পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
নেতাকে পথের দূরত্বের থেকে গুরুত্ব বুঝতে হয় বেশি
যে কোন কাজ মানেই একটা দীর্ঘ পথ চলা। এই দীর্ঘ পথ চলায় কখনো কখনো অতি সহজ বা শর্টকাট পথ সামনে চলে আসে। যিনি সাধারণ তিনি শর্টকাট বা সহজ পথ পেলে আর অন্যদিকে তাকাবেন না। তিনি ওই পথকেই গ্রহন করবেন। এবং তাতে হয়তো তিনি সাময়িক সফল হবেন বা সাময়িক তার পথ চলা সহজ হতে পারে। মনে রাখা দরকার, সাময়িক সাফল্য কখনই সাফল্যই নয়। সফলতা তাই যা পাহাড়ের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে কখনই তা ভেঙ্গে পড়ে না।
নেতা যদি তিনি কোন পথে এগুচ্ছেন তার গুরুত্ব বোঝেন তাহলে পথ শেষে বা পথ চলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি যে সফলতা পাবেন তা অবশ্যই স্থায়ী হবে।
এই পথ চেনার জন্যে নেতার চরিত্রে ও আচরণে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই অর্জন করতে হয়। যেমন, নেতা কৌশলী হবেন, বুদ্ধিমান হবেন কিন্তু কখনো খল হবেন না। বরং তিনি হবেন তার নিজের চলার পথ সম্পর্কে জ্ঞানী।
যেমন, তিনি সব সময়ই তার পথের সামনে কী কী আছে সেগুলোর তথ্য গ্রহনের চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ একজন নেতাকে অবশ্যই প্রতি মুহূর্তে তথ্য জোগাড় করতে হয়।
তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, তথ্য জোগাড় যে কেউ করতে পারেন। নেতার কাজ তথ্যগুলোকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা। যে কোন তথ্য সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে হলে অতীতের ওই ধরনের তথ্যভিত্তিক বিষয়গুলো যেমন জানতে হয় তেমনি বর্তমানের পারিপাশ্বির্ক বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হয়।
আর এখানে নেতাকে অবশ্যই তার দল বা টিমকেও সেইভাবে গড়ে তুলতে হয়- যাতে তারাও কোনটা তথ্য কোনটা তথ্য নয় এটা বুঝতে পারেন। এবং তার দল বা টিমের যে যেখানে অবস্থান করেন তিনিও যেন তার প্রাসাঙ্গিক তথ্যকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।
আধুনিক নেতৃত্বের যুগে শুধু নয়, সবকালেই এটাকে দলভিত্তিক নেতৃত্ব বা গ্রুপ নেতৃত্ব বলেই চিহ্নিত করা হয়। মনে রাখা দরকার, যে কোন সাফল্যের মূলে দলভিত্তিক নেতৃত্ব। কোন একক নেতৃত্ব শেষ অবধি সফল হতে পারেনি পৃথিবীতে।
তাই নেতাকে অবশ্যই তার পথ চলার তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্যে, এবং প্রতি মুহূর্তে তিনি কতটা এগুবেন বা পিছোবেন বা কী সিদ্ধান্ত নেবেন তার জন্যে অবশ্যই তার দলের বা টিমের লোকজনকে তার আচরণের মধ্য দিয়ে বিশ্বস্ত করে তুলতে হবে।
এর পাশাপাশি নেতাকে মনে রাখতে হবে, সামনের পথটি আগামী দিনের মতো। যেমন আগামী দিনের সকালের সুর্যটি কেমন হবে তা কেউ জানেনা। অর্থাত্ একটি অনিশ্চয়তা আছেই। অনিশ্চয়তাকে নিজের যোগ্যতা দিয়ে নিশ্চিয়তা করাই পথ চলার মূল কৌশল। আর এ যোগ্যতা কেবলই তখনই একজন নেতা অর্জন করতে পারেন যখন তিনি তার কাজ সম্পর্কে অনেক বেশি জ্ঞানী হন। জ্ঞান ভিত্তিক সাহস ছাড়া অন্য কোন সাহস মূলত গোয়ার্তুমির মধ্যে পড়ে। সাহসের সঙ্গে ভবিষ্যতের স্বার্থে পশ্চাদাপসারণও কখনই পথ থেকে পিছিয়ে পড়া নয়। বরং সেটাও সাফল্যের পথে এক ধাপ এগুনো।
Leave a Reply