প্রদীপ কুমার মজুমদার
যাই হোক এবার বিভিন্ন পুরাণগুলির মধ্যে দশাঙ্ক সংখ্যার খোঁজ পাওয়া যায় কিনা দেখা যাক। আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাব যে, বিভিন্ন পুরাণ বিশেষ করে ব্রহ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ ও বায়ুপুরাণে দশাঙ্ক সংখ্যা প্রণালীর ব্যবহার রয়েছে।
ব্রহ্মপুরাণে বলা হয়েছে:
স্থানাং স্থানং দশগুণমেকৈকং গণ্যতে দ্বিজাঃ।
ততোইষ্টাদশমে ভাগে পরার্ধমভিধীয়তে।। ২৩১/৪
অর্থাৎ সংক্ষেপে অর্থ হচ্ছে-স্থান হইতে স্থানান্তরে ১০ গুণ ধরিয়া এগোবার পর অষ্টাদশভাগ পরার্ধ বলে ধরা হয়। অর্থাৎ পরার্ষ কাকে বলে সেই কথাই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছে:
স্থানাং স্থানং দশগুণমেকস্মাগুণ্যতে স্থলে।
ততোহঈদশমে স্থানে পরার্ধমধীয়তে। ৬।৩।৪
অগ্নিপুরাণে বলা হয়েছে:
স্থানাং স্থানং দশগুণমেকস্মাদগুণ্যতে স্থলে।
ততোইষ্টদশমে ভাগে পরার্ধমধীয়তে।
মৎস্যপুরাণে ১১৮ অধ্যায়ে দশাঙ্ক সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে:
“ছে সহস্রে দ্বাপরে তু সন্ধাংশৌ তু চতুঃশতে। সহস্রমেকং বর্ষাণাং দিব্যং কলৌ প্রকীর্তিতম্। দ্বেশতে চ তথান্যে বৈ সংখ্যাতঞ্চ মনীষিভিঃ।
অর্থাৎ দেবপরিমাণের দুই হাজার বৎসরে দ্বাপর যুগ, তার সংখ্যা ঐ পরিমাণে দুই শত বৎসর এবং সন্ধ্যাংশও ঐরূপ দুই শত বৎসর। আবার দেব পরিমাণের এক হাজার বৎসরে কলিযুগ, তাহার সন্ধ্যা ঐ পরিমাণে একশত বৎসর এবং সন্ধ্যাংশও ঐরূপ একশত বৎসর।
(চলবে)
Leave a Reply