পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।
ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত
যে কোন কারণে কোন দুই পক্ষের মধ্যে বা দলের মধ্যে এমনকি নিজস্ব কোর টিমের মধ্যে কারো সঙ্গে বা কয়েক জনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এ অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। বলা যেতে পারে পার্ট অব ওয়ার্ক অথবা পার্ট অব লাইফ।
তবে তার মানে কখনও এ নয় যে সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে এটা আর মেরামতের নয়। প্রথমত মনে রাখা উচিত ওয়ার্ক রিলেশান সব সময়ই ওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে। এর ভেতর আত্মিক বিষয়ের থেকে বাস্তব ও নিয়ম কানুন বেশি জড়িত।
তাই এটা সত্য যে বাস্তব ও নিয়ম কানুনের ওপর ভিত্তি করে সব সময়ই যে কোন ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক দ্রুত মেরামত করা যায়।
সম্পর্ক মেরামতে যা করতে হয়
সম্পর্ক মেরামতের জন্যে অবশ্যই যুক্তির ওপর ও কাজের ওপর নির্ভর করতে হয়।
খেয়াল রাখতে হয়, যুক্তিগুলো যেন কখনই নিজের পক্ষে বা নিজের স্বার্থে সবটুকু না হয়। যুক্তিগুলোকে অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হতে হবে।
এর পাশাপাশি স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই নমনীয় মানসিকতার হতে হয়। তিনি কোন কিছুতেই কখনও কোনরূপ একগুয়েমি প্রকাশ করবেন না। বাস্তবতার ভিত্তিতে নমনীয় হলে উভয় পক্ষ দ্রুত কাছে আসতে পারে। যার ফলে সম্পর্ক মেরামতও সহজ হয়।
যে কোন সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া খারাপ
মানুষ মাত্রই দোষে গুনের ওপর নির্ভর করে। কাজেরও কখনও কোন কাজের বেশি মেরিট থাকে কোন কাজের কম মেরিট থাকে। তাই কোন দোষের কারণে বা কোন কাজের মেরিটের অভাবে কোন সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতেই পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে সম্পর্কটা যেন শুধু ওই কাজ বা ওই দোষটির জন্যে ওই মুহূর্তে ভেঙ্গে গিয়েছিলো এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। পরবর্তীতে তা যেন আবার স্বাভাবিক হয়…………
Leave a Reply