পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
কাজের পরিমাপের লক্ষ্য স্থির করা
কাজের পরিমাপের লক্ষ্য স্থির করা যে কোন নেতার জন্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কাজের পরিমাপের লক্ষ্য সঠিকভাবে স্থির করতে না পারলে কখনও কাজে প্রকৃত গতি আসে না।
আর কাজের গতির পরিমাপ যদি কাজের সঙ্গে মিলিয়ে না করা যায় তাহলে ওই কাজ সঠিকভাবে এগোয় না।
লক্ষ্য স্থির এর সঙ্গে সঙ্গে তার পর্যালোচনার সময় নিধারণ
যে কোন লক্ষ্য’র পথে তখনই সঠিকভাবে এগিয়ে চলা যায় যদি সেটাকে একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমাপ করা হয় যে কতটুকু এগোলো বা পিছিয়ে গেলো।
কখনও কখনও কোন কাজ পিছিয়ে যাওয়া মানে এ নয় যে ওই কাজ হবে না। তবে স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই জানতে হবে তিনি কী হারে পিছিয়েছেন। আর ঘাটতি কোথায় ছিলো।
তার পেছানোর হারটি জানতে পারলে তিনি সেভাবে্ই এগুনোর জন্যে আবার পরিকল্পনা করতে পারবেন।
স্মার্ট নেতা সব সময়ই যুদ্ধের দায়িত্বরত জেনারেল
জেনারেল যেমন যুদ্ধের পরিকল্পনা যদি সঠিক করতে পারেন তাহলে যে কোন হেরে যাওয়া যুদ্ধকে তিনি আবার বিজয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
আর এর অনেকখানি যে নেতার ওপর নির্ভর করে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যালোচনা করলে- অনেক ফ্রন্টে দেখা যায়। আর সেটা বুঝেই নেতাকে সে কাজ দেয়া হয়।
যেমন বার্মা পতনের পরে তা পুনরুদ্ধারের জন্যে ব্রিটিশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে একজন জেনারেল কে বার্মায় নিয়ে আসেন। আর তিনি এসেই প্রথম পরিকল্পনা করেন যে জায়গাটুকু তখনও ব্রিটিশের দখলে ছিলো সেখানে নতুন এয়ার পোর্ট তৈরি করা।
কারণ, কোন কারনে বার্মায় ব্রিটিশ পিছিয়ে পড়েছিলো সেটা তিনি বুঝেছিলেন বলেই আগে এয়ারপোর্ট তৈরি করার কাজে হাত দেন।
তাই যে কোন কাজে পিছিয়ে পড়লে আগে খুঁজতে হয়, কোন কাজটা শুরু করলে এগিয়ে যাওয়া যাবে। এবং সেটাই আগে করতে হয়।
Leave a Reply