পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
সাবধানী ও অতিরিক্ত সাবাধানী
স্মার্ট নেতা মাত্রই সাবধানী হবেন। তিনি তার সমস্ত কাজের তাই তার দলের, সংগঠনের বা কোম্পানি’র যে কোন বিষয় নিয়ে অবশ্যই সাবধানী থাকবেন। তবে কখনই যেন অতিরিক্ত সাবধানী না হন।
অতিরিক্ত সাবধানী অনেক সময় প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে অহেতুক প্রশ্ন তোলে। যার ফলে এই অতিরিক্ত প্রশ্ন পর্যালোচনা করতে গিয়ে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নানা দ্বিধা সামনে আসে।
এ কারণে সাবাধানী ও অতিরিক্ত সাবধানী’র মধ্যে যে পার্থক্যটা আছে তা অবশ্যই স্মার্ট নেতাকে বুঝে চলতে হয়।
অতিরিক্ত সাবাধনী অনেক সময় অতিরিক্ত কৃচ্ছ্রতা সাধানের মতো
কোন রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা দল কখনও কখনও আর্থিক সংকট থেকে নানান ধরনের সংকটে পড়ে। এই সংকটের কালে সাধারণত অনেক নেতা মনে করেন, এখন কৃচ্ছ্রতা সাধণ করা উচিত। স্মার্ট নেতা অবশ্যই তা মনে করবেন না। কারণ, কৃচ্ছ্রতা সাময়িক সাশ্রয় দেয়। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক ও কাজের ক্ষতি করে। এমনকি কর্মীদের মধ্যেও এক ধরনের লেথারজিক মানসিকতা এনে দেয়।
তাই সংকটেও কীভাবে ঝুঁকি নেয়া যায় সেটাই স্মার্ট নেতার মূল চরিত্র হওয়া উচিত।
ঝুঁকিই মানুষকে এগিয়ে নেয়
নেপোলিয়ানকে যদি মানা হয়, তাহলে অবশ্যই মানতে হবে, নো রিস্ক নো গেইন। বাস্তবে সৃষ্টি’র আদি থেকে আজ অবধি রিস্কই মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। আর স্মার্ট নেতাকে মনে রাখতে হয়, রিস্কটা সংকটের সময়ে নেবার সুযোগ আসে। সুস্থ সময়ে বাস্তবে রিস্ক নেবার কোন সুযোগ নেই। তাই সংকটই নেতাকে রিস্ক নেবার সুযোগ দেয়, আর সে রিস্ক নিয়ে যদি তিনি সফল হন তাহলে অবশ্যই তিনি চূড়ায় পৌঁছাবেন।
Leave a Reply