পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
অপর পক্ষের সঙ্গে সব সময়ই উষ্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে
সাধারণত মানুষের স্বভাব হলো, নতুন কারো সঙ্গে আলাপ আলোচনায় বসা বা নতুন কোন কিছু শুরুর জন্যে কারো সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে এক ধরনের ইতস্তত বোধ করা।
স্মার্ট নেতা কখনই এই ইতস্তত বোধ করেন না। কারণ এটা তার আর দশটা কাজেরই মত একটা কাজ।
সাধারণত এই ইতস্তত করার মূল কারণ থাকে, কীভাবে শুরুটা হতে পারে। যে কথা দিয়ে শুরু হবে তা কতটা স্পষ্ট বা সহজবোধ্য করে বলা সম্ভব হবে- এই চিন্তা থেকে।
স্মার্ট নেতা প্রথমেই তার সঙ্গে তার কোন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হোক আর অন্য সুন্দর একটা শুরু হোক, তার মাধ্যমে চেষ্টা করেন একটা উষ্ণ সম্পর্ক গড়তে।
শুরুতে সেটা সম্ভব হলে সব কিছুই দ্রুত এগিয়ে যায়।
উষ্ণ সম্পর্ককে ধরে রাখা
অনেকে এই সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেন না। তবে যিনি প্রকৃত নেতা তাকে অবশ্যই এ সম্পর্ক ধরে রাখতে হয়। উষ্ণ সম্পর্ক ধরে রাখার মধ্যে মূলত কাজ এগিয়ে নেয়া বা পারস্পারিক কাজ সহ সব কিছুর লেনদেন সহজ হয়।
উষ্ণ সম্পর্ক ধরে রাখার কিছু পথ
১.উষ্ণ সম্পর্ক ধরে রাখতে হলে শুরু থেকে নিজের কাজ বা বিষয়কে অপর পক্ষের কাজে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হয়। কোনরূপ ইতস্ততা থাকলে বিষয়টি স্পষ্ট হয় না, আর তা সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বাধা হয়।
২. একটা বিষয় মনে রাখতে হয়, অপর পক্ষ সব কিছু পছণ্দ করবে না। আর তাকে সবটুকু পছন্দ করানোর চেষ্টাও করতে নেই। এমনকি যদি কোন প্রথম দিনের কোন বিষয় তিনি পছন্দ না করেন তারপরেও ভবিষ্যতের জন্যে তিনি যেন আপনার প্রতি আগ্রহী থাকেন- এভাবে নিজেকে উপস্থিত করতে হয়।
৩. আর অবশ্যই তার কাছে ওই আলোচনায় যেটুকু নতুন পাওয়া যায়, বা নতুন শেখা হয় সেজন্য তাকে প্রশংসা করতে বিন্দুমাত্র সময় নিতে নেই। বরং বিনয়ের সঙ্গে সে প্রশংসা করতে হয়।
Leave a Reply