ষতি হবে। তাই আমাকে ছেড়ে দিন। আমি দেশ ঠিক করে দেব।
এ সময় ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি ঠিক করলে এখানেই করুন। কোর্টে গিয়ে কথা বলুন। কিন্তু আপনাকে ছাড়া হবে না। একের পর এক মামলায় কমপক্ষে এক বছর আপনাকে রিমান্ডে থাকতে হবে।’
সালমান এফ রহমানের কাছে ডিবি জানতে চায়, গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকারের পতন ঠেকিয়ে দেয়?
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সচিবালয়-প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ”
সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশে যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের (অর্ডিন্যান্স নম্বর-৩/৭৬) ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আজ (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশপাশের এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “১৫ বছরের সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত, জমা দেয়ার নির্দেশ”
বিগত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেয়া সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া গোলাবারুদসহ সকল আগ্নেয়াস্ত্র স্থানীয় থানায় জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পর্যন্ত যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে দেয়া হয়েছে তাদের প্রদান করা লাইসেন্স স্থগিত করা হলো। আগামি ৩রা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
Leave a Reply