মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

ড. ইউনূস-বাইডেন বৈঠক আজ, সংস্কার সহযোগিতায় অগ্রাধিকার, আসতে পারে ভারত প্রসঙ্গ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৪২ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ড. ইউনূস-বাইডেন বৈঠক আজ, সংস্কার সহযোগিতায় অগ্রাধিকার, আসতে পারে ভারত প্রসঙ্গ”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে আজ মঙ্গলবার। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।

দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠকের আলোচনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, আলোচনায় আসতে পারে ভারত প্রসঙ্গও।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

গত তিন দশকে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনায় দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “জানুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচন করতে চায় ঢাবি প্রশাসন”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নতুন সরকার গঠন শেষে দীর্ঘ ১১২ দিন পর ক্লাসে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায়। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এবার ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ নির্বাচন হতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী জানুয়ারিতেই ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আন-অফিশিয়াল একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান আবাসিক হলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং সব হলেই তিনি দ্রুত ডাকসু নির্বাচন হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ক্লাস এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলেও ছাত্রসংগঠনগুলোকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে সে বৈঠকে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, দুই উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদ ও সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং ক্যাম্পাসের ১০ ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া সব ছাত্রসংগঠনের নেতারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদ কার্যকর করার দাবি জানান।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ঢাকায় বৈধ বাসের চেয়ে অবৈধই বেশি”

ঢাকা মহানগরীর ব্যস্ততম বাস রুটগুলোর একটি এ-৩০৯। সদরঘাট থেকে গুলিস্তান হয়ে পল্টন, শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, আসাদগেট, গাবতলী, সাভার থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিস্তৃত রুটটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪২ কিলোমিটার। এ পথে বর্তমানে দৈনিক ২০৪টি বাস পরিচালনা করছে সাভার পরিবহন লিমিটেড। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য বলছে, এ রুটে থাকা সাভার পরিবহনের ১৩৭টি বাসই অবৈধ। এর মধ্যে ৮৩টি বাসের কোনো রুট পারমিটই নেই।

ঢাকার আরেকটি ব্যস্ত রুট এ-৪০৬। ঘাটারচর থেকে সোনারগাঁ পর্যন্ত এ রুটে প্রতিদিন ১২২টি বাস পরিচালনা করছে রজনীগন্ধা পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড, যার মধ্যে কেবল ১৩টি বাস বৈধ। এ-৩১৭ (দিয়াবাড়ি-পোস্তগোলা) রুটে দৈনিক ২১১টি বাস পরিচালনা করছে রাইদা এন্টারপ্রাইজ, যার মধ্যে অবৈধ বাসের সংখ্যা ১০০। এ-৪৪১ (নন্দন পার্ক-চাষাঢ়া) রুটে চলাচল করা মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ১৯৮টি বাসের ১৫১টিই অবৈধ। মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড নামে পরিবহন কোম্পানির অন্যতম মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আফরোজা জামান।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“ইতিবাচক ধারায় রপ্তানি আয়”

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার কমপ্লিট শাটডাউনে একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে দেশ। ওই সময় জারি করা হয় সান্ধ্য আইন। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ব্যাহত হয় রপ্তানি কার্যক্রম, স্থবির হয়ে পড়ে পণ্য জাহাজীকরণ। এরপরেও ইতিবাচক ধারায় ছিল দেশের রপ্তানি আয়। বেড়েছে ২.৯১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এটা উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ‘মেজর ইকোনমিক ইন্ডিকেটর: মান্থলি আপডেট’- শীর্ষক আগস্টের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৮২ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। ২০২৩ সালের একই মাসে পণ্য রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ৩৭১ কোটি ৫৬ লাখ বা ৩.৭১ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ২.৯১ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত জুলাইয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর জুলাইয়ে রপ্তানি বিঘ্নিত হয়েছে স্বল্প সময়ের জন্য। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় আমদানিকৃত কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পোশাক রপ্তানির চূড়ান্ত মূল্যে পড়ে থাকতে পারে। আবার ভ্যালু অ্যাডেড বা মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক রপ্তানির ফলে পরিমাণে কম হলেও অর্থমূল্যের প্রবাহ বেশি হয়ে থাকতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, গত বছর জুলাইয়ে ঈদের বন্ধ ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ বছরের জুলাইয়ে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে উৎপাদন বেশি করা গেছে। বিরূপ পরিস্থিতির প্রভাবে সৃষ্ট সংকটে সার্বিক কার্যক্রম তিন-চারদিনের জন্য বিঘ্নিত হয়েছে। এ ব্যাঘাত বিবেচনায় নিয়ে আমরা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ বেশি উৎপাদন করতে পেরেছি। এছাড়া ভ্যালু অ্যাডেড পোশাকের উৎপাদনও আগের চেয়ে বেশি। এ ধরনের পণ্যের জন্য আমদানি করা কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবও আছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে। এ দু’টিই মূলত রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির কারণ হয়ে থাকতে পারে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024